ঢাকা ১০:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

যে কারণে পালিত হয় জাতিসংঘ দিবস

  • আপডেট সময় : ১২:৪৭:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ২৪ অক্টোবর ছিল ৭৫তম জাতিসংঘ দিবস। পৃথিবীর সব স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রে যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানা আয়োজনে দিবসটি পালিত হয়। ১৯৪৫ সালের এই দিনে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে জাতিসংঘ।
ইতোপূর্বে গঠিত লিগ অব নেশনস বিলুপ্ত হওয়ায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এ ধরনের আরেকটি সংস্থা গঠনের তীব্র প্রয়োজন অনুভূত হয়। মূলত তা থেকেই বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্ষমতার এই আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংস্থাটি গঠিত হয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশগুলোর প্রায় চার বছরের চেষ্টা ও ধারাবাহিক আলোচনার প্রেক্ষাপটে ১৯৪৫ সালের এই দিনে প্রাথমিকভাবে ৪৬টি সদস্য দেশ জাতিসংঘ সনদকে অনুসমর্থন দেয়।পরবর্তীকালে ১৯৪৭ সালের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ২৪ অক্টোবরকে জাতিসংঘ দিবস হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। জাতিসংঘ সপ্তাহ পালন করা হয় ২০ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত।
সচরাচরভাবে জাতিসংঘ দিবসে বিভিন্ন ধরনের সভা-সমাবেশ, আলোচনা-অনুষ্ঠান এবং প্রদর্শনীর মাধ্যমে উদযাপিত হয়। এ দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো বিশ্ববাসীর কাছে জাতিসংঘের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যকে উৎসর্গ করা। মূলত দিবসটিতে জাতিসংঘের বৈশ্বিক অর্জন ও উদ্দেশ্যকে জনসমক্ষে তুলে ধরা হয়। জাতিসংঘের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ৭টি।
১. শান্তি ভঙের হুমকি ও আক্রমণাত্মক প্রবণতা ও কার্যকলাপ দূর করে বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
২. সব মানুষের সমান অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে বিভিন্ন জাতির মধ্যে সহযোগিতা ও বন্ধুত্ব জোরদার করা।
৩. অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে পুরো জাতির মধ্যে সহযোগিতা গড়ে তোলা।
৪. জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ গড়ে তোলা।
৫. আন্তর্জাতিক আইনের সাহায্যে আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান নিশ্চিত করা।
৬. প্রত্যেক জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের স্বীকৃতি এবং তা সমুন্নত রাখা।
৭. উদ্দেশ্যগুলো বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘের কার্যধারা অনুসরণ করা।
১৯৭১ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ তাদের সদস্যভূক্ত দেশসমূহে দিবসটিকে ছুটির দিন হিসেবে পালনের জন্য সুপারিশ করে। এর প্রেক্ষিতে ১৯৪৬ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতিগণ জাতিসংঘ দিবস উপলক্ষে ভাষণ দিয়ে আসছেন। সর্বশেষ ভাষণটি প্রদান করেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা। কসোভোয় জাতিসংঘ দিবস উপলক্ষে অন্তর্র্বতীকালীন প্রশাসন সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করে। জাতিসংঘ দিবসের পাশাপাশি একই দিনে বিশ্ব উন্নয়ন তথ্য দিবস পালন করা হয়। জাতিসংঘের উদ্যোগে ১৯৭২ সাল থেকে প্রতি বছরের ২৪ অক্টোবর এ দিনটি বৈশ্বিকভাবে পালিত হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইইউ ও মেক্সিকোর ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প

যে কারণে পালিত হয় জাতিসংঘ দিবস

আপডেট সময় : ১২:৪৭:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : ২৪ অক্টোবর ছিল ৭৫তম জাতিসংঘ দিবস। পৃথিবীর সব স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রে যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানা আয়োজনে দিবসটি পালিত হয়। ১৯৪৫ সালের এই দিনে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে জাতিসংঘ।
ইতোপূর্বে গঠিত লিগ অব নেশনস বিলুপ্ত হওয়ায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এ ধরনের আরেকটি সংস্থা গঠনের তীব্র প্রয়োজন অনুভূত হয়। মূলত তা থেকেই বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্ষমতার এই আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংস্থাটি গঠিত হয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশগুলোর প্রায় চার বছরের চেষ্টা ও ধারাবাহিক আলোচনার প্রেক্ষাপটে ১৯৪৫ সালের এই দিনে প্রাথমিকভাবে ৪৬টি সদস্য দেশ জাতিসংঘ সনদকে অনুসমর্থন দেয়।পরবর্তীকালে ১৯৪৭ সালের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ২৪ অক্টোবরকে জাতিসংঘ দিবস হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। জাতিসংঘ সপ্তাহ পালন করা হয় ২০ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত।
সচরাচরভাবে জাতিসংঘ দিবসে বিভিন্ন ধরনের সভা-সমাবেশ, আলোচনা-অনুষ্ঠান এবং প্রদর্শনীর মাধ্যমে উদযাপিত হয়। এ দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো বিশ্ববাসীর কাছে জাতিসংঘের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যকে উৎসর্গ করা। মূলত দিবসটিতে জাতিসংঘের বৈশ্বিক অর্জন ও উদ্দেশ্যকে জনসমক্ষে তুলে ধরা হয়। জাতিসংঘের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ৭টি।
১. শান্তি ভঙের হুমকি ও আক্রমণাত্মক প্রবণতা ও কার্যকলাপ দূর করে বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
২. সব মানুষের সমান অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে বিভিন্ন জাতির মধ্যে সহযোগিতা ও বন্ধুত্ব জোরদার করা।
৩. অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে পুরো জাতির মধ্যে সহযোগিতা গড়ে তোলা।
৪. জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ গড়ে তোলা।
৫. আন্তর্জাতিক আইনের সাহায্যে আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান নিশ্চিত করা।
৬. প্রত্যেক জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের স্বীকৃতি এবং তা সমুন্নত রাখা।
৭. উদ্দেশ্যগুলো বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘের কার্যধারা অনুসরণ করা।
১৯৭১ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ তাদের সদস্যভূক্ত দেশসমূহে দিবসটিকে ছুটির দিন হিসেবে পালনের জন্য সুপারিশ করে। এর প্রেক্ষিতে ১৯৪৬ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতিগণ জাতিসংঘ দিবস উপলক্ষে ভাষণ দিয়ে আসছেন। সর্বশেষ ভাষণটি প্রদান করেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা। কসোভোয় জাতিসংঘ দিবস উপলক্ষে অন্তর্র্বতীকালীন প্রশাসন সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করে। জাতিসংঘ দিবসের পাশাপাশি একই দিনে বিশ্ব উন্নয়ন তথ্য দিবস পালন করা হয়। জাতিসংঘের উদ্যোগে ১৯৭২ সাল থেকে প্রতি বছরের ২৪ অক্টোবর এ দিনটি বৈশ্বিকভাবে পালিত হয়।