ঢাকা ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে বেড়েছে মানবিক সহায়তার চাহিদা

  • আপডেট সময় : ১০:৩০:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ এপ্রিল ২০২২
  • ৬৪ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনে মানবিক সাহায্যের চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে। জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠান বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, দেশটিতে খাদ্য সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে।
কষ্টকর হয়ে পড়ছে খাবার জোগাড় করাও।
ভয়েজ অব আমেরিকা জানিয়েছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেনে আক্রমণ করার পর নিরাপত্তা ঝুঁকি সত্ত্বেও দেশটির ১০ লাখ মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দিতে পেরেছে ডব্লিউএফপি।
ইউক্রেনের লভিভ শহরে অবস্থান করা ডব্লিউএফপি’র মুখপাত্র টমসন ফিরি জানান, তপ্ত নিরাপত্তা পরিস্থিতির মধ্যে মানুষ দ্রুত অবস্থান বদল করছে। ফলে দেশটিতে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা নির্ণয় করা একটি কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
তিনি বলেন, আমি লভিভের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র থেকে ফিরেছি। দেখেছি মানুষ কতটা মানসিক চাপের মধ্যে আছে। প্রতিদিন তারা প্রাণ ধারনের বিকল্পের সন্ধানে মানুষ ছুটছে। এমন পরিস্থিতি তাদের নিঃশেষ করে দিচ্ছে।
ফিরি জানান, ডব্লিউএফপি’র পরিকল্পনা হচ্ছে ইউক্রেনের ভেতরে ৩০ লাখেরও বেশি মানুষকে খাদ্য ও নগদ অর্থ সহায়তা করা। এছাড়াও প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে যাওয়া আরো তিন লাখ মানুষকে অভিন্ন সহায়তা-কর্মসূচির আওতায় আনা।
জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে- ইউক্রেনের সংঘাত বিশ্বের খাদ্য সরবরাহের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে।
খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানিয়েছে, বিশ্বের গম বাণিজ্যের প্রায় ৩০ শতাংশ অংশীদার রাশিয়া ও ইউক্রেন। অন্তত ৫০টি দেশ গমের জন্য ওই দুই দেশের ওপর নির্ভরশীল। ফলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের গম রফতানি হ্রাস পাওয়ায় বিশ্বে ক্ষুধা বাড়বে। নতুন মাত্রায় বাড়বে খাদ্যের মূল্য।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে বেড়েছে মানবিক সহায়তার চাহিদা

আপডেট সময় : ১০:৩০:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ এপ্রিল ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনে মানবিক সাহায্যের চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে। জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠান বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, দেশটিতে খাদ্য সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে।
কষ্টকর হয়ে পড়ছে খাবার জোগাড় করাও।
ভয়েজ অব আমেরিকা জানিয়েছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেনে আক্রমণ করার পর নিরাপত্তা ঝুঁকি সত্ত্বেও দেশটির ১০ লাখ মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দিতে পেরেছে ডব্লিউএফপি।
ইউক্রেনের লভিভ শহরে অবস্থান করা ডব্লিউএফপি’র মুখপাত্র টমসন ফিরি জানান, তপ্ত নিরাপত্তা পরিস্থিতির মধ্যে মানুষ দ্রুত অবস্থান বদল করছে। ফলে দেশটিতে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা নির্ণয় করা একটি কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
তিনি বলেন, আমি লভিভের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র থেকে ফিরেছি। দেখেছি মানুষ কতটা মানসিক চাপের মধ্যে আছে। প্রতিদিন তারা প্রাণ ধারনের বিকল্পের সন্ধানে মানুষ ছুটছে। এমন পরিস্থিতি তাদের নিঃশেষ করে দিচ্ছে।
ফিরি জানান, ডব্লিউএফপি’র পরিকল্পনা হচ্ছে ইউক্রেনের ভেতরে ৩০ লাখেরও বেশি মানুষকে খাদ্য ও নগদ অর্থ সহায়তা করা। এছাড়াও প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে যাওয়া আরো তিন লাখ মানুষকে অভিন্ন সহায়তা-কর্মসূচির আওতায় আনা।
জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে- ইউক্রেনের সংঘাত বিশ্বের খাদ্য সরবরাহের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে।
খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানিয়েছে, বিশ্বের গম বাণিজ্যের প্রায় ৩০ শতাংশ অংশীদার রাশিয়া ও ইউক্রেন। অন্তত ৫০টি দেশ গমের জন্য ওই দুই দেশের ওপর নির্ভরশীল। ফলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের গম রফতানি হ্রাস পাওয়ায় বিশ্বে ক্ষুধা বাড়বে। নতুন মাত্রায় বাড়বে খাদ্যের মূল্য।