ঢাকা ০৭:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫

যেসব কারণে পুরুষ মিথ্যা বলে, মেয়েরা কথায় কথায় রেগে যায়

  • আপডেট সময় : ১১:১৩:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ২৫১ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : মিথ্যা বলা মহাপাপ। এ কথা সবারই জানা। তবুও মিথ্যা বলার অভ্যাস কাটানো দায়। প্রতিদিনকার জীবনে একটু-আধটু মিথ্যা কথা তো সবাই বলে থাকেন! তবে প্রয়োজন বা বিপদে পড়ে মিথ্যা বলা আর সব সময় সব কাজে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়ার বিষয় একেবারেই আলাদা। নারী-পুরুষ উভয়ই মিথ্যা বলতে পারেন। তবে গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, পুরুষরা কিছু ক্ষেত্রে মিথ্যা বলে থাকেন। নিজেদের নির্দোষ জাহির করতে কিংবা শারীরিক সম্পর্ক গড়তে এমনকি সঙ্গীকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও মিথ্যার আশ্রয় নিতে পারেন পুরুষরা। নিচের ১০টি কারণে পুরুষরা মিথ্যা বলেন-

ধরা পড়ার ভয়ে অনেক পুরুষই মিথ্যার আশ্রয় নেন। পুরুষরা যখন তার কোনো ভুল ঢাকতে চায় তখন তারা মিথ্যা কথা বলেন। নানা ধরনের বাহানা বা অজুহাত দেখানোর মাধ্যমে মিথ্যা বলে তারা নিজেদের পক্ষে যুক্তি দেখায়।
অনেক পুরুষই একাধিক নারীর সঙ্গে গোপনে প্রেম করেন। এমন ক্ষেত্রে ওই পুরুষটি মিথ্যা বলার মাধ্যমেই সব নারীর সঙ্গে প্রতারণায় আশ্রয় নেন। তাদের কাছে মিথ্যা মানেই শান্তি!
অতীত সবার জীবনেই থাকে। সে নারী হোক বা পুরুষ। তবে কিছু পুরুষ আছেন যারা প্রাক্তনকে নিয়ে বর্তমান সঙ্গীর কাছে মিথ্যা বলেন। সব দোষ প্রাক্তনের উপর দিয়ে তারা নিজেকে সৎ ও অসহায় দাবি করেন।
আবার দাম্পত্য জীবনে ঘরের কাজ বা যে কোনো দায়িত্ব এড়াতেও পুরুষরা মিথ্যা বলেন। সংসারের দায়িত্ব নিতে অনেক পুরুষই ভয় পান। এক্ষেত্রে মিথ্যাই তাদের ভরসা!
অনেক পুরুষই তার সঙ্গীকে কষ্ট দিতে চান না। এ কারণে মিথ্যা বলে সঙ্গীকে খুশি রাখার চেষ্টা করেন। যা ইতিবাচক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেও অনেক পুরুষ মিথ্যার আশ্রয় নেন। জীবনের কোনো অপ্রিয় সত্য, যা সামনে চলে আসতে পারে এ ভয়ে তারা মিথ্যা বলেন।
ছোট থেকে মানুষের মধ্যে মিথ্যা বলার প্রবণতা জন্মায়। তবে কিশোর বয়সে গিয়ে ছেলেরা বেশি মিথ্যা বলে থাকেন। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য অতিরিক্ত মিথ্যা বলার প্রবণতা কমতে শুরু করে।
অনেক পুরুষই পরিবার বা প্রিয়জনকে নিজের হাতের মুঠোয় অর্থাৎ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান। এ কারণ তারা বিভিন্ন বিষয়ে ছোট-বড় মিথ্যা বলেন।
নিজের অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও অনেক সময় পুরুষরা মিথ্যা বলেন। যা কখনও ইতিবাচক আবার নেতিবাচকও হতে পারে। যেমন- কারও মন খারাপ থাকা স্বত্ত্বেও সামনের মানুষটির কাছে তা গোপন রাখছেন ইত্যাদি।
