ঢাকা ০৭:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যুবদলের টুকুসহ সাতজন ৪ দিনের রিমান্ডে

  • আপডেট সময় : ০২:৪০:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ সাতজনকে পুলিশের ওপর হামলায় গত মে মাসের এক মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। ঢাকার পল্টন থানায় দায়ের করা ওই মামলায় রিমান্ডে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্ববায়ক লালবাগ এলাকার সাবেক কমিশনার মোশাররফ হোসেন খোকনক, যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, মোকলেস মিয়া, জজ মিয়া, ফরিদ উদ্দিন মনা ও আব্দুল্লাহ।
গতকাল রোববার তাদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম শফি উদ্দিন তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত শনিবার রাজশাহীর বিভাগীয় সমাবেশ শেষে ফেরার পথে ঢাকার আমিন বাজারের কাছ থেকে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ চারজনকে গোয়েন্দারা আটক করেছেন বলে দাবি জানিয়েছিলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। অপরদিকে শনিবার রাতে লালবাগ থেকে খোকনকে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করেছে বলে রাতে বিএনপি কার্যালয় থেকে জানানো হয়।
রোববার তাদের আদালতে হাজির করে গত ২৬ মে পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড চান তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বিজন কুমার চাওয়া হয়। উপ পরিদর্শক মো. কামরুল হাসান বাদী হয়ে বিএনপি নেতা রিজভীসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে ওই মামলা করেন, যাতে ১০০/১৫০ অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা বেআইনিভাবে মিছিল বের করে দাঙ্গা-হাঙ্গামা, কাঠের মশাল, বাঁশের লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তায় বের হয়। তারা সরকারবিরোধী বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য ও অবমাননাকর স্লোগান দেন। এ সময় ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর আক্রমণ করে মিছিলকারীরা। এতে এক পুলিশ আহত হন।
রাজধানীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ৪৭২ জন: রাজধানীতে ১ ডিসেম্বর শুরু হওয়া ১৫ দিনের বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত ৪৭২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল রোববার দুপুরে ডিএমপি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘আমাদের বিশেষ অভিযানে অনেকে গ্রেপ্তার হচ্ছেন। যাদের মধ্যে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত রয়েছেন।’ ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর আবাসিক হোটেল ও বিভিন্ন এলাকায় যে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে তা আমাদের রুটিন ওয়ার্ক। অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শতাধিক ব্যক্তিকে। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। পাশাপাশি কেউ যেন অহেতুক হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়টি পুলিশকে সতর্কভাবে দেখভাল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে বাড়তি যে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, তা আমাদের নিয়মিত ডিউটির অংশ। সেখানে অতিরিক্ত কোনো কিছুই নয়, মূলত সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনায় আমরা সেখানে ফোর্স মোতায়েন করেছি। আরেক প্রশ্নের জবাবে ডিসি ফারুক হোসেন বলেন, কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, কেবল যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে, তাদেরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। রাজধানীবাসীর জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের যা যা করণীয়, সবই করবে বলেও উল্লেখ করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে রাজধানীজুড়ে ব্লক রেইড শুরু করে পুলিশ। বিশেষ করে গুলশান, বনানী, মহাখালী, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত আবাসিক হোটেল, মদের বার ও বহুতল ভবনে অভিযান চালানো হয়। জঙ্গি, সন্ত্রাসী বা সাজাপ্রাপ্ত আসামি ধরতেই এই অভিযান বলছে পুলিশ। তাছাড়া বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজার সামনে রাস্তার দুদিকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। এর আগে ২৯ নভেম্বর পুলিশ সদরদপ্তর থেকে এক চিঠির মাধ্যমে দেশজুড়ে বিশেষ অভিযান চালানোর জন্য পুলিশের সব ইউনিটের প্রধান, জেলার পুলিশ সুপার ও ওসিদের নির্দেশনা পাঠানো হয়, যা ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

যুবদলের টুকুসহ সাতজন ৪ দিনের রিমান্ডে

আপডেট সময় : ০২:৪০:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ সাতজনকে পুলিশের ওপর হামলায় গত মে মাসের এক মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। ঢাকার পল্টন থানায় দায়ের করা ওই মামলায় রিমান্ডে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্ববায়ক লালবাগ এলাকার সাবেক কমিশনার মোশাররফ হোসেন খোকনক, যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, মোকলেস মিয়া, জজ মিয়া, ফরিদ উদ্দিন মনা ও আব্দুল্লাহ।
গতকাল রোববার তাদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম শফি উদ্দিন তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত শনিবার রাজশাহীর বিভাগীয় সমাবেশ শেষে ফেরার পথে ঢাকার আমিন বাজারের কাছ থেকে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ চারজনকে গোয়েন্দারা আটক করেছেন বলে দাবি জানিয়েছিলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। অপরদিকে শনিবার রাতে লালবাগ থেকে খোকনকে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করেছে বলে রাতে বিএনপি কার্যালয় থেকে জানানো হয়।
রোববার তাদের আদালতে হাজির করে গত ২৬ মে পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড চান তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বিজন কুমার চাওয়া হয়। উপ পরিদর্শক মো. কামরুল হাসান বাদী হয়ে বিএনপি নেতা রিজভীসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে ওই মামলা করেন, যাতে ১০০/১৫০ অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা বেআইনিভাবে মিছিল বের করে দাঙ্গা-হাঙ্গামা, কাঠের মশাল, বাঁশের লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তায় বের হয়। তারা সরকারবিরোধী বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য ও অবমাননাকর স্লোগান দেন। এ সময় ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর আক্রমণ করে মিছিলকারীরা। এতে এক পুলিশ আহত হন।
রাজধানীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ৪৭২ জন: রাজধানীতে ১ ডিসেম্বর শুরু হওয়া ১৫ দিনের বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত ৪৭২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল রোববার দুপুরে ডিএমপি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘আমাদের বিশেষ অভিযানে অনেকে গ্রেপ্তার হচ্ছেন। যাদের মধ্যে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত রয়েছেন।’ ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর আবাসিক হোটেল ও বিভিন্ন এলাকায় যে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে তা আমাদের রুটিন ওয়ার্ক। অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শতাধিক ব্যক্তিকে। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। পাশাপাশি কেউ যেন অহেতুক হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়টি পুলিশকে সতর্কভাবে দেখভাল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে বাড়তি যে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, তা আমাদের নিয়মিত ডিউটির অংশ। সেখানে অতিরিক্ত কোনো কিছুই নয়, মূলত সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনায় আমরা সেখানে ফোর্স মোতায়েন করেছি। আরেক প্রশ্নের জবাবে ডিসি ফারুক হোসেন বলেন, কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, কেবল যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে, তাদেরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। রাজধানীবাসীর জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের যা যা করণীয়, সবই করবে বলেও উল্লেখ করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে রাজধানীজুড়ে ব্লক রেইড শুরু করে পুলিশ। বিশেষ করে গুলশান, বনানী, মহাখালী, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত আবাসিক হোটেল, মদের বার ও বহুতল ভবনে অভিযান চালানো হয়। জঙ্গি, সন্ত্রাসী বা সাজাপ্রাপ্ত আসামি ধরতেই এই অভিযান বলছে পুলিশ। তাছাড়া বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজার সামনে রাস্তার দুদিকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। এর আগে ২৯ নভেম্বর পুলিশ সদরদপ্তর থেকে এক চিঠির মাধ্যমে দেশজুড়ে বিশেষ অভিযান চালানোর জন্য পুলিশের সব ইউনিটের প্রধান, জেলার পুলিশ সুপার ও ওসিদের নির্দেশনা পাঠানো হয়, যা ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।