ঢাকা ১০:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

যেভাবে বাস্তবায়ন হবে জুলাই সনদ

  • আপডেট সময় : ০৯:৩৯:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বহুল আলোচিত জুলাই সনদে রাজনৈতিক দলগুলো সই করেছিল ১৭ অক্টোবর। কিন্তু এর বাস্তবায়ন কীভাবে হবে, সেই জট কাটছিল না দলগুলোর মতভেদের কারণে। বিএনপি ভাবছে এ রকম, জামায়াত ভাবছে আরেক রকম, জাতীয় নাগরিক পার্টি ভিন্ন রকম ভেবে সনদে সই-ই করেনি। দলগুলোর সঙ্গে আবার আলোচনার পর নিজেরা বসে একটি উপায় ঠিক করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) উপায়-সম্পর্কিত সেই সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ঐকমত্য কমিশন মূলত জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশের একটি খসড়া দিয়েছে। ১৬টি ধারায় এই সুপারিশমালা সাজিয়েছে কমিশন। তার শিরোনাম-জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫।

এ আদেশের গুরুত্বপূর্ণ ১০ তথ্য প্রশ্নোত্তরে জানানো হলো পাঠকদের জন্য-

১. আনুষ্ঠানিক আদেশ কেন প্রয়োজন: সুপারিশে তার ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, যেহেতু জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী জনগণের অনুমোদন প্রয়োজন এবং গণভোট অনুষ্ঠান, সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন এবং সেই পরিষদ কর্তৃক সংবিধান সংস্কার অপরিহার্য, তাই এটি বাস্তবায়ন সম্পন্ন করার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করা একান্ত প্রয়োজন।

২. গণভোটে কী থাকবে: জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগের উদ্দেশ্যে জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান সংস্কার–সম্পর্কিত অংশ গণভোটে উপস্থাপন করা হবে। গণভোটের ব্যালটে প্রশ্ন থাকবে-‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং ইহার তফসিল-১–এ সন্নিবেশিত সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবসমূহের প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করিতেছেন?’ তফসিল-১–এ সংবিধান–সংক্রান্ত ৪৮টি সংস্কার প্রস্তাব থাকবে। এখানে দলগুলোর আপত্তি বা নোট অব ডিসেন্টের উল্লেখ থাকবে না। ব্যালটের মাধ্যমে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ব্যালটে প্রত্যেক ভোটার গোপনে ভোট দেবেন।

৩. গণভোট কবে হবে: ঐকমত্য কমিশন এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট সময় বলে দেয়নি। সুপারিশে বলা হয়েছে, আদেশ জারির পর থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ‘যথোপযুক্ত’ সময়ে অথবা সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট হবে। গণভোট অনুষ্ঠানের জন্য আইন প্রণয়ন করতে হবে। অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে দেখা করার পর সংবাদ সম্মেলনে এসে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ জারির পর থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন পর্যন্ত যেকোনো দিন গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে।

৪. গণভোটের ফল হ্যাঁ হলে কী হবে: গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ‘হ্যাঁ’-সূচক হলে পরবর্তী সংসদে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে। এই পরিষদ সংবিধান সংস্কার বিষয়ে ‘গাঠনিক’ (কনস্টিটুয়েন্ট) ক্ষমতা প্রয়োগ করবে। আর যদি গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ‘না’–সূচক হয়, তাহলে এই প্রক্রিয়ার সেখানেই ইতি ঘটবে।

৫. সংবিধান সংস্কার পরিষদের কাজ কী হবে: সুপারিশে বলা হয়েছ, নির্বাচিত এমপিদের নিয়ে গঠিত সংবিধান সংস্কার পরিষদ প্রথম অধিবেশন শুরু থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কারেরর কাজ শেষ করবে। এই কাজ শেষ হওয়ার পর সংবিধান সংস্কার পরিষদ বিলীন হয়ে যাবে প্রথাগত সংসদে। তবে ২৭০ দিনের মধ্যে যদি সংস্কার আনা না যায়, তবে কী হবে? তার ব্যাখ্যায় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ২৭০ দিনের মধ্যে তা অনুমোদন না করলে এগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।

৬. এমপিদের দুই শপথ: পরবর্তী সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত ব্যক্তিরা সংস্কারের ২৭০ দিনের সময়সীমার আগপর্যন্ত সংবিধান সংস্কার পরিষদ পরিষদের সদস্য হিসেবে অভিহিত হবেন। এ জন্য তাঁরা নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন। এরপর সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে আরেকটি শপথ নেবেন।