কারও সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়তে চাইলেও পুরুষরা মিথ্যার আশ্রয় নিতে পারেন। যেমন- অনেক পুরুষই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনেক নারীর সঙ্গে অবৈধভাবে মেলামেশা করেন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
যেসব কারণে মেয়েরা কথায় কথায় রেগে যায় : অনেক পুরুষের অভিযোগ মেয়েরা কথায় কথায় রেগে যায়। এর কারণ কী? উত্তরটা বুঝি মেয়েরা নিজেরাও জানেন না। তাদের এই অকারণে রেগে যাওয়ার অন্তরালে থাকতে পারে নানান শারীরিক জটিলতা! কিংবা নেপথ্যে থাকতে পারে কোনও দৈনন্দিন অভ্যাস যা ঠেলে দিচ্ছে এই দিকে।
প্রথমেই ধরা যাক ঋতুচক্র। এই সময় মেয়েদের মেজাজ একটু খিটখিটে থাকে। তাই নিয়ে ঠাট্টাও চলে বন্ধুদের মধ্যে। কিন্তু কেন এই সময় এরকম হয়? আসলে ঋতুচক্র শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ আগেই প্রোজেস্টেরনের মাত্রা বেড়ে যায় এবং হঠাৎ করেই তা নেমেও যায়। যার ফলে খামখেয়ালী হয়ে ওঠেন মহিলারা।
আপনি কি কফির প্রেমে পাগল? নিয়মিত দিনে বেশ কয়েক কাপ কফি না হলে যদি আপনার সমস্যা হয়, তাহলে বুঝবেন কফি এখন আপনার আসক্তি। কিন্তু এই আসক্তি আপনার মুড সুইং-এর কারণ হতে পারে- ভেবে দেখেছেন কখনও? অতিরিক্ত ক্যাফাইন সেবনের ফলে আপনার স্বভাব খিটখিটে হতেই পারে! এমনকী আপনি প্রায়ই মাথাব্যথারও শিকার হতে পারেন। বেশিক্ষণ না খেয়ে থাকলেও আপনি অকারণে রেগে যেতে পারেন। কাজ করার জন্য মানুষের মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট মাত্রায় গ্লুকোজ প্রয়োজনীয়। দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকলে সেই মাত্রা কমে যায়। ফলে অকারণেই খিটখিটে হয়ে উঠতে পারেন আপনি। তাই অল্প অল্প করে সবসময় কিছু না কিছু খেতে থাকুন, এতে মন আর মেজাজ দুটোই ভাল থাকবে। কিন্তু তাই বলে জাঙ্ক ফুড খাবেন না। কারণ জাঙ্ক ফুড মস্তিষ্কের কোষগুলিকে একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়, যার থেকে মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনকী বিশেষজ্ঞমহল বলছে, চর্বিযুক্ত খাবার বিষণ্ণতা বোধ জাগিয়ে তোলে। এছাড়া থাইরয়েড চেক আপ করানোও বাধ্যতামূলক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আসলে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড থেকে যে হরমোন নিঃসরণ হয়, তার উপর নির্ভর করে নানান রাসায়নিক রূপান্তর। হাইপোথাইরয়েডিজম নামক একটি ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে এই হরমোন কমে যায়। এর কারণেও অকারণে রেগে যাওয়া বা মুড সুইং হতে পারে আপনার। আপনি যদি নিজে মুড সুইং-এর শিকার হন বা আপনার প্রিয়জন যদি অকারণে রেগে যান তবে এবার একটু ভাবুন! হয় নিজে ডাক্তারের কাছে যান! নয় তো প্রিয় মানুষটিকে সাহায্য করুন মেজাজ ঠিক রাখতে! দরকারে তাঁর জন্য ডাক্তারেরও পরামর্শ নিন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

