ঝালকাঠি সংবাদদাতা : ঝালকাঠি জেলা যুবলীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে উভয় পক্ষের পাঁচ জন আহত হয়েছে। আহদের মধ্যে তিন জন বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং দুই জন ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে শহরের পোস্ট অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতরা জানান, সকালে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হরতাল-অবরোধবিরোধী মিছিল করে। এক পর্যায়ে পোস্ট অফিসের সামনে গেলে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করীম জাকির এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ নেতা সৈয়দ মিলন সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ নেতা সৈয়দ হাদিসুর রহমান, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম অপু, হারুন হাওলাদার ওরফে টাইগার হারুন, সাগর ও মামুনুর রশিদ মামুন আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত মামুনুর রশিদ বলেন, ‘সদর উপজেলা আ্ওয়ামী লীগের সাধারষ সম্পাদক হাফিজ আল মাহমুদ, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করীম জাকির ও যুবলীগ নেতা কামাল শরীফের নেতৃত্বে আমরা হরতাল-অবরোধ বিরোধী মহড়া শেষে পোস্ট অফিসের সামনে হোটেলে নাস্তা করছিলাম। সামনে জটলা দেখে নাস্তা শেষ করে বের হবার সঙ্গে সঙ্গে মুখোশধারী কয়েকজনে হামলা চালায়। তবে তাদের আমি চিনতে পেরেছি। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’ কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম অপু বলেন, ‘জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন (সৈয়দ মিলন) ভাইর নেতৃত্বে জামায়াত-বিএনপি আহূত হরতাল-অবরোধবিরোধী মহড়া শেষে ফায়ার সার্ভিস মোড় দিয়ে ডাক্তারপট্টি যাচ্ছিলাম। পোস্ট অফিসের সামনে গেলে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমাদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। আমরা এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ সদর থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, সকালে যুবলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।