খান অপূর্ব আহমদ
সঠিক খাদ্যাভ্যাস শরীরের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী ও রক্তে ইনফেকশন প্রতিরোধ করে। নিচে কিছু কার্যকর প্রাকৃতিক খাদ্য উল্লেখ করা হলো-
রসুন: রসুনে অ্যালিসিন নামের একটি উপাদান থাকে; যা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন সকালে কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস করা জরুরি।
আদা: আদার জিঞ্জারল উপাদান প্রদাহ কমায় এবং রক্ত পরিষ্কার রাখে। আদা চা বা কাঁচা আদা খাওয়া যায়।
আমলকী: আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। আমলকীর রস বা কাঁচা আমলকী নিয়মিত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
টমেটো: টমেটোয় থাকা লাইকোপিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট; যা রক্তে ফ্রি র্যাডিক্যালস কমায়। কাঁচা টমেটো বা টমেটো সালাদ করে খাওয়া যায়।
গ্রিন টি: গ্রিন টিতে থাকা ক্যাটেচিন শরীর থেকে টক্সিন দূর করে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন ১-২ কাপ গ্রিন টি পান স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
দই: দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমশক্তি বাড়ায় এবং শরীরের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
লেবু ও লেবুজাতীয় ফল: লেবুতে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তে ইনফেকশন হওয়া প্রতিরোধ করে।
পালং শাক: পালং শাকে আয়রন, ভিটামিন এ এবং সি রয়েছে, যা রক্তের শক্তি বৃদ্ধি করে এবং ইমিউন সিস্টেম বৃদ্ধি করে। সাধারণত পালং শাক সালাদ, স্যুপ বা রান্না করে খাওয়া হয়।
মধু: মধু একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি এজেন্ট। প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু পান করুন।
হলুদ: হলুদের কারকুমিন প্রদাহ কমায় এবং রক্তের মান বৃদ্ধি করে। গরম দুধে এক চামচ হলুদ মিশিয়ে পান করুন।
আরো কার্যকর খাদ্যাভ্যাস হলো-
পর্যাপ্ত পানি পান: রক্ত পরিষ্কার রাখার জন্য প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা জরুরি।
সুষম খাদ্য গ্রহণ: সুষম খাবারের মাধ্যমে ভিটামিন, মিনারেল ও প্রোটিনের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা।
শরীরচর্চা: নিয়মিত ব্যায়াম রক্ত সঞ্চালন ও ইমিউন সিস্টেমকে বৃদ্ধি করে।
পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম শরীরকে সুস্থ রাখে।
ধূমপান ও অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকা: এগুলো ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে এবং রক্তে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি করে।
লেখক: সাংবাদিক
আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