যেসব কারণে পুরুষ মিথ্যা বলে, মেয়েরা কথায় কথায় রেগে যায়

আপডেট সময় : ১১:১৩:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

লাইফস্টাইল ডেস্ক : মিথ্যা বলা মহাপাপ। এ কথা সবারই জানা। তবুও মিথ্যা বলার অভ্যাস কাটানো দায়। প্রতিদিনকার জীবনে একটু-আধটু মিথ্যা কথা তো সবাই বলে থাকেন! তবে প্রয়োজন বা বিপদে পড়ে মিথ্যা বলা আর সব সময় সব কাজে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়ার বিষয় একেবারেই আলাদা। নারী-পুরুষ উভয়ই মিথ্যা বলতে পারেন। তবে গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, পুরুষরা কিছু ক্ষেত্রে মিথ্যা বলে থাকেন। নিজেদের নির্দোষ জাহির করতে কিংবা শারীরিক সম্পর্ক গড়তে এমনকি সঙ্গীকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও মিথ্যার আশ্রয় নিতে পারেন পুরুষরা। নিচের ১০টি কারণে পুরুষরা মিথ্যা বলেন-

ধরা পড়ার ভয়ে অনেক পুরুষই মিথ্যার আশ্রয় নেন। পুরুষরা যখন তার কোনো ভুল ঢাকতে চায় তখন তারা মিথ্যা কথা বলেন। নানা ধরনের বাহানা বা অজুহাত দেখানোর মাধ্যমে মিথ্যা বলে তারা নিজেদের পক্ষে যুক্তি দেখায়।
অনেক পুরুষই একাধিক নারীর সঙ্গে গোপনে প্রেম করেন। এমন ক্ষেত্রে ওই পুরুষটি মিথ্যা বলার মাধ্যমেই সব নারীর সঙ্গে প্রতারণায় আশ্রয় নেন। তাদের কাছে মিথ্যা মানেই শান্তি!
অতীত সবার জীবনেই থাকে। সে নারী হোক বা পুরুষ। তবে কিছু পুরুষ আছেন যারা প্রাক্তনকে নিয়ে বর্তমান সঙ্গীর কাছে মিথ্যা বলেন। সব দোষ প্রাক্তনের উপর দিয়ে তারা নিজেকে সৎ ও অসহায় দাবি করেন।
আবার দাম্পত্য জীবনে ঘরের কাজ বা যে কোনো দায়িত্ব এড়াতেও পুরুষরা মিথ্যা বলেন। সংসারের দায়িত্ব নিতে অনেক পুরুষই ভয় পান। এক্ষেত্রে মিথ্যাই তাদের ভরসা!
অনেক পুরুষই তার সঙ্গীকে কষ্ট দিতে চান না। এ কারণে মিথ্যা বলে সঙ্গীকে খুশি রাখার চেষ্টা করেন। যা ইতিবাচক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেও অনেক পুরুষ মিথ্যার আশ্রয় নেন। জীবনের কোনো অপ্রিয় সত্য, যা সামনে চলে আসতে পারে এ ভয়ে তারা মিথ্যা বলেন।
ছোট থেকে মানুষের মধ্যে মিথ্যা বলার প্রবণতা জন্মায়। তবে কিশোর বয়সে গিয়ে ছেলেরা বেশি মিথ্যা বলে থাকেন। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য অতিরিক্ত মিথ্যা বলার প্রবণতা কমতে শুরু করে।
অনেক পুরুষই পরিবার বা প্রিয়জনকে নিজের হাতের মুঠোয় অর্থাৎ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান। এ কারণ তারা বিভিন্ন বিষয়ে ছোট-বড় মিথ্যা বলেন।
নিজের অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও অনেক সময় পুরুষরা মিথ্যা বলেন। যা কখনও ইতিবাচক আবার নেতিবাচকও হতে পারে। যেমন- কারও মন খারাপ থাকা স্বত্ত্বেও সামনের মানুষটির কাছে তা গোপন রাখছেন ইত্যাদি।
