প্রযুক্তি ডেস্ক : গুগল প্লে স্টোরে থাকা ১৪টি অ্যাপস থেকে ব্যবহারকারীদের গোপন তথ্য ফাঁস হচ্ছে। প্লে স্টোর থেকে ওই অ্যাপসগুলো ১৪ কোটিরও বেশি ডাউনলোড হয়েছে। সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সাইবার নিউজ।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৪টিরও বেশি অ্যানড্রয়েড অ্যাপসের মাধ্যমে লিক হচ্ছে এই ডেটা। ব্যবহারকারীর নাম, ইমেল অ্যাড্রেস ছাড়াও ব্যক্তিগত তথ্য বাইরে চলে আসছে এই জনপ্রিয় অ্যাপসগুলো থেকে।
এই অ্যাপসগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : ১ ইউনিভার্সাল টিভি রিমোট কন্ট্রোল অ্যাপের (টহরাবৎংধষ ঞঠ জবসড়ঃব ঈড়হঃৎড়ষ)। ২ রিমোট ফর রোকু: কোডমেটিক্স (জবসড়ঃব ভড়ৎ জড়শঁ: ঈড়ফবসধঃরপং)। ৩ ঐুনৎরফ ডধৎৎরড়ৎ: উঁহমবড়হ ড়ভ ঃযব ঙাবৎষড়ৎফ-এর ৪ ফাইন্ড মাই কিডস: এটি আসলে শিশুদের ফোন লোকেশন ট্র্যাক করতে কাজে লাগে।
কী কারণে ডেটার নাগাল পাচ্ছে অন্যরা ? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু ডেভেলপারদের জন্য এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ফায়ারবেস ডেটা যারা সামলান, তাদের সঠিক ডেটা সুরক্ষার প্রশিক্ষণ থাকে না। যার ফলে ফারায়বেসের ডেটার ওপরেই হানা দেয় সাইবার ক্রিমিনালরা। যা থেকে আপনার-আমার গোপন তথ্য চলে যাচ্ছে অন্যের হাতে। ফায়ারবেস আসলে একটা মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট প্লাটফর্ম। যা ডেভেলপারদের, হোস্টিং, রিয়েল টাইম ক্লাউড স্টোরেজ ছাড়াও অ্যানালিটিক্সের জোগান দেয়।২০১৪ সালে এই প্লাটফর্মের মালিকানা নেয় গুগল। তারপর থেকেই অ্যানড্রয়েড অ্যাপসের ডেটা স্টোরেজ সলিউশনের কাজ করে ফায়ারবেজ। সাইবার সিকিউরিটির গবেষকরা বলছেন, ফায়ারবেসের দুর্বল কনফিগারশেনর কারণে ওই নির্দিষ্ট অ্যাপগুলি থেকে কেউ চাইলেই ইউজারের রিয়েল টাইম ডেটাবেস জেনে যেতে পারে। সঠিক ইউআরএল জানা থাকলেই এই কাজ করা কোনও কঠিন বিষয় নয়। এমনকী এই অ্যাপগুলি থেকে গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য ও গোপন মেসেজও হাতাতে পারে সাইবার ক্রিমিনালরা।
যেসব অ্যানড্রয়েড অ্যাপস থেকে ফাঁস হচ্ছে গোপন তথ্য
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