প্রযুক্তি ডেস্ক: মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস কাজ থেকে অবসর নিলেও নিজের প্রতিষ্ঠা করা ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’-এর মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে উদ্ভাবন ও গবেষণার কাজে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে থাকেন। কিন্তু নিজের মেয়ে ফোবি গেটসের নতুন চালু করা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিনির্ভর শপিং অ্যাপ ‘ফিয়া’তে কোনো অর্থ বিনিয়োগ করেননি বিল গেটস। অর্থ বিনিয়োগের পরিবর্তে মেয়েকে ব্যবসাবিষয়ক বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। ফিয়া শপিং অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের খুচরা দাম তুলনা করতে সাহায্য করে। এর ফলে ক্রেতারা সহজেই কম দামে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারেন।
নিজের মেয়ের নতুন শপিং অ্যাপে ইচ্ছা করেই বিনিয়োগ না করার কথা জানিয়েছেন বিল গেটস। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি জানান, বিনিয়োগ করলে ব্যবসাটি নিবিড়ভাবে তদারকি করতেন তিনি। একজন বিনিয়োগকারী হিসেবে কাজ করার পরিবর্তে তিনি ফোবিকে কর্মীদের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন এবং তহবিল গঠনের বিষয়টি অন্যদের ওপর ছেড়ে দেন।
বিল গেটস সব সময়ই তাঁর সন্তানদের নিজেদের পথ খুঁজো বের করতে উৎসাহ দেন। সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে বিল গেটস বলেন, ‘ফিয়ার ওয়েব ব্রাউজার ও অ্যাপ লাইভ হওয়ার পরপরই আমি ভেবেছিলাম, সে নিশ্চয়ই এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করবে। ভাগ্যক্রমে তা হয়নি। আসলে কেনাকাটার বিষয়ে আমি ঠিক টার্গেট ব্যক্তি নই। ফোবি আমার চেয়ে বেশ আলাদা। সে মানুষের সঙ্গে খুব ভালো আচরণ করে। আমরা যখন পারিবারিক ছুটিতে বেড়াতে যাই, তখন আমরা সৈকতে মানুষের থেকে দূরে থাকি। অন্যদিকে ফোবি সমুদ্রসৈকতে গিয়ে মানুষের সঙ্গে দেখা করবে। আমাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে তাদের আমাদের সঙ্গে নিয়ে আসবে।’
ফোবি তাঁর স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রুমমেট এবং জলবায়ুকর্মী সোফিয়া কিয়ান্নির সঙ্গে মিলে বিনা মূল্যের এআই-চালিত শপিং অ্যাপ ফিয়া চালু করেছেন। ৪০ হাজারের বেশি খুচরা বিক্রেতা ও প্ল্যাটফর্মের দাম তুলনা করে বিভিন্ন পণ্য কেনার সুযোগ মিলে থাকে ফিয়ার মাধ্যমে।
গত মাসে এক পডকাস্টে বিল গেটস তাঁর সম্পদের ১ শতাংশের কম অংশ তাঁর সন্তানদের দেওয়ার পরিকল্পনা কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বিশ্বাস করেন, উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পদের ওপর নির্ভরশীল হওয়ার চেয়ে সন্তানদের নিজের প্রচেষ্টায় সফল হওয়া উচিত। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া