ঢাকা ০৮:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

যেসব ফলে সবচেয়ে বেশি প্রোটিন থাকে

  • আপডেট সময় : ০৭:৪৩:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: প্রোটিন গ্রহণের জন্য আমরা মাংস, দুগ্ধজাত পণ্য এবং ডাল জাতীয় খাবারের দিকে বেশি মনোযোগ দিই। যা পেশী গঠন, টিস্যু মেরামত এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে ফলও কিন্তু প্রোটিনের একটি মূল্যবান উৎস হতে পারে। যদিও ফলের মধ্যে সাধারণত অন্যান্য খাদ্য গোষ্ঠীর তুলনায় কম প্রোটিন থাকে, তবে কিছু জাতের প্রোটিন বিশেষ করে এই অপরিহার্য পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। আপনি যদি উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিনের উৎস খোঁজেন, তাহলে এখানে কয়েকটি ফল

সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন-
১. পেয়ারা (প্রতি ১০০ গ্রামে ২.৬ গ্রাম প্রোটিন)
পেয়ারা খাদ্যতালিকাগত ফাইবার, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা স্বাস্থ্যের জন্য একটি সুপারফুড হিসেবে কাজ করে। পেয়ারা হজমে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটি কাঁচা, ফলের সালাদে বা সতেজ রস হিসেবে উপভোগ করতে পারেন।
২. কাঁঠাল (প্রতি ১০০ গ্রামে ১.৭ গ্রাম প্রোটিন)

কাঁঠাল একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফল যা উদ্ভিদ-ভিত্তিক মাংসের বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। এতে খাদ্যতালিকাগত ফাইবার, ভিটামিন বি৬ এবং পটাসিয়ামও রয়েছে। কাঁচা কাঁঠালের তন্তুযুক্ত গঠন কারি, স্টার-ফ্রাই এবং এমনকি যারা মাংস খাওয়া কমাতে চান তাদের জন্য একটি দুর্দান্ত সংযোজন হতে পারে। ৩. কমলা (প্রতি ১০০ গ্রামে ১.২ গ্রাম প্রোটিন)
কমলা ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস, তবে এটি প্রোটিনও সরবরাহ করে। এতে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং ত্বকের সুস্বাস্থ্য বৃদ্ধি করে। প্রোটিন এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন উভয়ই পেতে কমলাকে নাস্তা হিসেবেফলের বাটিতে অথবা এর সতেজ রস হিসেবে খেতে পারেন।
৪. কলা (প্রতি ১০০ গ্রামে ১.১ গ্রাম প্রোটিন)
কলা কেবল কার্বোহাইড্রেটে সমৃদ্ধ নয়; এটি প্রোটিনও সরবরাহ করে। কলা পটাসিয়ামের একটি দুর্দান্ত উৎস, যা পেশীর কার্যকারিতা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। কলা একটি সহজলভ্য ফল। এটি স্মুদি, আইসক্রিম এবং এমনকী বেকড পণ্য তৈরিতেও ব্যবহার করা যায়।
৫. অ্যাভোকাডো (প্রতি ১০০ গ্রামে ২ গ্রাম প্রোটিন)
অ্যাভোকাডো হলো স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি ফল। প্রোটিন ছাড়াও এটি ফাইবার, পটাসিয়াম এবং হৃদরোগ-স্বাস্থ্যকর মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট সরবরাহ করে। অ্যাভোকাডো ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় সহায়তা করে। স্মুদি, সালাদ বা হোল গ্রেইন টোস্টের সঙ্গে এই ফল খেতে পারেন।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

যেসব ফলে সবচেয়ে বেশি প্রোটিন থাকে

আপডেট সময় : ০৭:৪৩:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: প্রোটিন গ্রহণের জন্য আমরা মাংস, দুগ্ধজাত পণ্য এবং ডাল জাতীয় খাবারের দিকে বেশি মনোযোগ দিই। যা পেশী গঠন, টিস্যু মেরামত এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে ফলও কিন্তু প্রোটিনের একটি মূল্যবান উৎস হতে পারে। যদিও ফলের মধ্যে সাধারণত অন্যান্য খাদ্য গোষ্ঠীর তুলনায় কম প্রোটিন থাকে, তবে কিছু জাতের প্রোটিন বিশেষ করে এই অপরিহার্য পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। আপনি যদি উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিনের উৎস খোঁজেন, তাহলে এখানে কয়েকটি ফল

সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন-
১. পেয়ারা (প্রতি ১০০ গ্রামে ২.৬ গ্রাম প্রোটিন)
পেয়ারা খাদ্যতালিকাগত ফাইবার, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা স্বাস্থ্যের জন্য একটি সুপারফুড হিসেবে কাজ করে। পেয়ারা হজমে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটি কাঁচা, ফলের সালাদে বা সতেজ রস হিসেবে উপভোগ করতে পারেন।
২. কাঁঠাল (প্রতি ১০০ গ্রামে ১.৭ গ্রাম প্রোটিন)

কাঁঠাল একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফল যা উদ্ভিদ-ভিত্তিক মাংসের বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। এতে খাদ্যতালিকাগত ফাইবার, ভিটামিন বি৬ এবং পটাসিয়ামও রয়েছে। কাঁচা কাঁঠালের তন্তুযুক্ত গঠন কারি, স্টার-ফ্রাই এবং এমনকি যারা মাংস খাওয়া কমাতে চান তাদের জন্য একটি দুর্দান্ত সংযোজন হতে পারে। ৩. কমলা (প্রতি ১০০ গ্রামে ১.২ গ্রাম প্রোটিন)
কমলা ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস, তবে এটি প্রোটিনও সরবরাহ করে। এতে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং ত্বকের সুস্বাস্থ্য বৃদ্ধি করে। প্রোটিন এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন উভয়ই পেতে কমলাকে নাস্তা হিসেবেফলের বাটিতে অথবা এর সতেজ রস হিসেবে খেতে পারেন।
৪. কলা (প্রতি ১০০ গ্রামে ১.১ গ্রাম প্রোটিন)
কলা কেবল কার্বোহাইড্রেটে সমৃদ্ধ নয়; এটি প্রোটিনও সরবরাহ করে। কলা পটাসিয়ামের একটি দুর্দান্ত উৎস, যা পেশীর কার্যকারিতা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। কলা একটি সহজলভ্য ফল। এটি স্মুদি, আইসক্রিম এবং এমনকী বেকড পণ্য তৈরিতেও ব্যবহার করা যায়।
৫. অ্যাভোকাডো (প্রতি ১০০ গ্রামে ২ গ্রাম প্রোটিন)
অ্যাভোকাডো হলো স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি ফল। প্রোটিন ছাড়াও এটি ফাইবার, পটাসিয়াম এবং হৃদরোগ-স্বাস্থ্যকর মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট সরবরাহ করে। অ্যাভোকাডো ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় সহায়তা করে। স্মুদি, সালাদ বা হোল গ্রেইন টোস্টের সঙ্গে এই ফল খেতে পারেন।