ঢাকা ১২:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে ৩৪ বন্দিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত হামাস

  • আপডেট সময় : ০৭:২৯:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে নির্মূলের লক্ষ্য নিয়ে অবরুদ্ধ গাজা ভ‚খÐে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা ১৫ মাস ধরে চলা এই অভিযানে বিপুল সংখ্যক বেসামরিক মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশটি। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিও হয়ে উঠেছে বেশ জোরালো।

এমন অবস্থায় ৩৪ বন্দিকে মুক্তি দিতে সম্মত হওয়ার কথা জানিয়েছে হামাস। যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে প্রথম ধাপে এই মুক্তির বিষয়ে সম্মত হয়েছে স্বাধীনতাকামী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। গতকাল সোমবার (৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। হামাস বলেছে, তারা ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসাবে ৩৪ বন্দিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত। বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং এএফপি ফিলিস্তিনি এই স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীর একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে একথা জানিয়েছে। ফিলিস্তিনি এই গোষ্ঠীটি গাজা উপত্যকা শাসন করে এবং “বন্দি বিনিময় চুক্তির প্রথম পর্যায়ের অংশ হিসাবে” বন্দিদের মুক্তির অনুমোদন দিয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন হামাস কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এএফপি রোববার জানিয়েছে। প্রাথমিক এই বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়ার মধ্যে গাজায় আটক থাকা সকল নারী, শিশু, বয়স্ক মানুষ এবং অসুস্থ বন্দিদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলেও এএফপিকে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

অন্যদিকে রয়টার্স নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন হামাস কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি নির্ভর করবে ইসরায়েলের স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার এবং গাজা থেকে তাদের সেনাবাহিনীর প্রত্যাহারের ওপর। অবশ্য রোববার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, হামাস এখনও সম্ভাব্য মুক্তির জন্য বন্দিদের তালিকা দেয়নি। রয়টার্স বলছে, কাতারে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর আলোচনা চলাকালীন এই প্রতিবেদনগুলো সামনে এসেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এই আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে এবং নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার আগে চলমান এই আলোচনায় শেষ মুহূর্তের অগ্রগতির আশা করছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে ৩৪ বন্দিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত হামাস

আপডেট সময় : ০৭:২৯:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

বিদেশের খবর ডেস্ক : ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে নির্মূলের লক্ষ্য নিয়ে অবরুদ্ধ গাজা ভ‚খÐে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা ১৫ মাস ধরে চলা এই অভিযানে বিপুল সংখ্যক বেসামরিক মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশটি। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিও হয়ে উঠেছে বেশ জোরালো।

এমন অবস্থায় ৩৪ বন্দিকে মুক্তি দিতে সম্মত হওয়ার কথা জানিয়েছে হামাস। যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে প্রথম ধাপে এই মুক্তির বিষয়ে সম্মত হয়েছে স্বাধীনতাকামী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। গতকাল সোমবার (৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। হামাস বলেছে, তারা ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসাবে ৩৪ বন্দিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত। বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং এএফপি ফিলিস্তিনি এই স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীর একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে একথা জানিয়েছে। ফিলিস্তিনি এই গোষ্ঠীটি গাজা উপত্যকা শাসন করে এবং “বন্দি বিনিময় চুক্তির প্রথম পর্যায়ের অংশ হিসাবে” বন্দিদের মুক্তির অনুমোদন দিয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন হামাস কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এএফপি রোববার জানিয়েছে। প্রাথমিক এই বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়ার মধ্যে গাজায় আটক থাকা সকল নারী, শিশু, বয়স্ক মানুষ এবং অসুস্থ বন্দিদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলেও এএফপিকে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

অন্যদিকে রয়টার্স নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন হামাস কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি নির্ভর করবে ইসরায়েলের স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার এবং গাজা থেকে তাদের সেনাবাহিনীর প্রত্যাহারের ওপর। অবশ্য রোববার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, হামাস এখনও সম্ভাব্য মুক্তির জন্য বন্দিদের তালিকা দেয়নি। রয়টার্স বলছে, কাতারে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর আলোচনা চলাকালীন এই প্রতিবেদনগুলো সামনে এসেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এই আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে এবং নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার আগে চলমান এই আলোচনায় শেষ মুহূর্তের অগ্রগতির আশা করছে।