ঢাকা ০৬:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

যুগান্তকারী চিকিৎসায় প্রথমবার শুনতে পেল ১১ বছরের বধির শিশু

  • আপডেট সময় : ১০:২৬:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৫০ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: যুগান্তকারী জিন থেরাপি চিকিৎসায় প্রথমবারের মতো শুনতে পেল ১১ বছর বয়সি বধির শিশু আইসাম ড্যাম। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার শিশু হাসপাতালে (সিএইচওপি) চিকিৎসার পর সে গাড়ি ও কাচির শব্দ শুনতে পেয়েছে বলে জানিয়েছেন শিশুটির বাবা। কিন্তু শুনতে পেলেও হয়তো কথা বলতে পারবে না আইসাম। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে। হাসপাতালের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, য্ক্তুরাষ্ট্রে এই প্রথম যুগান্তকারী জিন প্রতিস্থাপন করেছে ফিলাডেলফিয়ার শিশু হাসপাতাল (সিএইচওপি)। এই চিকিৎসা পদ্ধতির প্রশংসা করে বলা হয়েছে, জন্মগত বধিরদের কানে শোনার আশা জাগিয়েছে। সিএইচওপি হাসপাতালের অটোল্যারিঙ্গোলজি বিভাগের ক্লিনিক্যাল গবেষণার পরিচালক সার্জন জন জার্মিলার বলেন, শ্রবণশক্তি হ্রাসের জন্য জিন থেরাপি এমন একটি বিষয় যা নিয়ে চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছেন। শিশুকালে শ্রবণশক্তি হারানো শিশুদের পুনরায় শোনার আশা ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, এই কাজ বা গবেষণা ভবিষ্যতে ১৫০ টিরও বেশি জিন নিয়ে কাজ করবে। যে জিনগুলো মূলত শ্রবণশক্তি হ্রাস করে। যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ নিয়ন্ত্রক ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের গবেষণা উদ্ধৃত করে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, নতুন করে শুনতে পাওয়া আইসাম হয়ত কখনও কথা বলতে পারবে না। কারণ কথা বলা শেখার মস্তিষ্কের স্তরটি প্রায় পাঁচ বছর বয়সেই বন্ধ হয়ে যায়। জানা গেছে, প্রথমবার শুনতে পাওয়া আইসাম ড্যাম এক বিরল কারণে বধির হয়ে জন্মগ্রহণ করেছিল। মরক্কোতে জন্মগ্রহণ করে পরে স্পেনে চলে যায় সে।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

যুগান্তকারী চিকিৎসায় প্রথমবার শুনতে পেল ১১ বছরের বধির শিশু

আপডেট সময় : ১০:২৬:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: যুগান্তকারী জিন থেরাপি চিকিৎসায় প্রথমবারের মতো শুনতে পেল ১১ বছর বয়সি বধির শিশু আইসাম ড্যাম। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার শিশু হাসপাতালে (সিএইচওপি) চিকিৎসার পর সে গাড়ি ও কাচির শব্দ শুনতে পেয়েছে বলে জানিয়েছেন শিশুটির বাবা। কিন্তু শুনতে পেলেও হয়তো কথা বলতে পারবে না আইসাম। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে। হাসপাতালের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, য্ক্তুরাষ্ট্রে এই প্রথম যুগান্তকারী জিন প্রতিস্থাপন করেছে ফিলাডেলফিয়ার শিশু হাসপাতাল (সিএইচওপি)। এই চিকিৎসা পদ্ধতির প্রশংসা করে বলা হয়েছে, জন্মগত বধিরদের কানে শোনার আশা জাগিয়েছে। সিএইচওপি হাসপাতালের অটোল্যারিঙ্গোলজি বিভাগের ক্লিনিক্যাল গবেষণার পরিচালক সার্জন জন জার্মিলার বলেন, শ্রবণশক্তি হ্রাসের জন্য জিন থেরাপি এমন একটি বিষয় যা নিয়ে চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছেন। শিশুকালে শ্রবণশক্তি হারানো শিশুদের পুনরায় শোনার আশা ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, এই কাজ বা গবেষণা ভবিষ্যতে ১৫০ টিরও বেশি জিন নিয়ে কাজ করবে। যে জিনগুলো মূলত শ্রবণশক্তি হ্রাস করে। যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ নিয়ন্ত্রক ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের গবেষণা উদ্ধৃত করে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, নতুন করে শুনতে পাওয়া আইসাম হয়ত কখনও কথা বলতে পারবে না। কারণ কথা বলা শেখার মস্তিষ্কের স্তরটি প্রায় পাঁচ বছর বয়সেই বন্ধ হয়ে যায়। জানা গেছে, প্রথমবার শুনতে পাওয়া আইসাম ড্যাম এক বিরল কারণে বধির হয়ে জন্মগ্রহণ করেছিল। মরক্কোতে জন্মগ্রহণ করে পরে স্পেনে চলে যায় সে।