ঢাকা ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

যুদ্ধ নয়, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে মনযোগী হন: ফিজি

  • আপডেট সময় : ১২:৫৯:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জুন ২০২২
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর জন্য যুদ্ধ নয় বরং জলবায়ু পরিবর্তন বড় হুমকি হয়ে উঠেছে। তাই জলবায়ু পরিবর্তন রোধে অধিক মনযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ফিজি।
গত রোববার সিঙ্গাপুরে ‘শাংরি-লা ডায়ালগ’ শীর্ষক এশিয়ান নিরাপত্তা সম্মেলনে ফিজির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইনিয়া সেরুইরাতু একথা বলেন বলে জানায় বিবিসি।
তিনি বলেন, ‘‘মেশিন গান, যুদ্ধ বিমান…..এগুলো প্রাথমিকভাবে আমাদের নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণ নয়। বরং আমাদের অস্তিত্বের জন্য একমাত্র বৃহৎ হুমকি হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন।”
সিঙ্গাপুরের ওই নিরাপত্তা সম্মেলনে মূলত চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাড়তে থাকা উত্তেজনা এবং ইউক্রেইন যুদ্ধ নিয় আলোচনা চলে। সেখানেই জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে নিজের উদ্বেগ তুলে ধরেন ফিজির মন্ত্রী সেরুইরাতু।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফিজির মত প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলোতে বারবার ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে।
সেরুইরাতু বলেন, ‘‘মানব সৃষ্ট দুর্যোগ এবং বিপর্যয়কর জলবায়ু পরিবর্তন। এটা আমাদের আশা এবং সমৃদ্ধির স্বপ্নকে হুমকিতে ফেলে দিয়েছে।”
গত কয়েক বছরে ফিজিতে ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট বন্যায় হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। দেশ মারাত্মক অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের পড়েছে।
তাই প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলো বার বার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় শিল্পোন্নত দেশগুলোকে আরো অবদান রাখার আহ্বান জানিয়ে আসছে।
সম্মেলনে সেরুইরাতু বলেন, ‘‘সমুদ্রের ঢেউ আমাদের দোরগোড়ায় আছড়ে পড়ছে। বাতাস আমাদের বাড়িঘর বিধ্বস্ত করছে। এই শত্রু নানা দিক থেকে আমাদের আক্রমণ করছে।”
ঊনবিংশ শতাব্দীর তুলনায় বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বর্তমানে ১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেছে। জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের কারণে বায়ুম-লে গ্রিন হাউজ গ্যাসের মাত্রা ভয়াবহরকমভাবে বেড়ে গেছে, বিশেষ করে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা।
এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের প্রভাব বাড়ছে। যা ওই অঞ্চলে পশ্চিমাদের কৌশলগত স্বার্থকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। সিঙ্গাপুরের সম্মেলনে এই বিষয়টিতেই অধিক মনযোগ দেয়া হয়েছে বলে জানায় বিবিসি।
গত এপ্রিলে সলোমন দ্বীপপুঞ্জ চীনের সঙ্গে একটি নিরাপত্তা চুক্তি সই করে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র। ওই চুক্তির বিস্তারিত এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
চীন প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোকে আঞ্চলিক বাণিজ্য ও নিরাপত্তার বিষয়ে নতুন একটি চুক্তির প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে। সলোমন দ্বীপপুঞ্জ ছাড়া আর কোনো দেশ এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছায়নি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বজ্রপাতে একদিনে ১০ জনের মৃত্যু

যুদ্ধ নয়, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে মনযোগী হন: ফিজি

আপডেট সময় : ১২:৫৯:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জুন ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর জন্য যুদ্ধ নয় বরং জলবায়ু পরিবর্তন বড় হুমকি হয়ে উঠেছে। তাই জলবায়ু পরিবর্তন রোধে অধিক মনযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ফিজি।
গত রোববার সিঙ্গাপুরে ‘শাংরি-লা ডায়ালগ’ শীর্ষক এশিয়ান নিরাপত্তা সম্মেলনে ফিজির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইনিয়া সেরুইরাতু একথা বলেন বলে জানায় বিবিসি।
তিনি বলেন, ‘‘মেশিন গান, যুদ্ধ বিমান…..এগুলো প্রাথমিকভাবে আমাদের নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণ নয়। বরং আমাদের অস্তিত্বের জন্য একমাত্র বৃহৎ হুমকি হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন।”
সিঙ্গাপুরের ওই নিরাপত্তা সম্মেলনে মূলত চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাড়তে থাকা উত্তেজনা এবং ইউক্রেইন যুদ্ধ নিয় আলোচনা চলে। সেখানেই জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে নিজের উদ্বেগ তুলে ধরেন ফিজির মন্ত্রী সেরুইরাতু।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফিজির মত প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলোতে বারবার ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে।
সেরুইরাতু বলেন, ‘‘মানব সৃষ্ট দুর্যোগ এবং বিপর্যয়কর জলবায়ু পরিবর্তন। এটা আমাদের আশা এবং সমৃদ্ধির স্বপ্নকে হুমকিতে ফেলে দিয়েছে।”
গত কয়েক বছরে ফিজিতে ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট বন্যায় হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। দেশ মারাত্মক অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের পড়েছে।
তাই প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলো বার বার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় শিল্পোন্নত দেশগুলোকে আরো অবদান রাখার আহ্বান জানিয়ে আসছে।
সম্মেলনে সেরুইরাতু বলেন, ‘‘সমুদ্রের ঢেউ আমাদের দোরগোড়ায় আছড়ে পড়ছে। বাতাস আমাদের বাড়িঘর বিধ্বস্ত করছে। এই শত্রু নানা দিক থেকে আমাদের আক্রমণ করছে।”
ঊনবিংশ শতাব্দীর তুলনায় বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বর্তমানে ১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেছে। জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের কারণে বায়ুম-লে গ্রিন হাউজ গ্যাসের মাত্রা ভয়াবহরকমভাবে বেড়ে গেছে, বিশেষ করে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা।
এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের প্রভাব বাড়ছে। যা ওই অঞ্চলে পশ্চিমাদের কৌশলগত স্বার্থকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। সিঙ্গাপুরের সম্মেলনে এই বিষয়টিতেই অধিক মনযোগ দেয়া হয়েছে বলে জানায় বিবিসি।
গত এপ্রিলে সলোমন দ্বীপপুঞ্জ চীনের সঙ্গে একটি নিরাপত্তা চুক্তি সই করে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র। ওই চুক্তির বিস্তারিত এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
চীন প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোকে আঞ্চলিক বাণিজ্য ও নিরাপত্তার বিষয়ে নতুন একটি চুক্তির প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে। সলোমন দ্বীপপুঞ্জ ছাড়া আর কোনো দেশ এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছায়নি।