আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তিন দেশেই যুদ্ধ পরিস্থিতি নেই। জনজীবনও স্বাভাবিক। তবুও দেশগুলোতে একদিনে বন্দুকের গুলিতে ঝরল ৫৪ প্রাণ। এই তিন দেশই উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের। দেশগুলোর স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বন্দুক হামলার এই ঘটনাগুলো ঘটে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে এক তরুণের গুলিতে নিহত হয়েছে ১৯ শিশুসহ ২১ জন। ব্রাজিলে মাদকবিরোধী অভিযানে পুলিশের গুলিতে মরেছে ২২ জন। আর মেক্সিকোয় হোটেল-বারে বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছে ১১ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের একটি এলিমেন্টারি স্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে ১৯ শিশুসহ ২১ জন নিহতের ঘটনায় দেশটির সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে নতুন করে সামনে এনেছে। মর্মান্তিক এই হত্যাকা-ে দেশটির পতাকা আগামী শনিবার পর্যন্ত অর্ধনমিত রাখা হবে। এছাড়া প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে পারেন। বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সরব থাকলেও নিজের দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে চরমভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। গত এক দশকে এ ধরনের বহু গুলির ঘটনা ঘটলেও এগুলোর সমাধানে বড় কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি কোনো মার্কিন সরকার। অন্যদিকে ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জেনিরোর একটি বস্তিতে মাদকবিরোধী অভিযান চালাতে যায় দেশটির পুলিশ। মাদকচক্রের হামলার জেরে পুলিশ গুলি চালায় বলে এএফপির খবরে বলা হয়েছে। পুলিশের গুলিতেই ২২ জনের মৃত্যু হয়। এক বিবৃতিতে রিও ডি জেনিরোর সামরিক পুলিশ দাবি করেছে, মঙ্গলবার সকালে ‘অপরাধী নেতাদের’ অবস্থান শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে শহরের উত্তরে ভিলা ক্রুজেইরো বস্তিতে অভিযানের সময় গুলির মুখে পড়ে এসব মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। অভিযানে মৃতদের মধ্যে অন্তত ১১ জন সন্দেহভাজন আসামি। ওই বন্দুকযুদ্ধের পর আশেপাশের অন্তত ১৯টি স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে মেক্সিকোর মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ গুয়ানহুয়াতোর সেলায়া শহরের একটি হোটেল ও দুটি বারে অতর্কিত হামলা চালায় এক দল সশস্ত্র ব্যক্তি। তারা সেখানে পেট্রোল বোমাও ছোড়ে। সোমবার দিবাগত রাতের এই ঘটনায় বন্দুকের গুলিতে অন্তত ১১ মেক্সিকান নিহত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ব্রাজিল মেক্সিকোয় একদিনেই গুলিতে মরল ৫৪ জন
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