ঢাকা ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

যেসব শিল্প কারখানা খোলা

  • আপডেট সময় : ০১:১৫:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুলাই ২০২১
  • ৬১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত ১৪ দিনের কিঠোর বিধিনিষেধ চলাকালে খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ মিল কারখানা খোলা থাকবে। এছাড়া কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপদনকারী শিল্পকারখানা খোলা থাকবে। কঠোর বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকবে যেসব খাতঃ
১) খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পকারখানা খোলা থাকবে।
২) কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প কারখানা খোলা থাকবে।
৩) ওষুধ, অক্সিজেন ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্প কারখানা খোলা থাকবে। গত ১৩ জুলাই বিধিনিষেধে আরোপ করার পর গত ১৯ জুলাই এই আদেশ জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। উল্লেখ্য, সার্বিক চলাচলে জরুরি সেবা সার্ভিস আগের মতোই চালু থাকবে। এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দফতর সীমিত আকারে খোলা থাকবে কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালে।
৫ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ পোশাক কারখানা
তৈরি পোশাক কারখানা (গার্মেন্টস) আগামী ৫ আগস্টের আগে খুলছে না বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। ২২ জুলাই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। এ সময় বিধিনিষেধ কার্যকর করতে সবার সহযোগিতা চান তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু অফিস বা কর্মক্ষেত্র বন্ধ থাকবে, যেহেতু যারা বাড়িতে গেছেন তারা সময় নিয়ে গেছেন, ৫ তারিখের পরেই যেনো তারা আসেন। তাদের তো (বিধিনিষেধ চলাকালে) আসার প্রয়োজন নেই। করোনার সংক্রমণ কমানোর জন্য অবশ্যই বিধিনিষেধ মানতে হবে। ঘরে থাকতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হবেন না। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বেরুতে হলে ডাবল মাস্ক পরবেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।
১৪ দিন শপিং মল-দোকানপাট বন্ধ
আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউনে রাজধানীসহ সারাদেশের শপিং মল, মার্কেটসহ সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে। তবে কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাবেচা করা যাবে। এছাড়া খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে যুক্ত মিল-কারখানা, কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ, ওষুধ, অক্সিজেন ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্প কারখানার কার্যক্রম কঠোর বিধিনিষেধের আওতার বাইরে থাকবে। এর আগে গত ১৩ জুলাই দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বিধিনিষেধ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে যেসব বিধিনিষেধ মানার কথা বলা হয়, সেগুলো হলো: সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহন (অভ্যন্তরীণ বিমানসহ) ও সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। শপিং মল, মার্কেটসহ সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে। সব পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। সব ধরনের শিল্প-কলকারখানা বন্ধ থাকবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

যেসব শিল্প কারখানা খোলা

আপডেট সময় : ০১:১৫:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুলাই ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত ১৪ দিনের কিঠোর বিধিনিষেধ চলাকালে খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ মিল কারখানা খোলা থাকবে। এছাড়া কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপদনকারী শিল্পকারখানা খোলা থাকবে। কঠোর বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকবে যেসব খাতঃ
১) খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পকারখানা খোলা থাকবে।
২) কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প কারখানা খোলা থাকবে।
৩) ওষুধ, অক্সিজেন ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্প কারখানা খোলা থাকবে। গত ১৩ জুলাই বিধিনিষেধে আরোপ করার পর গত ১৯ জুলাই এই আদেশ জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। উল্লেখ্য, সার্বিক চলাচলে জরুরি সেবা সার্ভিস আগের মতোই চালু থাকবে। এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দফতর সীমিত আকারে খোলা থাকবে কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালে।
৫ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ পোশাক কারখানা
তৈরি পোশাক কারখানা (গার্মেন্টস) আগামী ৫ আগস্টের আগে খুলছে না বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। ২২ জুলাই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। এ সময় বিধিনিষেধ কার্যকর করতে সবার সহযোগিতা চান তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু অফিস বা কর্মক্ষেত্র বন্ধ থাকবে, যেহেতু যারা বাড়িতে গেছেন তারা সময় নিয়ে গেছেন, ৫ তারিখের পরেই যেনো তারা আসেন। তাদের তো (বিধিনিষেধ চলাকালে) আসার প্রয়োজন নেই। করোনার সংক্রমণ কমানোর জন্য অবশ্যই বিধিনিষেধ মানতে হবে। ঘরে থাকতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হবেন না। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বেরুতে হলে ডাবল মাস্ক পরবেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।
১৪ দিন শপিং মল-দোকানপাট বন্ধ
আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউনে রাজধানীসহ সারাদেশের শপিং মল, মার্কেটসহ সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে। তবে কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাবেচা করা যাবে। এছাড়া খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে যুক্ত মিল-কারখানা, কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ, ওষুধ, অক্সিজেন ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্প কারখানার কার্যক্রম কঠোর বিধিনিষেধের আওতার বাইরে থাকবে। এর আগে গত ১৩ জুলাই দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বিধিনিষেধ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে যেসব বিধিনিষেধ মানার কথা বলা হয়, সেগুলো হলো: সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহন (অভ্যন্তরীণ বিমানসহ) ও সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। শপিং মল, মার্কেটসহ সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে। সব পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। সব ধরনের শিল্প-কলকারখানা বন্ধ থাকবে।