ঢাকা ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

যে ঘড়িতে কখনো বারোটা বাজে না

  • আপডেট সময় : ১২:০৪:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অগাস্ট ২০২১
  • ৭৫ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ঘড়িতে ১২টি সংখ্যা থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিশ্বে এমন একটি ঘড়ি আছে যা আর পাঁচটা ঘড়ির থেকে অনেকটাই আলাদা। ওই ঘড়িতে কখনো ১২টা বাজে না। কারণ ওই ঘড়িতে রয়েছে ১১টি সংখ্যা। সুইজারল্যান্ডের উত্তর পশ্চিমের শহর সোলোথার্নে রয়েছে এরকম অদ্ভুত ঘড়ি।
সোলোথার্নে ঘুরতে এসে পর্যটকরা কিছু সময়ের জন্য থমকে যান শহরের কেন্দ্রস্থল টাউন স্কোয়ারের সামনে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে। সেই ঘড়িতে আছে ১১টি সংখ্যা। অর্থাৎ কখনো ১২টা বাজে না এই ঘড়িতে।
শুধু ঘড়ি নয়, এই শহরের সঙ্গে ১১ সংখ্যাটার সম্পর্ক একটু বেশিই নিবিড়। শহরের কমবেশি সবকিছুর সঙ্গেই জুড়ে রয়েছে ১১ সংখ্যাটি। যেমন এই শহরে রয়েছে ১১টি জাদুঘর, ১১টি গির্জা, ১১টি ঝর্ণা সহ আরো অনেক কিছু।
২০০০ বছর আগে রোমানরা এই শহরের পত্তন করেছিলেন। যদিও তখন এতটা জনপ্রিয় ছিল না ওই শহর। তবে যত দিন গিয়েছে এই শহরের সঙ্গে ১১ সংখ্যাটি জড়িয়ে গেছে কাকতালীয়ভাবে। ১২১৫ সালে যখন সোলোথার্নে কাউন্সিলর নির্বাচনে হয় তখন ১১ জন প্রতিনিধিকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
১৪৮১ সালে সোলোথার্ন সুইস কনফেডারেশনের ১১তম প্রদেশ হিসেবে যুক্ত হয়। ওই সময় ১১ জন শহর রক্ষাকর্তা নিয়োগ করা হয়েছিল। এরপর ১৫ শতকের গোড়ার দিকে শহরে সেন্ট আরসুস গির্জা নির্মাণ করা হয়। সেই গির্জায় রয়েছে ১১টি দরজা, ১১টি জানলা, ১১টি রো এবং ১১টি ঘণ্টা। ওই গির্জা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছিল ১১ রকমের পাথর। সোলোথার্নে পা রাখলেই বোঝা যাবে ১১ সংখ্যার সঙ্গে শহরবাসীর দুর্বলতা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

যে ঘড়িতে কখনো বারোটা বাজে না

আপডেট সময় : ১২:০৪:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অগাস্ট ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : ঘড়িতে ১২টি সংখ্যা থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিশ্বে এমন একটি ঘড়ি আছে যা আর পাঁচটা ঘড়ির থেকে অনেকটাই আলাদা। ওই ঘড়িতে কখনো ১২টা বাজে না। কারণ ওই ঘড়িতে রয়েছে ১১টি সংখ্যা। সুইজারল্যান্ডের উত্তর পশ্চিমের শহর সোলোথার্নে রয়েছে এরকম অদ্ভুত ঘড়ি।
সোলোথার্নে ঘুরতে এসে পর্যটকরা কিছু সময়ের জন্য থমকে যান শহরের কেন্দ্রস্থল টাউন স্কোয়ারের সামনে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে। সেই ঘড়িতে আছে ১১টি সংখ্যা। অর্থাৎ কখনো ১২টা বাজে না এই ঘড়িতে।
শুধু ঘড়ি নয়, এই শহরের সঙ্গে ১১ সংখ্যাটার সম্পর্ক একটু বেশিই নিবিড়। শহরের কমবেশি সবকিছুর সঙ্গেই জুড়ে রয়েছে ১১ সংখ্যাটি। যেমন এই শহরে রয়েছে ১১টি জাদুঘর, ১১টি গির্জা, ১১টি ঝর্ণা সহ আরো অনেক কিছু।
২০০০ বছর আগে রোমানরা এই শহরের পত্তন করেছিলেন। যদিও তখন এতটা জনপ্রিয় ছিল না ওই শহর। তবে যত দিন গিয়েছে এই শহরের সঙ্গে ১১ সংখ্যাটি জড়িয়ে গেছে কাকতালীয়ভাবে। ১২১৫ সালে যখন সোলোথার্নে কাউন্সিলর নির্বাচনে হয় তখন ১১ জন প্রতিনিধিকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
১৪৮১ সালে সোলোথার্ন সুইস কনফেডারেশনের ১১তম প্রদেশ হিসেবে যুক্ত হয়। ওই সময় ১১ জন শহর রক্ষাকর্তা নিয়োগ করা হয়েছিল। এরপর ১৫ শতকের গোড়ার দিকে শহরে সেন্ট আরসুস গির্জা নির্মাণ করা হয়। সেই গির্জায় রয়েছে ১১টি দরজা, ১১টি জানলা, ১১টি রো এবং ১১টি ঘণ্টা। ওই গির্জা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছিল ১১ রকমের পাথর। সোলোথার্নে পা রাখলেই বোঝা যাবে ১১ সংখ্যার সঙ্গে শহরবাসীর দুর্বলতা।