ক্রীড়া ডেস্ক: হারিস রউফের দুর্দান্ত বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ১৪৭ রানে আটকে দিয়েছিল পাকিস্তান। লক্ষ্যে নেমে সিডনির স্লো পিচে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে তারাও। তবে উসমান খান ও ইরফান খানের ব্যাটিংয়ে জয়ের আশা জাগায় সফরকারীরা। শেষ পর্যন্ত স্পেন্সার জনসনের শুরুর আঘাত সামলে উঠতে পারেনি পাকিস্তান। ১৩ রানের জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ এক ম্যাচ আগেই জিতলো অস্ট্রেলিয়া। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ম্যাথু শর্ট ও জেক ফ্রেসার ম্যাকগুর্কের ঝড়ে চতুর্থ ওভারেই ৫২ রান তুলে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। ২২ বলের ওপেনিং জুটি ভেঙে যায় ফ্রেসার-ম্যাকগুর্ক ৯ বলে ২০ রানে আউট হলে। রউফ একই ওভারে জশ ইংলিসকেও (০) ফেরান। পরের ওভারে শর্ট থামেন আব্বাস আফ্রিদির কাছে বোল্ড হলে। তার ১৭ বলে দুটি করে চার ও ছয়ে সাজানো ৩২ রানের ইনিংস ছিল সর্বোচ্চ। ১২তম ওভারে দলীয় স্কোর একশ হওয়ার আগেই গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (২১) পঞ্চম ব্যাটার হয়ে ফিরে যান। এরপর রউফের সঙ্গে আব্বাস ও সুফিয়ান মুকিমের বলে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। অ্যারন হার্ডির ২৩ বলে ২৮ রানের সুবাদে দেড়শর কাছাকাছি রান হয়। ৯ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। রউফ চার ওভারে ২২ রান দিয়ে চার উইকেট নেন। তিনটি পান আব্বাস এবং দুটি মুকিমের।
লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সুলভ ব্যাটিং করতে পারেনি। প্রথম তিন ওভারে ১৭ রানে দুই উইকেট হারায় তারা। তারপর দশম ওভারে মোহাম্মদ রিজওয়ান (১৬) ও সালমান আগা (০) জনসনের শিকার। ৪৪ রানে চার উইকেট হারানোর পর পাকিস্তান ঘুরে দাঁড়ায় উসমান ও ইরফানের জুটিতে। তাদের ব্যাটে ১৬তম ওভারে একশ পার করে সফরকারীরা। উসমানকে ইনিংস সেরা ৫২ রানে ফেরান জনসন। ৫৮ রানের এই জুটি ভেঙে গেলে জোরেশোরে ধাক্কা খায় পাকিস্তান। অন্যপ্রান্ত থেকে উইকেট পড়তে থাকলেও ইরফান একাই হাল ধরেছিলেন। তার ব্যাটে চড়ে ইনিংস শেষ ওভার পর্যন্ত গড়ায়। শেষ ৬ বলে ১৬ রানের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু মাত্র একটি উইকেট ছিল হাতে। কঠিন পরীক্ষায় উতরে যেতে পারেনি পাকিস্তান। নাথান এলিসের ওভারে চতুর্থ বলে রউফ রান আউট হলে হার মানে পাকিস্তান। ২৮ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন ইরফান। পাকিস্তানকে ১৩৪ রানে অলআউট করতে ৫ উইকেট নেন জনসন। চার ওভারে রান দেন ২৬টি। এছাড়া দুটি উইকেট নেন অ্যাডাম জাম্পা।
রউফকে ছাপিয়ে জনসন নৈপুণ্যে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ জয়
জনপ্রিয় সংবাদ


























