ঢাকা ০৮:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
যে কারণে তাজউদ্দীনকে নিয়ে গাইলেন সায়ান

যে কারণে তাজউদ্দীনকে নিয়ে গাইলেন সায়ান

  • আপডেট সময় : ১২:২৫:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩
  • ১১৪ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক: দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যে’কজন নেতার ভূমিকা অসামান্য, অবিস্মরণীয়, তাদের একজন তাজউদ্দীন আহমদ। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হন এই নন্দিত নেতা। যদিও রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় পরিম-লে তাকে ঘিরে এখন আর খুব একটা চর্চা দেখা যায় না। এই অপূর্ণতার আক্ষেপ থেকেই একটি গান বেঁধেছেন সংগীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) তাজউদ্দীনের প্রয়াণ দিবসে এটি শিল্পীর ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে অবমুক্ত করা হয়েছে। বরাবরের মতো এই গানের কথা লিখেছেন ও সুর করেছেন সায়ান নিজেই। সংগীতায়োজনে শুভ সুলতান। আর এর লিরিক্যাল ভিডিও বানিয়েছেন সৌখিন ও সানি। এই প্রথম কোনও একজন ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে গান বেঁধেছেন সায়ান। তার ভাষ্য, ‘একজন ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে কোনও গান এই পর্যন্ত আমি করিনি। পৃথিবীতে অনেক বড় বড় ব্যক্তিত্ব আছেন, তাদেরকে নিয়ে চাইলে গান তো গাওয়াই যায়। তবে আমি যে মানুষগুলোকে শ্রদ্ধা করি, ভালোবাসি, তাদেরকে নিয়ে গান বাঁধা হয় না। তাদেরকে মনে ধারণ করার চেষ্টা করি, তাদের আদর্শ লালনের চেষ্টা করি।’ তাহলে কথা-সুরে তাজউদ্দীনের বন্দনা করলেন কেন? পরিষ্কার করলেন সেটিও। সায়ানের বক্তব্য, ‘তিনি অত্যন্ত অপ্রচারিত একজন মানুষ। তিনি যে কাজ করেছেন বাংলাদেশের জন্য, সেই তুলনায় তার নামটা অন্তত স্মরণ করবো, এই কাজটাও আমরা করতে পারিনি। তাজউদ্দীন যেই মাপের মানুষ, তাকে স্মরণের ক্ষেত্রে আমরা আসলে নিজেদের প্রতিও সুবিচার করিনি। সেই জায়গা থেকেই মনে হয়েছে, এই মানুষটিকে নিয়ে একটি গান গেয়ে নিজেকে খানিকটা শান্তি দিতে চাই।’ ‘তোমাকে হয়ত লোকে ভুলে গেছে তাজউদ্দীন, আমার পক্ষ থেকে স্বীকার করতে চাই এই ঋণ’; কিংবা ‘বলতেই পারো তুমি অনেক দেরিতে এই আসা, আমার এই গানে নিও বাংলাদেশের ভালোবাসা’- এমন অনবদ্য কথায় সাজানো গানটি প্রকাশের পর থেকেই পাচ্ছে প্রশংসা। তবে সায়ানের প্রত্যাশা, তার গানটি শোনার পাশাপাশি তাজউদ্দীনকে নিয়ে এই প্রজন্ম যেন চর্চা করে। তার জীবন ও রাজনৈতিক ইতিহাস যেন কিছুটা হলেও জেনে নেয়। এ জন্য কিছু বই ও তথ্যচিত্রের সন্ধানও দিয়েছেন এই সংগীতযোদ্ধা।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

যে কারণে তাজউদ্দীনকে নিয়ে গাইলেন সায়ান

যে কারণে তাজউদ্দীনকে নিয়ে গাইলেন সায়ান

আপডেট সময় : ১২:২৫:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩

বিনোদন ডেস্ক: দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যে’কজন নেতার ভূমিকা অসামান্য, অবিস্মরণীয়, তাদের একজন তাজউদ্দীন আহমদ। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হন এই নন্দিত নেতা। যদিও রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় পরিম-লে তাকে ঘিরে এখন আর খুব একটা চর্চা দেখা যায় না। এই অপূর্ণতার আক্ষেপ থেকেই একটি গান বেঁধেছেন সংগীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) তাজউদ্দীনের প্রয়াণ দিবসে এটি শিল্পীর ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে অবমুক্ত করা হয়েছে। বরাবরের মতো এই গানের কথা লিখেছেন ও সুর করেছেন সায়ান নিজেই। সংগীতায়োজনে শুভ সুলতান। আর এর লিরিক্যাল ভিডিও বানিয়েছেন সৌখিন ও সানি। এই প্রথম কোনও একজন ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে গান বেঁধেছেন সায়ান। তার ভাষ্য, ‘একজন ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে কোনও গান এই পর্যন্ত আমি করিনি। পৃথিবীতে অনেক বড় বড় ব্যক্তিত্ব আছেন, তাদেরকে নিয়ে চাইলে গান তো গাওয়াই যায়। তবে আমি যে মানুষগুলোকে শ্রদ্ধা করি, ভালোবাসি, তাদেরকে নিয়ে গান বাঁধা হয় না। তাদেরকে মনে ধারণ করার চেষ্টা করি, তাদের আদর্শ লালনের চেষ্টা করি।’ তাহলে কথা-সুরে তাজউদ্দীনের বন্দনা করলেন কেন? পরিষ্কার করলেন সেটিও। সায়ানের বক্তব্য, ‘তিনি অত্যন্ত অপ্রচারিত একজন মানুষ। তিনি যে কাজ করেছেন বাংলাদেশের জন্য, সেই তুলনায় তার নামটা অন্তত স্মরণ করবো, এই কাজটাও আমরা করতে পারিনি। তাজউদ্দীন যেই মাপের মানুষ, তাকে স্মরণের ক্ষেত্রে আমরা আসলে নিজেদের প্রতিও সুবিচার করিনি। সেই জায়গা থেকেই মনে হয়েছে, এই মানুষটিকে নিয়ে একটি গান গেয়ে নিজেকে খানিকটা শান্তি দিতে চাই।’ ‘তোমাকে হয়ত লোকে ভুলে গেছে তাজউদ্দীন, আমার পক্ষ থেকে স্বীকার করতে চাই এই ঋণ’; কিংবা ‘বলতেই পারো তুমি অনেক দেরিতে এই আসা, আমার এই গানে নিও বাংলাদেশের ভালোবাসা’- এমন অনবদ্য কথায় সাজানো গানটি প্রকাশের পর থেকেই পাচ্ছে প্রশংসা। তবে সায়ানের প্রত্যাশা, তার গানটি শোনার পাশাপাশি তাজউদ্দীনকে নিয়ে এই প্রজন্ম যেন চর্চা করে। তার জীবন ও রাজনৈতিক ইতিহাস যেন কিছুটা হলেও জেনে নেয়। এ জন্য কিছু বই ও তথ্যচিত্রের সন্ধানও দিয়েছেন এই সংগীতযোদ্ধা।