ডা. আবু সাঈদ শিমুল
বছরের যে সময়টা ডেঙ্গুতে প্রাণহানি ও আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি থাকে, সেই সময় পেরিয়ে গেলেও কমছে না রোগটির ভয়াবহতা। এখনো প্রতিদিন প্রাণ যাচ্ছে মশাবাহিত এই জ্বরে, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও নেহাত কম নয়।
জ্বর আসার পর ডেঙ্গু পরীক্ষা না করা, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী না চলার কারণে অনেক রোগীর শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়। একসময় রোগীকে আর বাঁচানো সম্ভব হয় না।
আসলে না জেনে করা কিছু ভুলের কারণে ডেঙ্গুতে জটিলতা বাড়ে। তেমনই আটটি ভুলের কথা এখানে তুলে ধরা হলো-
১. জ্বর হলে পরীক্ষা না করা: এখন যেহেতু ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি তাই জ্বর হলে ডাক্তারের পরামর্শে ডেঙ্গুর পরীক্ষা করানো উচিত।
২. সঠিক সময়ে পরীক্ষা না করা: ডেঙ্গুর পরীক্ষা প্রথম ৩-৪ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করতে হবে ।
৩. ডাক্তার না দেখিয়ে নিজেই ডেঙ্গুর পরীক্ষা করা। পরে রিপোর্ট নেগেটিভ হলে নিশ্চিত থাকা। রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও ডেঙ্গু হতে পারে। এক্ষেত্রে লক্ষণ দেখে ও পর্যবেক্ষণ করে চিকিৎসকই সিদ্ধান্ত নেন।
৪. একবার পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত থাকা। আর পরীক্ষা না করা। ডেঙ্গুতে ভালো থাকলেও কয়েকবার পরীক্ষা করাতে হয়। জ্বর থাকলে একদিন পর পর এবং যখন জ্বর থাকবে না, তখন প্রতিদিন।
৫. প্লাটিলেট ভালো থাকলেই নিশ্চিত থাকা এবং নিজেকে বিপদমুক্ত মনে করা। অথচ ডেঙ্গুতে মৃত্যুর প্রধান কারণ পানিশূন্যতা, প্রেশার কমে যাওয়া।
৬. পর্যাপ্ত স্যালাইন ও অন্যান্য তরল না খাওয়া। পেঁপে পাতার রস বা অন্যান্য রস খেয়ে নিশ্চিন্ত থাকা।
৭. জ্বর কমে গেলে নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকা। জ্বর কমে গেলে অনেকে ক্ষেত্রেই জটিলতা শুরু হয়। যেমন- পানিশূন্যতা, প্রেশার কমে যাওয়া, প্লাটিলেট কমে যাওয়া- এসব হতে পারে। তাই জ্বর কমে গেলে নিশ্চিন্ত হওয়া যাবে না। জ্বর নেই কিন্তু শরীর খুব দুর্বল, নেতিয়ে পড়ছে, খেতে পারছে না- এক্ষেত্রে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।
৮. ডেঙ্গুর বিপদ চিহ্ন বুঝতে না পারা। ডেঙ্গুর বিপদ চিহ্নগুলো হলো- কিছুই খেতে না পারা, বারবার বমি, নেতিয়ে পড়া, পেটে ব্যথা, পেট ফুলে যাওয়া, বুকে পেটে পানি জমা, শক।
লেখক: শিশু বিশেষজ্ঞ
আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ


























