ঢাকা ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫

রক্তে সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রাকৃতিক খাদ্য

  • আপডেট সময় : ০৭:১৫:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

খান অপূর্ব আহমদ

সঠিক খাদ্যাভ্যাস শরীরের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী ও রক্তে ইনফেকশন প্রতিরোধ করে। নিচে কিছু কার্যকর প্রাকৃতিক খাদ্য উল্লেখ করা হলো-

রসুন: রসুনে অ্যালিসিন নামের একটি উপাদান থাকে; যা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন সকালে কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস করা জরুরি।

আদা: আদার জিঞ্জারল উপাদান প্রদাহ কমায় এবং রক্ত পরিষ্কার রাখে। আদা চা বা কাঁচা আদা খাওয়া যায়।

আমলকী: আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। আমলকীর রস বা কাঁচা আমলকী নিয়মিত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

টমেটো: টমেটোয় থাকা লাইকোপিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট; যা রক্তে ফ্রি র‌্যাডিক্যালস কমায়। কাঁচা টমেটো বা টমেটো সালাদ করে খাওয়া যায়।

গ্রিন টি: গ্রিন টিতে থাকা ক্যাটেচিন শরীর থেকে টক্সিন দূর করে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন ১-২ কাপ গ্রিন টি পান স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

দই: দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমশক্তি বাড়ায় এবং শরীরের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
লেবু ও লেবুজাতীয় ফল: লেবুতে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তে ইনফেকশন হওয়া প্রতিরোধ করে।

পালং শাক: পালং শাকে আয়রন, ভিটামিন এ এবং সি রয়েছে, যা রক্তের শক্তি বৃদ্ধি করে এবং ইমিউন সিস্টেম বৃদ্ধি করে। সাধারণত পালং শাক সালাদ, স্যুপ বা রান্না করে খাওয়া হয়।

মধু: মধু একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি এজেন্ট। প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু পান করুন।

হলুদ: হলুদের কারকুমিন প্রদাহ কমায় এবং রক্তের মান বৃদ্ধি করে। গরম দুধে এক চামচ হলুদ মিশিয়ে পান করুন।

আরো কার্যকর খাদ্যাভ্যাস হলো-

পর্যাপ্ত পানি পান: রক্ত পরিষ্কার রাখার জন্য প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা জরুরি।

সুষম খাদ্য গ্রহণ: সুষম খাবারের মাধ্যমে ভিটামিন, মিনারেল ও প্রোটিনের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা।

শরীরচর্চা: নিয়মিত ব্যায়াম রক্ত সঞ্চালন ও ইমিউন সিস্টেমকে বৃদ্ধি করে।

পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম শরীরকে সুস্থ রাখে।

ধূমপান ও অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকা: এগুলো ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে এবং রক্তে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি করে।

লেখক: সাংবাদিক

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রক্তে সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রাকৃতিক খাদ্য

আপডেট সময় : ০৭:১৫:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

খান অপূর্ব আহমদ

সঠিক খাদ্যাভ্যাস শরীরের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী ও রক্তে ইনফেকশন প্রতিরোধ করে। নিচে কিছু কার্যকর প্রাকৃতিক খাদ্য উল্লেখ করা হলো-

রসুন: রসুনে অ্যালিসিন নামের একটি উপাদান থাকে; যা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন সকালে কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস করা জরুরি।

আদা: আদার জিঞ্জারল উপাদান প্রদাহ কমায় এবং রক্ত পরিষ্কার রাখে। আদা চা বা কাঁচা আদা খাওয়া যায়।

আমলকী: আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। আমলকীর রস বা কাঁচা আমলকী নিয়মিত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

টমেটো: টমেটোয় থাকা লাইকোপিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট; যা রক্তে ফ্রি র‌্যাডিক্যালস কমায়। কাঁচা টমেটো বা টমেটো সালাদ করে খাওয়া যায়।

গ্রিন টি: গ্রিন টিতে থাকা ক্যাটেচিন শরীর থেকে টক্সিন দূর করে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন ১-২ কাপ গ্রিন টি পান স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

দই: দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমশক্তি বাড়ায় এবং শরীরের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
লেবু ও লেবুজাতীয় ফল: লেবুতে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তে ইনফেকশন হওয়া প্রতিরোধ করে।

পালং শাক: পালং শাকে আয়রন, ভিটামিন এ এবং সি রয়েছে, যা রক্তের শক্তি বৃদ্ধি করে এবং ইমিউন সিস্টেম বৃদ্ধি করে। সাধারণত পালং শাক সালাদ, স্যুপ বা রান্না করে খাওয়া হয়।

মধু: মধু একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি এজেন্ট। প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু পান করুন।

হলুদ: হলুদের কারকুমিন প্রদাহ কমায় এবং রক্তের মান বৃদ্ধি করে। গরম দুধে এক চামচ হলুদ মিশিয়ে পান করুন।

আরো কার্যকর খাদ্যাভ্যাস হলো-

পর্যাপ্ত পানি পান: রক্ত পরিষ্কার রাখার জন্য প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা জরুরি।

সুষম খাদ্য গ্রহণ: সুষম খাবারের মাধ্যমে ভিটামিন, মিনারেল ও প্রোটিনের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা।

শরীরচর্চা: নিয়মিত ব্যায়াম রক্ত সঞ্চালন ও ইমিউন সিস্টেমকে বৃদ্ধি করে।

পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম শরীরকে সুস্থ রাখে।

ধূমপান ও অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকা: এগুলো ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে এবং রক্তে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি করে।

লেখক: সাংবাদিক

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