ঢাকা ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

যে ৫ ব্যায়ামে ভালো রাখবে লিভার

  • আপডেট সময় : ০৫:৫২:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১২০ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: আধুনিক জীবনযাত্রা, খাদ্যাভাসে অনিয়ম এবং শরীরচর্চার অভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় লিভার। এতে লিভারের অসুখ তো বটেই, তার সঙ্গে হানা দিতে অন্যান্য রোগও। জীবনযাপনে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি কয়েকটি শরীরচর্চা করলে লিভারের সমস্যা ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব।
* ৩০ মিনিট শরীরচর্চা
শরীরচর্চার জন্য প্রতিদিন ৩০ মিনিট সময় ব্যয় করলেই হবে। এজন্য অবশ্য জিমে যাওয়ার দরকার নেই। বাড়িতে, রাস্তায়, খোলা মাঠে যেখানে খুশি শারীরিক কসরত করতে পারেন। উদ্দেশ্য হলো ঘাম ঝরানো আর প্রতিদিন আধঘণ্টার ওই শরীরচর্চার অভ্যাস তৈরি করা। সেটুকুই আপনার লিভারকে ভালো রাখবে।
* স্পিড ওয়াকিং
লিভারের স্বাস্থ্য ফেরানোর জন্য দ্রুত হাঁটা বা ‘স্পিড ওয়াকিংয়ের কোনো বিকল্প নেই। এই ধরনের হাঁটার দু’টি নিয়ম আছে। খুব জোরে হাঁটলেও একসঙ্গে দুটি পা কখনও মাটি ছাড়বে না। আরও বিশদে বললে, সামনের পায়ের গোড়ালি যতক্ষণ না মাটি ছুঁচ্ছে, ততক্ষণ পেছনের পায়ের আঙুল মাটি ছাড়বে না। দুই, সামনের পা যতক্ষণ না পেছন দিকে যাচ্ছে, ততক্ষণ হাঁটু মুড়বে না। সোজা থাকবে। এভাবে হাঁটলে পায়ের নিচের দিকের পেশি কাজ করে বেশি। হাঁটু বা অন্যান্য হাড়ের সন্ধিস্থলে চাপ পড়ে না। অথচ হৃৎস্পন্দনও বৃদ্ধি করে। যা লিভারকে অতিরিক্ত চর্বিমুক্ত করতে সাহায্য করে। রোজ এমন ২০-৩০ মিনিটের স্পিড ওয়াকিং লিভারের জন্য ভালো।
* স্ট্রেন্থ ট্রেনিং
যেসব শারীরিক কসরতে স্ট্রেন্থ ট্রেনিং হয় (যেমন পুশ-আপস, স্কোয়াটস ইত্যাদি), সেগুলো লিভারের জন্য ভালো। এই ধরনের শরীরচর্চা যেমন পেশির ক্ষমতা বাড়ায়, তেমনই ফ্যাটকে ভাঙতেও সাহায্য করে। প্রথমে অল্প করে শুরু করুন। ১০-১৫ বার পুশ-আপস বা স্কোয়াট করুন। তার পরে ধীরে ধীরে সংখ্যা বাড়ান।
* পাইলেটস
লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য পাইলেটস ভালো। কারণ পাইলেটস শরীরের নমনীয়তা আর পেশির শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি নিয়ন্ত্রিত শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালনেও সাহায্য করে। যে হেতু লিভার রক্ত দূষণমুক্ত করে, উন্নত রক্ত সঞ্চালন সেই কাজে সাহায্য করবে। তাছাড়া পাইলেটস মানসিক চাপ কমানোর ক্ষেত্রেও উপযোগী। যা পরোক্ষে লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১৫-২০ মিনিটের পাইলেটস লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। উল্লেখ্য, পাইলেটসের মধ্যে ফ্লোর ম্যাট এক্সারসাইজ় থেকে বহু রকমের ব্যায়াম অন্তর্ভুক্ত।
* পায়ে হেঁটে ভ্রমণ
রোজ নয়, সপ্তাহে এক দিন যদি প্রকৃতির কোলে অন্তত ৫ মাইল পথ হাঁটতে পারেন, তা-ও লিভারের জন্য ভালো। এই পথ যত কম মসৃণ হয়, ততই উপকৃত হবেন। সেক্ষেত্রে মেঠো পথ বা পাহাড়ি পথ উপযোগী। কারণ, তাতে শরীরের নিচের ভাগের পেশির সঞ্চালন বেশি হয়। যা শরীরকে দূষণমুক্ত করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি প্রকৃতির কোলে ভ্রমণ মন ভালো রাখে। তার সদর্থক প্রভাব পড়ে লিভারেও।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