কারও সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়তে চাইলেও পুরুষরা মিথ্যার আশ্রয় নিতে পারেন। যেমন- অনেক পুরুষই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনেক নারীর সঙ্গে অবৈধভাবে মেলামেশা করেন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
যেসব কারণে মেয়েরা কথায় কথায় রেগে যায় : অনেক পুরুষের অভিযোগ মেয়েরা কথায় কথায় রেগে যায়। এর কারণ কী? উত্তরটা বুঝি মেয়েরা নিজেরাও জানেন না। তাদের এই অকারণে রেগে যাওয়ার অন্তরালে থাকতে পারে নানান শারীরিক জটিলতা! কিংবা নেপথ্যে থাকতে পারে কোনও দৈনন্দিন অভ্যাস যা ঠেলে দিচ্ছে এই দিকে।
প্রথমেই ধরা যাক ঋতুচক্র। এই সময় মেয়েদের মেজাজ একটু খিটখিটে থাকে। তাই নিয়ে ঠাট্টাও চলে বন্ধুদের মধ্যে। কিন্তু কেন এই সময় এরকম হয়? আসলে ঋতুচক্র শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ আগেই প্রোজেস্টেরনের মাত্রা বেড়ে যায় এবং হঠাৎ করেই তা নেমেও যায়। যার ফলে খামখেয়ালী হয়ে ওঠেন মহিলারা।
আপনি কি কফির প্রেমে পাগল? নিয়মিত দিনে বেশ কয়েক কাপ কফি না হলে যদি আপনার সমস্যা হয়, তাহলে বুঝবেন কফি এখন আপনার আসক্তি। কিন্তু এই আসক্তি আপনার মুড সুইং-এর কারণ হতে পারে- ভেবে দেখেছেন কখনও? অতিরিক্ত ক্যাফাইন সেবনের ফলে আপনার স্বভাব খিটখিটে হতেই পারে! এমনকী আপনি প্রায়ই মাথাব্যথারও শিকার হতে পারেন। বেশিক্ষণ না খেয়ে থাকলেও আপনি অকারণে রেগে যেতে পারেন। কাজ করার জন্য মানুষের মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট মাত্রায় গ্লুকোজ প্রয়োজনীয়। দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকলে সেই মাত্রা কমে যায়। ফলে অকারণেই খিটখিটে হয়ে উঠতে পারেন আপনি। তাই অল্প অল্প করে সবসময় কিছু না কিছু খেতে থাকুন, এতে মন আর মেজাজ দুটোই ভাল থাকবে। কিন্তু তাই বলে জাঙ্ক ফুড খাবেন না। কারণ জাঙ্ক ফুড মস্তিষ্কের কোষগুলিকে একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়, যার থেকে মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনকী বিশেষজ্ঞমহল বলছে, চর্বিযুক্ত খাবার বিষণ্ণতা বোধ জাগিয়ে তোলে। এছাড়া থাইরয়েড চেক আপ করানোও বাধ্যতামূলক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আসলে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড থেকে যে হরমোন নিঃসরণ হয়, তার উপর নির্ভর করে নানান রাসায়নিক রূপান্তর। হাইপোথাইরয়েডিজম নামক একটি ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে এই হরমোন কমে যায়। এর কারণেও অকারণে রেগে যাওয়া বা মুড সুইং হতে পারে আপনার। আপনি যদি নিজে মুড সুইং-এর শিকার হন বা আপনার প্রিয়জন যদি অকারণে রেগে যান তবে এবার একটু ভাবুন! হয় নিজে ডাক্তারের কাছে যান! নয় তো প্রিয় মানুষটিকে সাহায্য করুন মেজাজ ঠিক রাখতে! দরকারে তাঁর জন্য ডাক্তারেরও পরামর্শ নিন।