রংপুর সংবাদ: রংপুর কৃষি অঞ্চলে চলতি মৌসুমে সর্বকালের রেকর্ড পরিমাণ ১৯ লাখ ৮৭ হাজার ৯৬১ টন ক্লিন আমন চাল উৎপাদন করেছেন। চাষাবাদের প্রাথমিক পর্যায়ে চারা রোপণের সময় খরার মতো পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়া সত্তে¡ও কৃষকরা দেশের অন্যতম প্রধান এই খাদ্যশস্যের সুপার বাম্পার ফলন পেয়েছে।
স্থানীয় বাজারে মোটা জাতের প্রতি মণ (৪০ কেজি) আমন ধানের দাম ১ হাজার ২৮০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩৫০ টাকা পর্যন্ত পেয়ে কৃষকরা তাদের সন্তুষ্টির কথা প্রকাশ করছেন।
কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের (ডিএই) কর্মকর্তারা জানান, চলতি মাসের মাঝামাঝি নাগাদ এই অঞ্চলের পাঁচটি জেলায় আবাদকৃত মাঠে থাকা মোট ৬ লাখ ১৯ হাজার ৭৪৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান কাটা শেষ হয়েছে।
চলতি মৌসুমে কৃষকরা মোট ১৯ লাখ ৮৭ হাজার ৯৬১ টন ক্লিন আমন চাল (২৯ লাখ ৮১ হাজার ৯৪২ টন ধান) উৎপাদন করেছেন; যা নির্ধারিত ১৯ লাখ ১৭ হাজার ৬৭২ টন ক্লিন চালের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭০ হাজার ২৮৯ টন বা শতকরা ৩ দশমিক ৬৬ ভাগ বেশি।
রংপুর কৃষি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ওবায়দুর রহমান মন্ডল জানান, এই কৃষি অঞ্চলে কৃষকরা এবার হেক্টরপ্রতি সর্বোচ্চ গড় ফলনের হার ৩ দশমিক ২১ টন ক্লিন আমন চাল (৪ দশমিক ৮১৫ টন আমন ধান) অর্জন করেছেন।
কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর এ অঞ্চলের পাঁচটি জেলার জন্য চলতি মৌসুমে ৬ লাখ ২০ হাজার ২৭৫ হেক্টর জমি থেকে ১৯ লাখ ১৭ হাজার ৬৭২ টন ক্লিন আমন চাল (২৮ লাখ ৭৬ হাজার ৫০৮ টন ধান) উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল।
আমন ধান আবাদ মৌসুমের শুরুতেই খরা পরিস্থিতির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ সত্তে¡ও বিভিন্ন প্রকার সরকারি সহযোগিতায় উৎসাহী কৃষকরা শেষ পর্যন্ত ৬ লাখ ২০ হাজার ৩৬২ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করেন; যা নির্ধারিত কৃষি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। আমন ধান কাটা শেষ করার পর কৃষকরা শেষ পর্যন্ত এই অঞ্চলে সর্বকালের রেকর্ড পরিমাণ ১৯ লাখ ৮৭ হাজার ৯৬১ টন ক্লিন আমন চাল উৎপাদন করেছেন।
তারা গত বছর ৬ লাখ ১৫ হাজার ৯৮১ হেক্টর জমি আমন ধান চাষের আওতায় এনে থেকে ১৮ লাখ ৬৩ হাজার ৪৯৯ টন ক্লিন আমন চাল (২৭ লাখ ৯৫ হাজার ২৪৮ টন ধান) উৎপাদন করেছিলেন।
তারাগঞ্জ উপজেলার দোলাপাড়া গ্রামের কৃষক মফিজার রহমান জানান, চলতি মৌসুমে তিনি মোটা জাতের আমন ধানের প্রতি একর জমিতে ৫৫ থেকে ৬৫ মণ পর্যন্ত ভালো ফলন পেয়েছেন।