স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: বর্তমানে নারীদের মধ্যে ডায়াবেটিসের প্রবণতা বাড়ছে। বিশ্বের প্রায় ২০ কোটি নারীর রক্তে শর্করার আধিক্য রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) হিসাব তা-ই বলছে। সমীক্ষার রিপোর্টে আরও দেখা গেছে, প্রতি পাঁচজন কম বয়সী নারীর মধ্যে রক্তে বাড়তি শর্করা নিয়ে জীবনযাপন করছেন অন্তত দুইজন।
একদিকে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অন্যদিকে হাই ক্যালোরি ডায়েট— এই দুইয়ের মিলিত ফল বাড়তি ওজন। তবে শুধু ওজন বাড়তে দেখলেই তো যেকোনো নারীকে ‘ডায়াবেটিক’ বলে দাগিয়ে দেওয়া যায় না। কী কী দেখলে সতর্ক হবেন? মূত্রনালির সংক্রমণ নানা কারণে হতে পারে। কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তির দিকে থাকলে ঘন ঘন সেই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ‘জার্নাল অফ ডায়াবিটিস অ্যান্ড ইট্স কমপ্লিকেশন’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ডায়াবেটিস থাকলে নারীদের ক্ষেত্রে মূত্রনালির সংক্রমণে ভোগার আশঙ্কা দ্বিগুণ হয়ে যায়। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকলে হরমোনের ক্ষরণে বিঘ্ন ঘটে এবং কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়। এর প্রভাব পড়ে ঋতুচক্রের ওপরেও। ‘আমেরিকান জার্নাল অব অবস্টেট্রিক্স অ্যান্ড গায়নেকোলজি’-তে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে ঋতুচক্র অনিয়মিত হওয়ার প্রবণতা বেশি। ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ আসাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় ‘পলিডিপসিয়া’। রক্তে শর্করা বাড়তির দিকে থাকলে এই ধরনের সমস্যা দেখা যায়। ‘ডায়াবেটিস কেয়ার জার্নাল’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, পুরুষ ডায়াবেটিকদের তুলনায় নারী ডায়াবেটিকদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি। এ প্রতিবেদনটি সচেতনতার জন্য লেখা। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।