ঢাকা ০৮:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

যেভাবে বুঝবেন অ্যালার্জি নাকি ঠা-া-কাশি

  • আপডেট সময় : ১০:৫২:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
  • ১৩৬ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: নাঁক টানা কিংবা দুয়েকবার হাঁচি দেওয়া স্বাভাবিক। তবে সাথে যদি শরীরে চুলকানি দেখা দেয়, তাহলে সেটা অ্যালার্জির সমস্যা হতেই পারে। ধুলা, ছত্রাক, স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থা বা ঠা-া আবহাওয়া থেকেও অ্যালার্জির সমস্যা হয়। যে কারণে নাঁক দিয়ে পানি পড়ার মতো সমস্যা ছাড়াও নানান লক্ষণ ফুটে ওঠে। অনেক সময় বোঝা যায় না, সেটা সর্দি লেগেছে নাকি অ্যালার্জির সমস্যা। এই বিষয়ে সিএনএন ডটকম’য়ে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন চিকিৎসক ডা. লিয়ানা ওয়েন বলেন, “সাধারণত ঠা-া-কাশি আর অ্যালার্জির সমস্যায় একই রকম লক্ষণ দেখা দেয়। যেমন- নাঁক বন্ধ হওয়া বা নাঁক দিয়ে পানি পড়া, হাঁচি দেওয়া, কাশি হওয়া। আর নাঁক, গলা ও মুখ চুলকানো।” তিনি আরও বলেন, “তবে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে- অ্যালার্জির সমস্যায় সাধারণত জ্বর আসে না। ঠা-া লাগলে জ্বর আসে। অর্থাৎ ভাইরাসের আক্রমণ হয়েছে।”
বিভিন্ন কারণে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে
বাল্টিমোর’য়ের সাবেক স্বাস্থ্য-বিষয়ক এই উপদেষ্টা বলেন, “ডাস্ট মাইটস’ বা অতি ক্ষুদ্র পরজীবী কীট ঘরের ধুলা ও বাতাসের আর্দ্রতা খেয়ে বেঁচে থাকে। এদের সংস্পর্শে আসার কারণেই ধুলা থেকে অনেকের অ্যালার্জি হয়। এছাড়া ফুলের রেণুর সংস্পর্শে গেলেও দেখা দেয় চুলকানি বা নাঁক চোখ দিয়ে পানি পড়ার সমস্যা।” “খাবারের অ্যালার্জির মধ্যে আছে দুধ। অনেকের ল্যাক্টোজ সহ্য হয় না”- বলেন এই চিকিৎসক। এই ধরনের অ্যালর্জির লক্ষণের মধ্যে আছে- পেট ফাঁপা ও ফোলা, গ্যাস হওয়া ইত্যাদি। অ্যালর্জির স্থায়িত্বের প্রভাব একেকজনের একেকরকম। ডা. ওয়েন বলেন, “কারও অল্প সময়েই ঠিক হয়ে যায়। কারও সারতে সপ্তাহখানেক লাগে। আর যাদের অ্যাজমা বা হাঁপানি ও একজিমার সমস্যা আছে তাদের অবস্থা আরও খারাপ করে অ্যালার্জি।”
চিকিৎসা
অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ গ্রহণের মাধ্যমে অ্যালার্জির সমস্যার দূর করা যায়। “দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হিস্টামিন রাসায়নিক নিঃসরণ করে অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হলে। এটা চুলকানি, নাঁকে অস্বস্তি ইত্যাদি তৈরি করে। অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ হিস্টামিন নিঃসরণ বন্ধ করে”- বলেন ডা. ওয়েন। এই ধরনের বড়ি ওষুধের দোকান থেকে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই কেনা যায়। আবার যাদের সমস্যা বেশি তাদের ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ সেবন করতে হবে- জানান তিনি। তিনি সতর্ক করে আরও বলেন, “তবে বেশিরভাগ অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ ঝিমানির সৃষ্টি করে। তাই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে, ঘুম পায় না এরকম ওষুধের নাম জেনে নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।”

