চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় কাপড় চুরির অপবাদে এক যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতনের পর শরীরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে তা মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। উপজেলার হারদী ইউনিয়নের খালপাড়া গ্রামে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাত ৩টা থেকে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৭টা পর্যন্ত ওই যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতন চালানো হয়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের সহায়তায় ওসমানপুর ফাঁড়ি পুলিশের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়।
নির্যাতনের শিকার ব্যক্তি উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের ফারাজী পাড়ার পচা ফারাজীর ছেলে বজলু ফারাজী (৩৫)।
জানা গেছে, হারদি গ্রামের কালু হোসেনের স্ত্রীর একটি কাপড় চুরির অভিযোগ ওঠে বজলু ফারাজীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, চুরি করা সেই কাপড় পরে তিনি বিভিন্ন বাড়ির জানালায় উঁকি দিচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘুম থেকে উঠে কালু হোসেন জানালা দিয়ে এক ব্যক্তিকে উঁকি দিতে দেখেন। তখন তিনি সন্দেহভাজন বজলুকে ধরে ফেলেন। তার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে বজলুকে একটি কাঁঠাল গাছে বেঁধে সারারাত নির্যাতন চালান। একপর্যায়ে বজলুর পরিহিত কাপড়ে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি আগুন ধরিয়ে দেন। তখন বজলু প্রাণভিক্ষা চেয়ে চিৎকার করতে থাকেন। তবে নির্যাতনকারীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা সাড়া দেননি।
খালপাড়া ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, রাতের আঁধারে চুরি করতে গিয়ে বজলু নামে একজনকে আটক করে এলাকাবাসী। পরে অনেকে তাকে মারধর করেছে। বিষয়টি জানার পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশে খবর দিয়ে তাকে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করি।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি মাসুদুর রহমান জানান, চুরি করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়েন বজলু ফারাজী নামে এক যুবক। তাকে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।