ঢাকা ০৫:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

যুদ্ধাপরাধে গ্রেপ্তার আসামির মৃত্যু

  • আপডেট সময় : ০২:১৫:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারের ১২ দিনের মধ্যে মারা গেলেন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের রুস্তম আলী (৮১)। তিনি কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। অসুস্থ অবস্থায় গতকাল বুধবার সকালে কারাগার থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, রুস্তম আলীর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, সকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে রুস্তম আলীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কী সমস্যা ছিল- প্রশ্নে তিনি বলেন, “বার্ধক্যজনিত সমস্যা ছিল।”
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন বলেন, রুস্তম আলীর বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে। সেখানে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ঢাকার জেল সুপার সুভাষ বলেন, রুস্তম আলীর মামলাটি যেহেতু ঢাকায় ট্রাইব্যুনালে চলছিল। তাই ২৭ অক্টোবর ময়মনসিংহ কারাগার থেকে তাকে ঢাকায় আনা হয়।
গত ২২ অক্টোবর রুস্তম আলীকে ঈশ্বরগঞ্জের আঠারবাড়ি ইউনিয়নের কালিয়ান গ্রামে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরোয়ানা জারি করায় রুস্তমকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছিলেন ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মো. আবদুল কাদের মিয়া। মুক্তিযুদ্ধের সময় ঈশ্বরগঞ্জে গণহত্যা, অগ্নিসংযোগের মতো অপরাধের অভিযোগে রুস্তম ১৫ জনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা রয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

যুদ্ধাপরাধে গ্রেপ্তার আসামির মৃত্যু

আপডেট সময় : ০২:১৫:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারের ১২ দিনের মধ্যে মারা গেলেন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের রুস্তম আলী (৮১)। তিনি কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। অসুস্থ অবস্থায় গতকাল বুধবার সকালে কারাগার থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, রুস্তম আলীর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, সকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে রুস্তম আলীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কী সমস্যা ছিল- প্রশ্নে তিনি বলেন, “বার্ধক্যজনিত সমস্যা ছিল।”
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন বলেন, রুস্তম আলীর বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে। সেখানে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ঢাকার জেল সুপার সুভাষ বলেন, রুস্তম আলীর মামলাটি যেহেতু ঢাকায় ট্রাইব্যুনালে চলছিল। তাই ২৭ অক্টোবর ময়মনসিংহ কারাগার থেকে তাকে ঢাকায় আনা হয়।
গত ২২ অক্টোবর রুস্তম আলীকে ঈশ্বরগঞ্জের আঠারবাড়ি ইউনিয়নের কালিয়ান গ্রামে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরোয়ানা জারি করায় রুস্তমকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছিলেন ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মো. আবদুল কাদের মিয়া। মুক্তিযুদ্ধের সময় ঈশ্বরগঞ্জে গণহত্যা, অগ্নিসংযোগের মতো অপরাধের অভিযোগে রুস্তম ১৫ জনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা রয়েছে।