ঢাকা ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

যে ৫ অভ্যাস আপনার সাফল্যকে নষ্ট করতে পারে

  • আপডেট সময় : ০৪:২৯:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • ১৬২ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক: আজকের পৃথিবীতে সাফল্য অর্জনের জন্য অনেক কিছুর প্রয়োজন- কঠোর পরিশ্রম, স্থিতিস্থাপকতা এবং দৃঢ় সংকল্প তো রয়েছেই, সেইসঙ্গে সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় থাকা, ভাগ্য, অধ্যবসায় এবং অন্যান্য বিষয়ও গুরুত্বপূর্ণ। সফল হওয়া যদিও একটি কঠিন কাজ, সফলতা ধরে রাখা আরও কঠিন। অনেকে দ্রুত সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে ওঠে ঠিকই, তবে খুব কম লোকই তা ধরে রাখতে পারে। কিছু অভ্যাসও রয়েছে যা আপনার সাফল্যকে নষ্ট করার জন্য দায়ী। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস
আত্মবিশ্বাসী হওয়া খুবই ভালো। এটি এগিয়ে যেতে সাহায্য করে এবং সম্মান এনে দেয়। তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ব্যর্থতা ডেকে আনতে পারে, এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সফলতাকে নষ্ট করে দেয়। অন্যদের মতামতকে অস্বীকার করা, কেবল নিজেকে সঠিক বলে মনে করা এবং অন্যদের ওপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করা, নিশ্চিত বিপর্যয় ডেকে আনে।
২. শেখা বন্ধ করে দেওয়া
অনেকেই মনে করে যে, সাফল্যের শিখরে পৌঁছালে আর শেখা প্রয়োজন নেই। জীবনের একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে পৌঁছানোর পরে আপনার পোর্টফোলিওকে আরও বৈচিত্র্যময় করা উচিত। জীবনে যেখানেই পৌঁছান না কেন, কখনোই শেখা থামানো উচিত নয়।
৩. বন্ধু ও পরিবারকে উপেক্ষা করা
সফল হওয়াটা দারুণ, সেই সাফল্য ভাগাভাগি করার জন্য পরিবার এবং বন্ধুদের একটি ঘনিষ্ঠ দল থাকা আরও ভালো। মনে রাখবেন, সাফল্য কখনোই একক জয় নয়, এর পেছনে আপনার প্রিয়জনদেরও অনেক অবদান রয়েছে। তাই কাজের জন্য তাদের অবহেলা করা কেবল ভুলই নয়, বরং সবকিছু নষ্ট করার দ্রুততম উপায়, কারণ এমনটা করলে শীঘ্রই আপনি পৃথিবীতে একা হয়ে যাবেন!
৪. নিজের যত্ন না নেওয়া
পৃথিবীর সমস্ত সমস্যা একদিকে আর স্বাস্থ্য সমস্যা আরেক দিকে। আমাদের শরীর এবং মন একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। জীবনের যে পর্যায়েই থাকুন না কেন, নিজেদের যত্ন নেওয়া বন্ধ করবেন না। নিজের যত্ন নেওয়ার কথা ভুলে সফলতার পেছনে লেগে থাকবেন না। নিজের যত্ন নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় থাকতে হবে। শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা মেলে এমন সব কাজ নিয়মিত করতে হবে।
৫. ব্যর্থতার ভয়
যদিও একদিন আপনি সবকিছু হারাতে পারেন এই ভয়ে ভীত হওয়া স্বাভাবিক, তবে একই ভয়ে অবিরাম থাকা একেবারেই ঠিক নয়। সাফল্য ক্ষণিকের জন্য হতে পারে, আপনি এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য ধরে রাখতে পারেন বা নাও রাখতে পারেন, তবে তা নিয়ে চিন্তা করা উচিত নয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সূর্যের আলো জ্বলতে থাকাকালীন কাজ করা, যাতে আপনার ভবিষ্যত সুরক্ষিত হয়। দিনের শেষে, ভালো বা খারাপ কিছুই চিরকাল স্থায়ী হয় না, তাই আমাদের জীবনে এই সত্যের সঙ্গে শান্তি স্থাপন করা উচিত।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

