ঢাকা ০২:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫

যুদ্ধাপরাধ মামলায় জামায়াতের খালেক ম-লের রায় আগামীকাল

  • আপডেট সময় : ১২:০৪:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ মার্চ ২০২২
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের মামলায় সাতক্ষীরার জামায়াত নেতা সাবেক এমপি আব্দুল খালেক ম-ল ও খান রোকনুজ্জামানের সাজা হবে কি না তা জানা যাবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার।
বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সেদিন এ মামলার রায় ঘোষণা করবে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সাতক্ষীরা এলাকায় হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, আটকে রেখে নির্যাতনের মত মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি অভিযোগ রয়েছে ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে।
গতকাল মঙ্গলবার মামলাটি কার্যতালিকায় এলে ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার জন্য ২৪ মার্চ তারিখ নির্ধারণ করে দেয় বলে প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন জানান।
রেজিয়া সুলতানা চমনই রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলা পরিচালনা করেন। খালেক ম-লের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার। আর পলাতক আসামি খান রোকনুজ্জামানের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম। চূড়ান্ত যুক্তিতর্কে প্রসিকিউশন দুই আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- চায়। অন্যদিকে আসামিপক্ষ অভিযোগ থেকে আসামিদের খালাস চেয়ে যুক্তি দেয়।
প্রসিকিউশন ও আসামিক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে গত বছরের ২১ নভেম্বর মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছিল আদালত।
প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন বলেন, মামলাটি ২০১৫ সালের। পরে ২০১৮ সালের ৫ মার্চ অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল। সে সময় আসামি ছিল চারজন। তাদের মধ্যে আব্দুল্লাহ আল বাকী এবং জহিরুল ইসলাম ওরফে টিক্কা খান নামের দুই আসামি বিচারাধীন অবস্থায় মারা যান। বাকি দুই আসামির মধ্যে সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির ও সাতক্ষীরা সদর আসনের সাবেক এমপি আব্দুল খালেক ম-লকে তদন্তের সময়ই গ্রেপ্তার করা হয়। আর খান রোকনুজ্জামান এখনও পলাতক।
বিচার পরিক্রমা : মুক্তিযুদ্ধের সময় পাঁচ ব্যক্তিকে জবাই ও বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যার অভিযোগে সাতক্ষীরা সদর আসনে জামায়াতের সাবেক সাংসদ আব্দুল খালেক ম-লসহ নয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ২ জুলাই মামলা দায়ের হয়। মামলা করেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিমুলবাড়িয়া গ্রামের শহীদ রুস্তম আলী গাজীর ছেলে নজরুল ইসলাম গাজী; পরে মামলাটি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ২০১৫ সালের ১৬ জুন ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খলিলনগর মহিলা মাদ্রাসায় বৈঠকের সময় জামায়াত নেতা খালেক ম-লকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সাতক্ষীরায় হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি মামলার মধ্যে শহীদ মোস্তফা গাজী হত্যা মামলায় সাবেক এই জনপ্রতিনিধিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা যুদ্ধাপরাধীদের বিষয়ে জানতে ২০১৫ সালের ৭ অগাস্ট তদন্তে নামে, যা চলে ২০১৭ সালে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেক ম-ল, রোকনুজ্জামান, আব্দুল্লাহ আল বাকী এবং জহিরুল ইসলাম ওরফে টিক্কার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। সেখানে মোট ৩৩ জনকে সাক্ষী করা হয়েছিল, যাদের মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য শুনেছে ট্রাইব্যুনাল।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

যুদ্ধাপরাধ মামলায় জামায়াতের খালেক ম-লের রায় আগামীকাল

আপডেট সময় : ১২:০৪:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের মামলায় সাতক্ষীরার জামায়াত নেতা সাবেক এমপি আব্দুল খালেক ম-ল ও খান রোকনুজ্জামানের সাজা হবে কি না তা জানা যাবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার।
বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সেদিন এ মামলার রায় ঘোষণা করবে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সাতক্ষীরা এলাকায় হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, আটকে রেখে নির্যাতনের মত মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি অভিযোগ রয়েছে ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে।
গতকাল মঙ্গলবার মামলাটি কার্যতালিকায় এলে ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার জন্য ২৪ মার্চ তারিখ নির্ধারণ করে দেয় বলে প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন জানান।
রেজিয়া সুলতানা চমনই রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলা পরিচালনা করেন। খালেক ম-লের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার। আর পলাতক আসামি খান রোকনুজ্জামানের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম। চূড়ান্ত যুক্তিতর্কে প্রসিকিউশন দুই আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- চায়। অন্যদিকে আসামিপক্ষ অভিযোগ থেকে আসামিদের খালাস চেয়ে যুক্তি দেয়।
প্রসিকিউশন ও আসামিক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে গত বছরের ২১ নভেম্বর মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছিল আদালত।
প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন বলেন, মামলাটি ২০১৫ সালের। পরে ২০১৮ সালের ৫ মার্চ অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল। সে সময় আসামি ছিল চারজন। তাদের মধ্যে আব্দুল্লাহ আল বাকী এবং জহিরুল ইসলাম ওরফে টিক্কা খান নামের দুই আসামি বিচারাধীন অবস্থায় মারা যান। বাকি দুই আসামির মধ্যে সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির ও সাতক্ষীরা সদর আসনের সাবেক এমপি আব্দুল খালেক ম-লকে তদন্তের সময়ই গ্রেপ্তার করা হয়। আর খান রোকনুজ্জামান এখনও পলাতক।
বিচার পরিক্রমা : মুক্তিযুদ্ধের সময় পাঁচ ব্যক্তিকে জবাই ও বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যার অভিযোগে সাতক্ষীরা সদর আসনে জামায়াতের সাবেক সাংসদ আব্দুল খালেক ম-লসহ নয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ২ জুলাই মামলা দায়ের হয়। মামলা করেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিমুলবাড়িয়া গ্রামের শহীদ রুস্তম আলী গাজীর ছেলে নজরুল ইসলাম গাজী; পরে মামলাটি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ২০১৫ সালের ১৬ জুন ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খলিলনগর মহিলা মাদ্রাসায় বৈঠকের সময় জামায়াত নেতা খালেক ম-লকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সাতক্ষীরায় হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি মামলার মধ্যে শহীদ মোস্তফা গাজী হত্যা মামলায় সাবেক এই জনপ্রতিনিধিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা যুদ্ধাপরাধীদের বিষয়ে জানতে ২০১৫ সালের ৭ অগাস্ট তদন্তে নামে, যা চলে ২০১৭ সালে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেক ম-ল, রোকনুজ্জামান, আব্দুল্লাহ আল বাকী এবং জহিরুল ইসলাম ওরফে টিক্কার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। সেখানে মোট ৩৩ জনকে সাক্ষী করা হয়েছিল, যাদের মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য শুনেছে ট্রাইব্যুনাল।