৭. প্রস্তাব পাস কীভাবে: পরিষদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম বৈঠকে সভাপ্রধান ও উপ-সভাপ্রধান (স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের মতো) নির্বাচন করবেন। কোরামের জন্য ন্যূনতম ৬০ (ষাট) জন পরিষদ সদস্যের উপস্থিতিই যথেষ্ট হবে। সংবিধান সংস্কার–সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য প্রয়োজন হবে পরিষদের মোট সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট।

৮. উচ্চকক্ষ গঠন যেভাবে: সংবিধান সংস্কার শেষ হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে নিম্নকক্ষের নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে একটি উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে। তবে ওই উচ্চকক্ষের মেয়াদ নিম্নকক্ষের (জাতীয় সংসদের) মেয়াদের শেষ দিবস পর্যন্ত হবে।

৯. সংস্কারের জন্য আর ভোট লাগবে না: সার্বভৌম জনগণের অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে বলে সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে আর কোনো অনুমোদন বা ভোটের প্রয়োজন হবে না। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামা অনুসারে সংবিধানে জুলাই জাতীয় সনদ অন্তর্ভুক্ত হবে।

১০. নোট অব ডিসেন্টগুলোর কী হবে: ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় বিভিন্ন প্রস্তাবে বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের ‘নোট অব ডিসেন্ট’ ছিল। এর আগে বলা হয়েছিল, যেসব দলের যে প্রস্তাবে নোট অব ডিসেন্ট রয়েছে, তারা ক্ষমতায় গেলে ওই প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে তাদের ওপর বাধ্যবাধকতা থাকবে না।
মঙ্গলবার খসড়া জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর ‘নোট অব ডিসেন্ট’ নিয়ে কী হবে-সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে আলী রীয়াজ বলেন, তাঁরা সরকারকে বলেছেন এগুলো জনগণের কাছে নিয়ে যেতে। জনগণের রায় পাওয়ার পর রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত নেবে। কমিশন ৪৮ বিষয়ে জনগণের সম্মতি-অসম্মতিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।

সানা/আপ্র/২৮/১০/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

যেভাবে বাস্তবায়ন হবে জুলাই সনদ

আপডেট সময় : ০৯:৩৯:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: বহুল আলোচিত জুলাই সনদে রাজনৈতিক দলগুলো সই করেছিল ১৭ অক্টোবর। কিন্তু এর বাস্তবায়ন কীভাবে হবে, সেই জট কাটছিল না দলগুলোর মতভেদের কারণে। বিএনপি ভাবছে এ রকম, জামায়াত ভাবছে আরেক রকম, জাতীয় নাগরিক পার্টি ভিন্ন রকম ভেবে সনদে সই-ই করেনি। দলগুলোর সঙ্গে আবার আলোচনার পর নিজেরা বসে একটি উপায় ঠিক করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) উপায়-সম্পর্কিত সেই সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ঐকমত্য কমিশন মূলত জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশের একটি খসড়া দিয়েছে। ১৬টি ধারায় এই সুপারিশমালা সাজিয়েছে কমিশন। তার শিরোনাম-জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫।

এ আদেশের গুরুত্বপূর্ণ ১০ তথ্য প্রশ্নোত্তরে জানানো হলো পাঠকদের জন্য-

১. আনুষ্ঠানিক আদেশ কেন প্রয়োজন: সুপারিশে তার ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, যেহেতু জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী জনগণের অনুমোদন প্রয়োজন এবং গণভোট অনুষ্ঠান, সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন এবং সেই পরিষদ কর্তৃক সংবিধান সংস্কার অপরিহার্য, তাই এটি বাস্তবায়ন সম্পন্ন করার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করা একান্ত প্রয়োজন।

২. গণভোটে কী থাকবে: জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগের উদ্দেশ্যে জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান সংস্কার–সম্পর্কিত অংশ গণভোটে উপস্থাপন করা হবে। গণভোটের ব্যালটে প্রশ্ন থাকবে-‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং ইহার তফসিল-১–এ সন্নিবেশিত সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবসমূহের প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করিতেছেন?’ তফসিল-১–এ সংবিধান–সংক্রান্ত ৪৮টি সংস্কার প্রস্তাব থাকবে। এখানে দলগুলোর আপত্তি বা নোট অব ডিসেন্টের উল্লেখ থাকবে না। ব্যালটের মাধ্যমে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ব্যালটে প্রত্যেক ভোটার গোপনে ভোট দেবেন।

