ঢাকা ০৪:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫

যেভাবে স্বভাব প্রকাশ পায়

  • আপডেট সময় : ১২:১৪:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ অক্টোবর ২০২২
  • ৯৫ বার পড়া হয়েছে

সময়ানুবর্তিতা: এক গবেষণায় দেখা গেছে, সময় মেনে চলা ইতিবাচক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে পড়ে। গবেষণাটিতে একদল মানুষকে গবেষকগণ ব্যক্তিত্ব মূল্যায়ন বিষয়ে একটি বাড়ির কাজ দেন এবং তাদের পরের দিন আসতে বলেন। গবেষকগণ তাদের আসার সময়গুলো লক্ষ্য করেন। দেখা যায় যে, যারা সময়মতো এসেছেন তারা বেশ বিবেকবান এবং অমায়িক স্বভাবের, যারা সময়ের আগে এসেছেন তারা বেশ পাগলাটে স্বভাবের এবং তুলনামূলকভাবে দেরীতে আসা মানুষগুলো বেশ শান্ত স্বভাবের।
খাবার খাওয়ার ধরন: বিজ্ঞানের মতে, আমরা যা খাই আমরা তাই। বিজ্ঞান এটাও বলে, আমরা যেভাবে খাই, আমরা তাই। যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা মনোবিজ্ঞানী জুলিয়েট বোঘোশিয়ানের মতে, খাবারবিষয়ক নানান অভ্যাস এবং খাবার খাওয়ার ধরনের মাধ্যমে একটা মানুষের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অনেক কিছু বলে দেওয়া যায়। যারা ধীরে ধীরে খাবার খায় তারা সাধারণত অনুগত স্বভাবের হয়ে থাকে এবং জীবনকে উপভোগ্য মনে করে। যারা দ্রুত খাবার খায় তারা উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং ধৈর্যহীন হয়ে থাকে। যারা একটু অদ্ভুতভাবে খাবার খায় তারা রোমাঞ্চকর স্বভাবের হয়। খাবার বিষয়ে যারা খুঁতখুঁতে তারা বেশ আবেগপ্রবণ এবং পাগলাটে স্বভাবের হয়ে থাকে। তাছাড়া অনেকে আছেন যারা একই প্লেটে বিভিন্নরকম খাবার সাজিয়ে খেতে পছন্দ করেন, এ অভ্যাসের মানুষজন সাধারণত বেশ সচেতন এবং বিশদ চিন্তাভাবনার অধিকারী হয়ে থাকেন।
কেনাকাটার ধরন: কাউকে ভালোভাবে চিনতে চাইলে তাকে সঙ্গে নিয়ে কেনাকাটা করতে যান। এক গবেষণায় দেখা গেছে, দুই ধরনের ক্রেতা আছে। কেউ আছেন- একটি শ্যাম্পুর বোতল কিনতে গিয়ে সে আপনার জন্য সারা দোকানের শ্যাম্পু যাচাই করে দেখবে। আবার অন্য ধরনের যারা, তারা খুব তাড়াতাড়ি একটা আপনার হাতে ধরিয়ে দিয়ে কেটে পড়তে চাইবে। দেখা যায় যে, প্রথম শ্রেণীর মানুষেরা বিবেকবান, অমায়িক এবং বিনয়ী হয়ে থাকেন। দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষেরা সাধারণত ধূর্ত, সুবিধাবাদী এবং আত্মকেন্দ্রিক হয়ে থাকে। তাছাড়া আপনার খরচ করার ধরন থেকেও আপনার সম্পর্কে অনেক কিছু আন্দাজ করে নেওয়া সম্ভব।
হাত মেলানোর ধরন: হাত মেলানোর ধরন আপনার প্রতি মানুষের ধারণা পাল্টে দিতে পারে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের করমর্দন বেশ মজবুত তারা বেশ আবেগপ্রবণ, খোলা মনের এবং অন্যান্যদের চেয়ে যথেষ্ট নির্ভেজাল হয়ে থাকে। আর যাদের করমর্দন তেমন মজবুত নয় তারা লাজুক এবং বাতিকগ্রস্ত স্বভাবের হয়ে থাকে। গবেষকদের মতে, যাদের করমর্দন বেশ দৃঢ় তারা বেশ আত্মবিশ্বাসী এবং সামাজিক প্রকৃতির হয়ে থাকে।
ব্যাগ বহন করার ধরন: দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে আপনি আপনার ব্যাগ বহন করে নিয়ে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু কখনো কী ভেবেছেন যে, আপনার ব্যাগ ধরা বা বহন করার ধরনের মধ্যেও আপনার ব্যক্তিত্বের ছাপ আছে। আপনার হাতের ভাঁজে ব্যাগ রাখা মানে আপনি বেশ পরিচ্ছন্ন স্বভাবের এবং সামাজিক মর্যাদাসম্পন্ন। কাঁধে ব্যাগ ঝোলানো মানে আপনি সুরক্ষাপ্রবণ। ব্যাগ পেছনের দিকে ঝুলিয়ে নেওয়া মানে আপনি শান্ত এবং গোছালো স্বভাবের। ব্যাকপ্যাক ব্যবহারকারীরা স্বাধীনচেতা এবং আশেপাশের মানুষগুলোর প্রতি খুব যতœশীল হয়, অন্যদিকে হাতে করে যারা ব্যাগ বহন করেন তারা বেশ জেদি, গোছালো এবং দক্ষ হয়ে থাকে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