গণভোটে পিআর পদ্ধতির প্রস্তাব অন্তুর্ভুক্ত করার দাবি জামায়াতের

যে ৫ ব্যায়ামে ভালো রাখবে লিভার

আপডেট সময় : ০৫:৫২:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: আধুনিক জীবনযাত্রা, খাদ্যাভাসে অনিয়ম এবং শরীরচর্চার অভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় লিভার। এতে লিভারের অসুখ তো বটেই, তার সঙ্গে হানা দিতে অন্যান্য রোগও। জীবনযাপনে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি কয়েকটি শরীরচর্চা করলে লিভারের সমস্যা ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব।
* ৩০ মিনিট শরীরচর্চা
শরীরচর্চার জন্য প্রতিদিন ৩০ মিনিট সময় ব্যয় করলেই হবে। এজন্য অবশ্য জিমে যাওয়ার দরকার নেই। বাড়িতে, রাস্তায়, খোলা মাঠে যেখানে খুশি শারীরিক কসরত করতে পারেন। উদ্দেশ্য হলো ঘাম ঝরানো আর প্রতিদিন আধঘণ্টার ওই শরীরচর্চার অভ্যাস তৈরি করা। সেটুকুই আপনার লিভারকে ভালো রাখবে।
* স্পিড ওয়াকিং
লিভারের স্বাস্থ্য ফেরানোর জন্য দ্রুত হাঁটা বা ‘স্পিড ওয়াকিংয়ের কোনো বিকল্প নেই। এই ধরনের হাঁটার দু’টি নিয়ম আছে। খুব জোরে হাঁটলেও একসঙ্গে দুটি পা কখনও মাটি ছাড়বে না। আরও বিশদে বললে, সামনের পায়ের গোড়ালি যতক্ষণ না মাটি ছুঁচ্ছে, ততক্ষণ পেছনের পায়ের আঙুল মাটি ছাড়বে না। দুই, সামনের পা যতক্ষণ না পেছন দিকে যাচ্ছে, ততক্ষণ হাঁটু মুড়বে না। সোজা থাকবে। এভাবে হাঁটলে পায়ের নিচের দিকের পেশি কাজ করে বেশি। হাঁটু বা অন্যান্য হাড়ের সন্ধিস্থলে চাপ পড়ে না। অথচ হৃৎস্পন্দনও বৃদ্ধি করে। যা লিভারকে অতিরিক্ত চর্বিমুক্ত করতে সাহায্য করে। রোজ এমন ২০-৩০ মিনিটের স্পিড ওয়াকিং লিভারের জন্য ভালো।
* স্ট্রেন্থ ট্রেনিং
যেসব শারীরিক কসরতে স্ট্রেন্থ ট্রেনিং হয় (যেমন পুশ-আপস, স্কোয়াটস ইত্যাদি), সেগুলো লিভারের জন্য ভালো। এই ধরনের শরীরচর্চা যেমন পেশির ক্ষমতা বাড়ায়, তেমনই ফ্যাটকে ভাঙতেও সাহায্য করে। প্রথমে অল্প করে শুরু করুন। ১০-১৫ বার পুশ-আপস বা স্কোয়াট করুন। তার পরে ধীরে ধীরে সংখ্যা বাড়ান।
* পাইলেটস
লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য পাইলেটস ভালো। কারণ পাইলেটস শরীরের নমনীয়তা আর পেশির শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি নিয়ন্ত্রিত শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালনেও সাহায্য করে। যে হেতু লিভার রক্ত দূষণমুক্ত করে, উন্নত রক্ত সঞ্চালন সেই কাজে সাহায্য করবে। তাছাড়া পাইলেটস মানসিক চাপ কমানোর ক্ষেত্রেও উপযোগী। যা পরোক্ষে লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১৫-২০ মিনিটের পাইলেটস লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। উল্লেখ্য, পাইলেটসের মধ্যে ফ্লোর ম্যাট এক্সারসাইজ় থেকে বহু রকমের ব্যায়াম অন্তর্ভুক্ত।
* পায়ে হেঁটে ভ্রমণ
রোজ নয়, সপ্তাহে এক দিন যদি প্রকৃতির কোলে অন্তত ৫ মাইল পথ হাঁটতে পারেন, তা-ও লিভারের জন্য ভালো। এই পথ যত কম মসৃণ হয়, ততই উপকৃত হবেন। সেক্ষেত্রে মেঠো পথ বা পাহাড়ি পথ উপযোগী। কারণ, তাতে শরীরের নিচের ভাগের পেশির সঞ্চালন বেশি হয়। যা শরীরকে দূষণমুক্ত করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি প্রকৃতির কোলে ভ্রমণ মন ভালো রাখে। তার সদর্থক প্রভাব পড়ে লিভারেও।