৩. গণভোট কবে হবে: ঐকমত্য কমিশন এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট সময় বলে দেয়নি। সুপারিশে বলা হয়েছে, আদেশ জারির পর থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ‘যথোপযুক্ত’ সময়ে অথবা সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট হবে। গণভোট অনুষ্ঠানের জন্য আইন প্রণয়ন করতে হবে। অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে দেখা করার পর সংবাদ সম্মেলনে এসে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ জারির পর থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন পর্যন্ত যেকোনো দিন গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে।

৪. গণভোটের ফল হ্যাঁ হলে কী হবে: গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ‘হ্যাঁ’-সূচক হলে পরবর্তী সংসদে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে। এই পরিষদ সংবিধান সংস্কার বিষয়ে ‘গাঠনিক’ (কনস্টিটুয়েন্ট) ক্ষমতা প্রয়োগ করবে। আর যদি গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ‘না’–সূচক হয়, তাহলে এই প্রক্রিয়ার সেখানেই ইতি ঘটবে।

৫. সংবিধান সংস্কার পরিষদের কাজ কী হবে: সুপারিশে বলা হয়েছ, নির্বাচিত এমপিদের নিয়ে গঠিত সংবিধান সংস্কার পরিষদ প্রথম অধিবেশন শুরু থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কারেরর কাজ শেষ করবে। এই কাজ শেষ হওয়ার পর সংবিধান সংস্কার পরিষদ বিলীন হয়ে যাবে প্রথাগত সংসদে। তবে ২৭০ দিনের মধ্যে যদি সংস্কার আনা না যায়, তবে কী হবে? তার ব্যাখ্যায় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ২৭০ দিনের মধ্যে তা অনুমোদন না করলে এগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।

৬. এমপিদের দুই শপথ: পরবর্তী সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত ব্যক্তিরা সংস্কারের ২৭০ দিনের সময়সীমার আগপর্যন্ত সংবিধান সংস্কার পরিষদ পরিষদের সদস্য হিসেবে অভিহিত হবেন। এ জন্য তাঁরা নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন। এরপর সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে আরেকটি শপথ নেবেন।

৭. প্রস্তাব পাস কীভাবে: পরিষদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম বৈঠকে সভাপ্রধান ও উপ-সভাপ্রধান (স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের মতো) নির্বাচন করবেন। কোরামের জন্য ন্যূনতম ৬০ (ষাট) জন পরিষদ সদস্যের উপস্থিতিই যথেষ্ট হবে। সংবিধান সংস্কার–সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য প্রয়োজন হবে পরিষদের মোট সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট।

৮. উচ্চকক্ষ গঠন যেভাবে: সংবিধান সংস্কার শেষ হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে নিম্নকক্ষের নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে একটি উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে। তবে ওই উচ্চকক্ষের মেয়াদ নিম্নকক্ষের (জাতীয় সংসদের) মেয়াদের শেষ দিবস পর্যন্ত হবে।

৯. সংস্কারের জন্য আর ভোট লাগবে না: সার্বভৌম জনগণের অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে বলে সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে আর কোনো অনুমোদন বা ভোটের প্রয়োজন হবে না। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামা অনুসারে সংবিধানে জুলাই জাতীয় সনদ অন্তর্ভুক্ত হবে।

১০. নোট অব ডিসেন্টগুলোর কী হবে: ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় বিভিন্ন প্রস্তাবে বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের ‘নোট অব ডিসেন্ট’ ছিল। এর আগে বলা হয়েছিল, যেসব দলের যে প্রস্তাবে নোট অব ডিসেন্ট রয়েছে, তারা ক্ষমতায় গেলে ওই প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে তাদের ওপর বাধ্যবাধকতা থাকবে না।
মঙ্গলবার খসড়া জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর ‘নোট অব ডিসেন্ট’ নিয়ে কী হবে-সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে আলী রীয়াজ বলেন, তাঁরা সরকারকে বলেছেন এগুলো জনগণের কাছে নিয়ে যেতে। জনগণের রায় পাওয়ার পর রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত নেবে। কমিশন ৪৮ বিষয়ে জনগণের সম্মতি-অসম্মতিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।

সানা/আপ্র/২৮/১০/২০২৫