ঢাকা ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

রংপুরে আধাঘণ্টার ঝড়ে লন্ডভন্ড ৬ শতাধিক বাড়িঘর

  • আপডেট সময় : ০৫:৩৮:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ঝড়ের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়েছে অন্তত ৬ শতাধিক বাড়িঘর। এছাড়া গাছপালা, দোকানপাট, বৈদ্যুতিক খুঁটি ও ধানক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা।

রোববার (৫ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার তিস্তা নদীবেষ্টিত নোহালী ও আলমবিদিতর ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি গ্রাম ঝড়ের কবলে পড়ে।

নোহালী ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ আলী জানান, রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মাঝারি বৃষ্টিপাতসহ প্রচণ্ড বেগে ঝড় বয়ে যায় ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকার ওপর দিয়ে। ঝড় প্রায় ৩০ মিনিট স্থায়ী হয়। এতে ইউনিয়নের বাগডহরা, বৈরাতি, পূর্ব কচুয়া, পশ্চিম কচুয়া, নোহালী, চর নোহালীসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৪৫০টি পরিবারের বাড়ি-ঘর লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এছাড়া ভেঙে গেছে বিপুল পরিমাণ ফলদ ও বনজ গাছ।

চেয়ারম্যান আরো জানান, টানা বৃষ্টিপাত ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির লোকেরা নিরাপদ আশ্রয়ের অভাবে চরম বিপাকে পড়েছেন। রান্নাঘর ও শুকনো জ্বালানির অভাবে তারা রান্না করতেও পারছেন না। ফলে পরিবারগুলোর মাঝে খাদ্যাভাব প্রকট হয়ে উঠেছে। তাই জরুরিভাবে খাদ্য ও আবাসন সহায়তা প্রয়োজন।

আলমবিদিতর ইউনিয়নের খামার মোহনা গ্রামের আব্দুল হাই, মফিজার রহমান ও আঙ্গুর মিয়াসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের ওই গ্রামের অন্তত ৫০-৬০টি বাড়ির ঘর ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে। এখন তারা খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।

আলমবিদিতর ইউপি সদস্য রেজাউল হক জানান, সকালের ঝড়ে ইউনিয়নের খামার মোহনা, কুতুব পাড়া, কুতুব গণেশসহ বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ২০০ পরিবারের বাড়িঘর ও গাছপালা ভেঙে যায়। ঘর চাপা পড়ে এক কৃষকের দুটি গরু মারা যায়। এছাড়া অনেকে আহত হয়েছেন। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যাওয়ায় এসব এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সজিবুল করিম জানান, দুর্গত এলাকায় জরুরি খাদ্যসহায়তা হিসেবে শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদ হাসান মৃধা জানান, উপজেলার কিছু এলাকায় ঝড়ে ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ চলছে। জরুরি খাদ্যসহায়তাও প্রদান করা হচ্ছে।

এসি/আপ্র/০৫/১০/২০২৫

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

রংপুরে আধাঘণ্টার ঝড়ে লন্ডভন্ড ৬ শতাধিক বাড়িঘর

আপডেট সময় : ০৫:৩৮:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ঝড়ের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়েছে অন্তত ৬ শতাধিক বাড়িঘর। এছাড়া গাছপালা, দোকানপাট, বৈদ্যুতিক খুঁটি ও ধানক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা।

রোববার (৫ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার তিস্তা নদীবেষ্টিত নোহালী ও আলমবিদিতর ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি গ্রাম ঝড়ের কবলে পড়ে।

নোহালী ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ আলী জানান, রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মাঝারি বৃষ্টিপাতসহ প্রচণ্ড বেগে ঝড় বয়ে যায় ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকার ওপর দিয়ে। ঝড় প্রায় ৩০ মিনিট স্থায়ী হয়। এতে ইউনিয়নের বাগডহরা, বৈরাতি, পূর্ব কচুয়া, পশ্চিম কচুয়া, নোহালী, চর নোহালীসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৪৫০টি পরিবারের বাড়ি-ঘর লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এছাড়া ভেঙে গেছে বিপুল পরিমাণ ফলদ ও বনজ গাছ।

চেয়ারম্যান আরো জানান, টানা বৃষ্টিপাত ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির লোকেরা নিরাপদ আশ্রয়ের অভাবে চরম বিপাকে পড়েছেন। রান্নাঘর ও শুকনো জ্বালানির অভাবে তারা রান্না করতেও পারছেন না। ফলে পরিবারগুলোর মাঝে খাদ্যাভাব প্রকট হয়ে উঠেছে। তাই জরুরিভাবে খাদ্য ও আবাসন সহায়তা প্রয়োজন।

আলমবিদিতর ইউনিয়নের খামার মোহনা গ্রামের আব্দুল হাই, মফিজার রহমান ও আঙ্গুর মিয়াসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের ওই গ্রামের অন্তত ৫০-৬০টি বাড়ির ঘর ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে। এখন তারা খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।

আলমবিদিতর ইউপি সদস্য রেজাউল হক জানান, সকালের ঝড়ে ইউনিয়নের খামার মোহনা, কুতুব পাড়া, কুতুব গণেশসহ বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ২০০ পরিবারের বাড়িঘর ও গাছপালা ভেঙে যায়। ঘর চাপা পড়ে এক কৃষকের দুটি গরু মারা যায়। এছাড়া অনেকে আহত হয়েছেন। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যাওয়ায় এসব এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সজিবুল করিম জানান, দুর্গত এলাকায় জরুরি খাদ্যসহায়তা হিসেবে শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদ হাসান মৃধা জানান, উপজেলার কিছু এলাকায় ঝড়ে ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ চলছে। জরুরি খাদ্যসহায়তাও প্রদান করা হচ্ছে।

এসি/আপ্র/০৫/১০/২০২৫