যেভাবে স্বভাব প্রকাশ পায়

আপডেট সময় : ১২:১৪:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ অক্টোবর ২০২২

সময়ানুবর্তিতা: এক গবেষণায় দেখা গেছে, সময় মেনে চলা ইতিবাচক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে পড়ে। গবেষণাটিতে একদল মানুষকে গবেষকগণ ব্যক্তিত্ব মূল্যায়ন বিষয়ে একটি বাড়ির কাজ দেন এবং তাদের পরের দিন আসতে বলেন। গবেষকগণ তাদের আসার সময়গুলো লক্ষ্য করেন। দেখা যায় যে, যারা সময়মতো এসেছেন তারা বেশ বিবেকবান এবং অমায়িক স্বভাবের, যারা সময়ের আগে এসেছেন তারা বেশ পাগলাটে স্বভাবের এবং তুলনামূলকভাবে দেরীতে আসা মানুষগুলো বেশ শান্ত স্বভাবের।
খাবার খাওয়ার ধরন: বিজ্ঞানের মতে, আমরা যা খাই আমরা তাই। বিজ্ঞান এটাও বলে, আমরা যেভাবে খাই, আমরা তাই। যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা মনোবিজ্ঞানী জুলিয়েট বোঘোশিয়ানের মতে, খাবারবিষয়ক নানান অভ্যাস এবং খাবার খাওয়ার ধরনের মাধ্যমে একটা মানুষের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অনেক কিছু বলে দেওয়া যায়। যারা ধীরে ধীরে খাবার খায় তারা সাধারণত অনুগত স্বভাবের হয়ে থাকে এবং জীবনকে উপভোগ্য মনে করে। যারা দ্রুত খাবার খায় তারা উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং ধৈর্যহীন হয়ে থাকে। যারা একটু অদ্ভুতভাবে খাবার খায় তারা রোমাঞ্চকর স্বভাবের হয়। খাবার বিষয়ে যারা খুঁতখুঁতে তারা বেশ আবেগপ্রবণ এবং পাগলাটে স্বভাবের হয়ে থাকে। তাছাড়া অনেকে আছেন যারা একই প্লেটে বিভিন্নরকম খাবার সাজিয়ে খেতে পছন্দ করেন, এ অভ্যাসের মানুষজন সাধারণত বেশ সচেতন এবং বিশদ চিন্তাভাবনার অধিকারী হয়ে থাকেন।
কেনাকাটার ধরন: কাউকে ভালোভাবে চিনতে চাইলে তাকে সঙ্গে নিয়ে কেনাকাটা করতে যান। এক গবেষণায় দেখা গেছে, দুই ধরনের ক্রেতা আছে। কেউ আছেন- একটি শ্যাম্পুর বোতল কিনতে গিয়ে সে আপনার জন্য সারা দোকানের শ্যাম্পু যাচাই করে দেখবে। আবার অন্য ধরনের যারা, তারা খুব তাড়াতাড়ি একটা আপনার হাতে ধরিয়ে দিয়ে কেটে পড়তে চাইবে। দেখা যায় যে, প্রথম শ্রেণীর মানুষেরা বিবেকবান, অমায়িক এবং বিনয়ী হয়ে থাকেন। দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষেরা সাধারণত ধূর্ত, সুবিধাবাদী এবং আত্মকেন্দ্রিক হয়ে থাকে। তাছাড়া আপনার খরচ করার ধরন থেকেও আপনার সম্পর্কে অনেক কিছু আন্দাজ করে নেওয়া সম্ভব।
হাত মেলানোর ধরন: হাত মেলানোর ধরন আপনার প্রতি মানুষের ধারণা পাল্টে দিতে পারে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের করমর্দন বেশ মজবুত তারা বেশ আবেগপ্রবণ, খোলা মনের এবং অন্যান্যদের চেয়ে যথেষ্ট নির্ভেজাল হয়ে থাকে। আর যাদের করমর্দন তেমন মজবুত নয় তারা লাজুক এবং বাতিকগ্রস্ত স্বভাবের হয়ে থাকে। গবেষকদের মতে, যাদের করমর্দন বেশ দৃঢ় তারা বেশ আত্মবিশ্বাসী এবং সামাজিক প্রকৃতির হয়ে থাকে।
ব্যাগ বহন করার ধরন: দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে আপনি আপনার ব্যাগ বহন করে নিয়ে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু কখনো কী ভেবেছেন যে, আপনার ব্যাগ ধরা বা বহন করার ধরনের মধ্যেও আপনার ব্যক্তিত্বের ছাপ আছে। আপনার হাতের ভাঁজে ব্যাগ রাখা মানে আপনি বেশ পরিচ্ছন্ন স্বভাবের এবং সামাজিক মর্যাদাসম্পন্ন। কাঁধে ব্যাগ ঝোলানো মানে আপনি সুরক্ষাপ্রবণ। ব্যাগ পেছনের দিকে ঝুলিয়ে নেওয়া মানে আপনি শান্ত এবং গোছালো স্বভাবের। ব্যাকপ্যাক ব্যবহারকারীরা স্বাধীনচেতা এবং আশেপাশের মানুষগুলোর প্রতি খুব যতœশীল হয়, অন্যদিকে হাতে করে যারা ব্যাগ বহন করেন তারা বেশ জেদি, গোছালো এবং দক্ষ হয়ে থাকে।