ঢাকা ০১:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

যে অভ্যাসে ঘুমের সমস্যা দূর হয়

  • আপডেট সময় : ০৯:৪২:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ অগাস্ট ২০২১
  • ৯৮ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : মানুষ জীবনের এক-তৃতীয়াংশের বেশি সময় ঘুমিয়ে কাটায়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে চার থেকে নয় ঘণ্টা ঘুম স্বাভাবিক এবং ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম হলো আদর্শ। দেখা গেছে, যারা নয় ঘণ্টা বা এর চেয়ে বেশি ঘুমান, তাদের মধ্যে বিভিন্ন রোগের প্রবণতা বেশি। নানা কারণে ঘুম কমে যেতে পারে।

মানসিক চাপ, উদ্বেগ থেকে শুরু করে খাদ্যাভ্যাস— ঘুম কমে যাওয়ার পিছনে নানা কারণ থাকতে পারে। এমন সমস্যা কাটিয়ে উঠতে অনেকেই ঘুমের ওষুধের সাহায্য নেন। ‘কয়েক দিন ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমোব, তার পরে বন্ধ করে দেব’— এমন একটা মানসিকতা নিয়ে ওষুধ খাওয়া শুরু হয়। কিন্তু তার পরে সেটাই আসক্তির জায়গায় পৌঁছে যায়। তখন আর ওষুধ না খেলে ঘুম আসে না।

ঘুমের ওষুধের নানা রমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। সকলের ক্ষেত্রে এক রকম না হলেও অনেকের ক্ষেত্রেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ভয়ঙ্কর দিকে যায়। যা ভবিষ্যতে অন্যান্য ক্ষতির আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। কোন কোন লক্ষণ দেখলে ঘুমের ওষুধ বন্ধ করবেন? জেনে নিন।

‘এভরিডে হেলথ’ নামের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত পত্রিকায় সম্প্রতি ছাপা হয়েছে ঘুমের ওষুধ সংক্রান্ত একটি সমীক্ষাপত্র। সেখানে বলা হয়েছে, ওষুধে থাকা যে রাসায়নিকের কারণে ঘুম আসে, তা সকালে ঘুম ভাঙার পরেও শরীরে অনেক ক্ষণ থেকে যায়। তার প্রভাব পড়ে স্মৃতিশক্তির উপর। অনেকের ক্ষেত্রে ঘুমের ওষুধের কারণে স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে। তেমন হলে এই ধরনের ওষুধ খাওয়া বন্ধ করতে হবে।

অনেকে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমান। আবার আপনার পাশে যিনি ঘুমান, তিনি কি কখনও বলেছেন, ঘুমের মধ্যে আপনি কথা বলেন। এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঘুমের ওষুধ ছাড়তে হবে। এ ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় অনেকেই ঘুমের মধ্যে হাঁটেন। এমন লক্ষণ দেখলে ছাড়তে হবে ওষুধটি।

সারা দিন গলা শুকিয়ে থাকছে? ঘুমের ওষুধের কারণে হতে পারে, তা হলে ছাড়তে হবে এই অভ্যাস।

প্রতিদিন অ্যাসিডির সমস্যা লেগে আছে? কখনও কোষ্ঠকাঠিন্য, কখনও পেটের গ-গোল? শরীরও দুর্বল? অন্য সমস্যার তুলনায় এটা মারাত্মক কিছু নয়। কিন্তু দীর্ঘ দিন এমন অবস্থা চললে অন্ত্রের ক্যানসারের আশঙ্কা বেড়ে যায়। পেটের এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পারমর্শ নিন।

উদ্বেগ জনিত সমস্যার কারণে দেওয়া ওষুধ, উচ্চ রক্ত চাপের জন্য আলফা, বেটা এবং আর্থ্রাইটিসের কারণে দেওয়া স্টেরয়েডের জন্য ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। থেরাপি, জীবন যাত্রার পরিবর্তন এমনকি প্রাকৃতিক কিছু কৌশল অনুসরণ করেও ঘুমের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ওষুধ ছাড়া ঘুমোনোর চেষ্টা করতে হবে। রোজ একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া, ঘুমের আগে ফোন না দেখা, রাতে মদ্যপান বা কফি থেকে দূরে থাকা।

ঘুমানোর আগে আরামাদায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করুন ও মন ভালো রাখে এমন কাজ করুন। রাতে ঘুমানো আগে মোবাইল ব্যবহার না করে আরাম করে এক কাপ ক্যামোমাইল চা পান করুন, আরাম অনুভূত হবে।

গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে পাঁচ দিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট নিয়মিত শরীরচর্চা করা হলে ঘুমের মান উন্নত হয়।

মানুষের মনকে শান্ত রাখে ও মানসিক চাপ কমাতে ধ্যান সাহায্য করে। নিয়ম মেনে ধ্যান করা হলে ঘুম ভালো হয়। এমন কয়েকটি সাধারণ অভ্যাসই কাটিয়ে দিতে পারে ঘুমের সমস্যা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

