প্রত্যাশা ডেস্ক: গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগের প্রথম ধাপে স্বাক্ষর করেছে ইসরায়েল ও হামাস। যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) উল্লাসে মেতে ওঠে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিরা। মিশরের রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত কায়রা টিভি জানিয়েছে, শার্ম আল-শেখের সমুদ্রতীরবর্তী রিসোর্ট শহরে শত্রুপক্ষের প্রতিনিধিরা চুক্তিতে স্বাক্ষর করার পর স্থানীয় সময় দুপুরের পর আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানিয়েছে, ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা অনুমোদনের পরই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। ওই বৈঠকটি বিকেল ৫টায় হওযার কথা।
তবে গাজার বাসিন্দারা জানান, চুক্তি স্বাক্ষরের নির্ধারিত সময়ের কাছাকাছি গাজা শহরে একাধিক বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
চুক্তির বিস্তারিত বিষয়ে অবহিত একটি সূত্র জানায়, স্বাক্ষরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলি সেনারা পিছু হটতে শুরু করবে।
চুক্তির অধীনে যুদ্ধ বন্ধ হবে, ইসরায়েল আংশিকভাবে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে এবং হামাস জিম্মি করে রাখা ইসরায়েলিদের মুক্তি দেবে। বিনিময়ে ইসরায়েলে আটক ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়া হবে।
চুক্তির খবর প্রকাশের পর গাজা ও ইসরায়েলে বন্দিদের পরিবারের সদস্যরা এবং সাধারণ মানুষ আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠে।
ইসরায়েলি বিমান হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজায়, তরুণরা রাস্তায় নেমে করতালি ও উল্লাস প্রকাশ করে। যদিও ইসরায়েলি হামলা তখনও চলছিল।
তেল আবিবের তথাকথিত ‘হোস্টেজেস স্কয়ারে’ উল্লাস করছিলেন ইসরায়েলিরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আইনাভ জাউগাউকার, যার ছেলে মাতান এখনও হামাসের হাতে বন্দি থাকা শেষ কয়েকজনের একজন।
ওআ/আপ্র/০৯/১০/২০২৫