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

যেভাবে বুঝবেন অ্যালার্জি নাকি ঠা-া-কাশি

আপডেট সময় : ১০:৫২:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: নাঁক টানা কিংবা দুয়েকবার হাঁচি দেওয়া স্বাভাবিক। তবে সাথে যদি শরীরে চুলকানি দেখা দেয়, তাহলে সেটা অ্যালার্জির সমস্যা হতেই পারে। ধুলা, ছত্রাক, স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থা বা ঠা-া আবহাওয়া থেকেও অ্যালার্জির সমস্যা হয়। যে কারণে নাঁক দিয়ে পানি পড়ার মতো সমস্যা ছাড়াও নানান লক্ষণ ফুটে ওঠে। অনেক সময় বোঝা যায় না, সেটা সর্দি লেগেছে নাকি অ্যালার্জির সমস্যা। এই বিষয়ে সিএনএন ডটকম’য়ে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন চিকিৎসক ডা. লিয়ানা ওয়েন বলেন, “সাধারণত ঠা-া-কাশি আর অ্যালার্জির সমস্যায় একই রকম লক্ষণ দেখা দেয়। যেমন- নাঁক বন্ধ হওয়া বা নাঁক দিয়ে পানি পড়া, হাঁচি দেওয়া, কাশি হওয়া। আর নাঁক, গলা ও মুখ চুলকানো।” তিনি আরও বলেন, “তবে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে- অ্যালার্জির সমস্যায় সাধারণত জ্বর আসে না। ঠা-া লাগলে জ্বর আসে। অর্থাৎ ভাইরাসের আক্রমণ হয়েছে।”
বিভিন্ন কারণে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে
বাল্টিমোর’য়ের সাবেক স্বাস্থ্য-বিষয়ক এই উপদেষ্টা বলেন, “ডাস্ট মাইটস’ বা অতি ক্ষুদ্র পরজীবী কীট ঘরের ধুলা ও বাতাসের আর্দ্রতা খেয়ে বেঁচে থাকে। এদের সংস্পর্শে আসার কারণেই ধুলা থেকে অনেকের অ্যালার্জি হয়। এছাড়া ফুলের রেণুর সংস্পর্শে গেলেও দেখা দেয় চুলকানি বা নাঁক চোখ দিয়ে পানি পড়ার সমস্যা।” “খাবারের অ্যালার্জির মধ্যে আছে দুধ। অনেকের ল্যাক্টোজ সহ্য হয় না”- বলেন এই চিকিৎসক। এই ধরনের অ্যালর্জির লক্ষণের মধ্যে আছে- পেট ফাঁপা ও ফোলা, গ্যাস হওয়া ইত্যাদি। অ্যালর্জির স্থায়িত্বের প্রভাব একেকজনের একেকরকম। ডা. ওয়েন বলেন, “কারও অল্প সময়েই ঠিক হয়ে যায়। কারও সারতে সপ্তাহখানেক লাগে। আর যাদের অ্যাজমা বা হাঁপানি ও একজিমার সমস্যা আছে তাদের অবস্থা আরও খারাপ করে অ্যালার্জি।”
চিকিৎসা
অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ গ্রহণের মাধ্যমে অ্যালার্জির সমস্যার দূর করা যায়। “দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হিস্টামিন রাসায়নিক নিঃসরণ করে অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হলে। এটা চুলকানি, নাঁকে অস্বস্তি ইত্যাদি তৈরি করে। অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ হিস্টামিন নিঃসরণ বন্ধ করে”- বলেন ডা. ওয়েন। এই ধরনের বড়ি ওষুধের দোকান থেকে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই কেনা যায়। আবার যাদের সমস্যা বেশি তাদের ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ সেবন করতে হবে- জানান তিনি। তিনি সতর্ক করে আরও বলেন, “তবে বেশিরভাগ অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ ঝিমানির সৃষ্টি করে। তাই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে, ঘুম পায় না এরকম ওষুধের নাম জেনে নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।”