ঢাকা ০৪:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যেই হাতিরঝিলে প্রেমের শুরু সেখানেই মৃত্যু

  • আপডেট সময় : ০১:৫৯:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২
  • ১১৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার নলুয়া গ্রামের রমজান আলী খানের ছেলে আসাদ খান (২৪)। পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে আসেন ঢাকায়। ঢাকায় এসে কোনও কুলকিনারা না পেয়ে ঘুরতেন এখানে-ওখানে। হাতিরঝিল মধুবাগ এলাকায় আড্ডা দিতে গিয়ে সানজিদা আক্তার মীমের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে প্রেম, ছয় মাস আগে বিয়ে করেন। শনিবার হাতিরঝিল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা স্ত্রীর সঙ্গে অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন আসাদ।
গতকাল রোববার (১৩ নভেম্বর) বিকালে আলাপকালে আসদের স্ত্রী সানজিদা আক্তার মীম বলেন, আসাদের খুব রাগ ছিল। একটু কিছু হলেই রেগে যেতো। তিনি বলেন, বিয়ের আগে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেয় আসাদ। বিয়ের পরে বাড্ডা লিংক রোড একটি ভাড়া বাসায় থাকতাম। খুব ভালোই ছিলাম আমরা। কিছুদিন আগে আসাদের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়। আমি মধুবাগে বাবার বাসায় চলে আসি। স্ত্রী ও পরিবারের ওপর অভিমান করে আসাদ আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। এই ঘটনায় গতরাতে হাতিরঝিল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। বর্তমানে লাশ মর্গে আছে। ময়নাতদন্ত শেষ লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। জানা গেছে, কিছুদিন থেকেই মীমকে একসঙ্গে থাকার অনুরোধ করে আসছিলেন আসাদ। কিন্ত মীম তাতে রাজী হননি। আত্মহত্যা করার আগেও বেশ কয়েকবার স্ত্রীকে তার কাছে চলে আসার অনুরোধ করেন। রাজিন হননি মীম। তবে কী কারণে রাজি হচ্ছিলেন না সে বিষয়ে কিছুই বলতে রাজি না তিনি। মীম বলেন, দুই-তিন মাস থেকে ঝগড়া চলছিল, আমরা আলাদা থাকছিলাম। গত কয়েক দিন থেকে আমাকে তার কাছে চলে যেতে বলছিল। আমি যেতে না চাওয়ায় আবারও ঝগড়া হয়। তারপর কীভাবে কী হয়ে গেলো কিছুই জানি না। সম্পর্ক ভালো না থাকায় ওর পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না। আসাদ বাড্ডার একটি বহুমুখী কোম্পানির এক কর্মকর্তার ব্যক্তিগত সহকারী ও প্রাইভেটকার চালক হিসেবে কাজ করতেন। হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য থেকে এই যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে তেমন কিছু জানা যায়নি। খবর পেয়ে টাঙ্গাইল থেকে আসাদের বাবা ও ভাই হাতিরঝিল থানায় আসেন।
প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে হাতিরঝিল লেকের মহানগর ব্রিজ থেকে পানিতে লাফ দেন আসাদ। সেখানে থাকা দুই তরুণ দেখতে পেয়ে স্থানীয় নিরাপত্তাকর্মীকে জানায়। এরপর তারা থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ লেক থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

যেই হাতিরঝিলে প্রেমের শুরু সেখানেই মৃত্যু

আপডেট সময় : ০১:৫৯:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার নলুয়া গ্রামের রমজান আলী খানের ছেলে আসাদ খান (২৪)। পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে আসেন ঢাকায়। ঢাকায় এসে কোনও কুলকিনারা না পেয়ে ঘুরতেন এখানে-ওখানে। হাতিরঝিল মধুবাগ এলাকায় আড্ডা দিতে গিয়ে সানজিদা আক্তার মীমের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে প্রেম, ছয় মাস আগে বিয়ে করেন। শনিবার হাতিরঝিল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা স্ত্রীর সঙ্গে অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন আসাদ।
গতকাল রোববার (১৩ নভেম্বর) বিকালে আলাপকালে আসদের স্ত্রী সানজিদা আক্তার মীম বলেন, আসাদের খুব রাগ ছিল। একটু কিছু হলেই রেগে যেতো। তিনি বলেন, বিয়ের আগে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেয় আসাদ। বিয়ের পরে বাড্ডা লিংক রোড একটি ভাড়া বাসায় থাকতাম। খুব ভালোই ছিলাম আমরা। কিছুদিন আগে আসাদের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়। আমি মধুবাগে বাবার বাসায় চলে আসি। স্ত্রী ও পরিবারের ওপর অভিমান করে আসাদ আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। এই ঘটনায় গতরাতে হাতিরঝিল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। বর্তমানে লাশ মর্গে আছে। ময়নাতদন্ত শেষ লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। জানা গেছে, কিছুদিন থেকেই মীমকে একসঙ্গে থাকার অনুরোধ করে আসছিলেন আসাদ। কিন্ত মীম তাতে রাজী হননি। আত্মহত্যা করার আগেও বেশ কয়েকবার স্ত্রীকে তার কাছে চলে আসার অনুরোধ করেন। রাজিন হননি মীম। তবে কী কারণে রাজি হচ্ছিলেন না সে বিষয়ে কিছুই বলতে রাজি না তিনি। মীম বলেন, দুই-তিন মাস থেকে ঝগড়া চলছিল, আমরা আলাদা থাকছিলাম। গত কয়েক দিন থেকে আমাকে তার কাছে চলে যেতে বলছিল। আমি যেতে না চাওয়ায় আবারও ঝগড়া হয়। তারপর কীভাবে কী হয়ে গেলো কিছুই জানি না। সম্পর্ক ভালো না থাকায় ওর পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না। আসাদ বাড্ডার একটি বহুমুখী কোম্পানির এক কর্মকর্তার ব্যক্তিগত সহকারী ও প্রাইভেটকার চালক হিসেবে কাজ করতেন। হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য থেকে এই যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে তেমন কিছু জানা যায়নি। খবর পেয়ে টাঙ্গাইল থেকে আসাদের বাবা ও ভাই হাতিরঝিল থানায় আসেন।
প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে হাতিরঝিল লেকের মহানগর ব্রিজ থেকে পানিতে লাফ দেন আসাদ। সেখানে থাকা দুই তরুণ দেখতে পেয়ে স্থানীয় নিরাপত্তাকর্মীকে জানায়। এরপর তারা থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ লেক থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।