যে অভ্যাসে ঘুমের সমস্যা দূর হয়

আপডেট সময় : ০৯:৪২:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ অগাস্ট ২০২১

লাইফস্টাইল ডেস্ক : মানুষ জীবনের এক-তৃতীয়াংশের বেশি সময় ঘুমিয়ে কাটায়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে চার থেকে নয় ঘণ্টা ঘুম স্বাভাবিক এবং ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম হলো আদর্শ। দেখা গেছে, যারা নয় ঘণ্টা বা এর চেয়ে বেশি ঘুমান, তাদের মধ্যে বিভিন্ন রোগের প্রবণতা বেশি। নানা কারণে ঘুম কমে যেতে পারে।

মানসিক চাপ, উদ্বেগ থেকে শুরু করে খাদ্যাভ্যাস— ঘুম কমে যাওয়ার পিছনে নানা কারণ থাকতে পারে। এমন সমস্যা কাটিয়ে উঠতে অনেকেই ঘুমের ওষুধের সাহায্য নেন। ‘কয়েক দিন ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমোব, তার পরে বন্ধ করে দেব’— এমন একটা মানসিকতা নিয়ে ওষুধ খাওয়া শুরু হয়। কিন্তু তার পরে সেটাই আসক্তির জায়গায় পৌঁছে যায়। তখন আর ওষুধ না খেলে ঘুম আসে না।

ঘুমের ওষুধের নানা রমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। সকলের ক্ষেত্রে এক রকম না হলেও অনেকের ক্ষেত্রেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ভয়ঙ্কর দিকে যায়। যা ভবিষ্যতে অন্যান্য ক্ষতির আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। কোন কোন লক্ষণ দেখলে ঘুমের ওষুধ বন্ধ করবেন? জেনে নিন।

‘এভরিডে হেলথ’ নামের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত পত্রিকায় সম্প্রতি ছাপা হয়েছে ঘুমের ওষুধ সংক্রান্ত একটি সমীক্ষাপত্র। সেখানে বলা হয়েছে, ওষুধে থাকা যে রাসায়নিকের কারণে ঘুম আসে, তা সকালে ঘুম ভাঙার পরেও শরীরে অনেক ক্ষণ থেকে যায়। তার প্রভাব পড়ে স্মৃতিশক্তির উপর। অনেকের ক্ষেত্রে ঘুমের ওষুধের কারণে স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে। তেমন হলে এই ধরনের ওষুধ খাওয়া বন্ধ করতে হবে।

অনেকে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমান। আবার আপনার পাশে যিনি ঘুমান, তিনি কি কখনও বলেছেন, ঘুমের মধ্যে আপনি কথা বলেন। এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঘুমের ওষুধ ছাড়তে হবে। এ ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় অনেকেই ঘুমের মধ্যে হাঁটেন। এমন লক্ষণ দেখলে ছাড়তে হবে ওষুধটি।

সারা দিন গলা শুকিয়ে থাকছে? ঘুমের ওষুধের কারণে হতে পারে, তা হলে ছাড়তে হবে এই অভ্যাস।

প্রতিদিন অ্যাসিডির সমস্যা লেগে আছে? কখনও কোষ্ঠকাঠিন্য, কখনও পেটের গ-গোল? শরীরও দুর্বল? অন্য সমস্যার তুলনায় এটা মারাত্মক কিছু নয়। কিন্তু দীর্ঘ দিন এমন অবস্থা চললে অন্ত্রের ক্যানসারের আশঙ্কা বেড়ে যায়। পেটের এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পারমর্শ নিন।

উদ্বেগ জনিত সমস্যার কারণে দেওয়া ওষুধ, উচ্চ রক্ত চাপের জন্য আলফা, বেটা এবং আর্থ্রাইটিসের কারণে দেওয়া স্টেরয়েডের জন্য ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। থেরাপি, জীবন যাত্রার পরিবর্তন এমনকি প্রাকৃতিক কিছু কৌশল অনুসরণ করেও ঘুমের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ওষুধ ছাড়া ঘুমোনোর চেষ্টা করতে হবে। রোজ একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া, ঘুমের আগে ফোন না দেখা, রাতে মদ্যপান বা কফি থেকে দূরে থাকা।

ঘুমানোর আগে আরামাদায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করুন ও মন ভালো রাখে এমন কাজ করুন। রাতে ঘুমানো আগে মোবাইল ব্যবহার না করে আরাম করে এক কাপ ক্যামোমাইল চা পান করুন, আরাম অনুভূত হবে।

গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে পাঁচ দিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট নিয়মিত শরীরচর্চা করা হলে ঘুমের মান উন্নত হয়।

মানুষের মনকে শান্ত রাখে ও মানসিক চাপ কমাতে ধ্যান সাহায্য করে। নিয়ম মেনে ধ্যান করা হলে ঘুম ভালো হয়। এমন কয়েকটি সাধারণ অভ্যাসই কাটিয়ে দিতে পারে ঘুমের সমস্যা।