অনেক বছর পর সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ভোট হবে: প্রধান উপদেষ্টা

যে ৫ অভ্যাস আপনার সাফল্যকে নষ্ট করতে পারে

আপডেট সময় : ০৪:২৯:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক: আজকের পৃথিবীতে সাফল্য অর্জনের জন্য অনেক কিছুর প্রয়োজন- কঠোর পরিশ্রম, স্থিতিস্থাপকতা এবং দৃঢ় সংকল্প তো রয়েছেই, সেইসঙ্গে সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় থাকা, ভাগ্য, অধ্যবসায় এবং অন্যান্য বিষয়ও গুরুত্বপূর্ণ। সফল হওয়া যদিও একটি কঠিন কাজ, সফলতা ধরে রাখা আরও কঠিন। অনেকে দ্রুত সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে ওঠে ঠিকই, তবে খুব কম লোকই তা ধরে রাখতে পারে। কিছু অভ্যাসও রয়েছে যা আপনার সাফল্যকে নষ্ট করার জন্য দায়ী। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস
আত্মবিশ্বাসী হওয়া খুবই ভালো। এটি এগিয়ে যেতে সাহায্য করে এবং সম্মান এনে দেয়। তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ব্যর্থতা ডেকে আনতে পারে, এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সফলতাকে নষ্ট করে দেয়। অন্যদের মতামতকে অস্বীকার করা, কেবল নিজেকে সঠিক বলে মনে করা এবং অন্যদের ওপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করা, নিশ্চিত বিপর্যয় ডেকে আনে।
২. শেখা বন্ধ করে দেওয়া
অনেকেই মনে করে যে, সাফল্যের শিখরে পৌঁছালে আর শেখা প্রয়োজন নেই। জীবনের একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে পৌঁছানোর পরে আপনার পোর্টফোলিওকে আরও বৈচিত্র্যময় করা উচিত। জীবনে যেখানেই পৌঁছান না কেন, কখনোই শেখা থামানো উচিত নয়।
৩. বন্ধু ও পরিবারকে উপেক্ষা করা
সফল হওয়াটা দারুণ, সেই সাফল্য ভাগাভাগি করার জন্য পরিবার এবং বন্ধুদের একটি ঘনিষ্ঠ দল থাকা আরও ভালো। মনে রাখবেন, সাফল্য কখনোই একক জয় নয়, এর পেছনে আপনার প্রিয়জনদেরও অনেক অবদান রয়েছে। তাই কাজের জন্য তাদের অবহেলা করা কেবল ভুলই নয়, বরং সবকিছু নষ্ট করার দ্রুততম উপায়, কারণ এমনটা করলে শীঘ্রই আপনি পৃথিবীতে একা হয়ে যাবেন!
৪. নিজের যত্ন না নেওয়া
পৃথিবীর সমস্ত সমস্যা একদিকে আর স্বাস্থ্য সমস্যা আরেক দিকে। আমাদের শরীর এবং মন একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। জীবনের যে পর্যায়েই থাকুন না কেন, নিজেদের যত্ন নেওয়া বন্ধ করবেন না। নিজের যত্ন নেওয়ার কথা ভুলে সফলতার পেছনে লেগে থাকবেন না। নিজের যত্ন নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় থাকতে হবে। শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা মেলে এমন সব কাজ নিয়মিত করতে হবে।
৫. ব্যর্থতার ভয়
যদিও একদিন আপনি সবকিছু হারাতে পারেন এই ভয়ে ভীত হওয়া স্বাভাবিক, তবে একই ভয়ে অবিরাম থাকা একেবারেই ঠিক নয়। সাফল্য ক্ষণিকের জন্য হতে পারে, আপনি এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য ধরে রাখতে পারেন বা নাও রাখতে পারেন, তবে তা নিয়ে চিন্তা করা উচিত নয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সূর্যের আলো জ্বলতে থাকাকালীন কাজ করা, যাতে আপনার ভবিষ্যত সুরক্ষিত হয়। দিনের শেষে, ভালো বা খারাপ কিছুই চিরকাল স্থায়ী হয় না, তাই আমাদের জীবনে এই সত্যের সঙ্গে শান্তি স্থাপন করা উচিত।