বিদেশের খবর ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া অপরাধী ও যে কোন দেশের অবৈধ অভিবাসীদের নিজেদের কারাগারে রাখার প্রস্তাব দিয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ এল সালভাদর। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িতদের লাতিন আমেরিকার বৃহত্তম সর্বোচ্চ নিরাপত্তাবেষ্টিত কারাগারে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলে। তবে তার এই প্রস্তাবের সঙ্গে আইনি চ্যালেঞ্জ ও নির্দিষ্ট খরচ জড়িত, যা ট্রাম্পের প্রশাসন বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে বৈঠক শেষে এ কথা জানান রুবিও।
বিতাড়িত ও অবৈধ অভিবাসীদের নিজেদের সিইসিওটি কারাগারে বন্দি রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বুকেলে। এই কারাগারের বন্দিরা জানালাবিহীন কক্ষে গাদাগাদি করে থাকে, গদি ছাড়া ধাতব বিছানায় ঘুমায়। দর্শনার্থীদের সঙ্গে তাদেরকে সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয় না এবং ২৪ ঘণ্টা নজরদারিতে রাখা হয়। কঠোর দমননীতির জন্য জনপ্রিয় বুকেলে জানান, এল সালভাদর যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের কারাগার ব্যবস্থার একটি অংশ ব্যবহার করার সুযোগ দিয়ে দিতে চায়। প্রেসিডেন্ট বুকেলে এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, ‘পারিশ্রমিকের বিনিময়ে আমরা শুধু দোষী সাব্যস্ত হওয়া অপরাধীদের আমাদের বড় কারাগারে নিতে ইচ্ছুক।
যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এই পারিশ্রমিক তুলনামূলকভাবে কম হলেও আমাদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ হবে, যা আমাদের পুরো কারাব্যবস্থাকে টেকসই করে তুলবে।’ এল সালভাদরের এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেন ট্রাম্প। যদিও মার্কিন আইনে এমন ব্যবস্থা স্পষ্টতই আইনি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। তিনি বলেন, ‘যদি এটি আইনিভাবে সম্ভব হতো, তাহলে আমি এক মুহূর্তও দেরি করতাম না।’ ট্রাম্প আরও বলেন, ‘এটি আমাদের কারাগার ব্যবস্থার চেয়ে আলাদা কিছু নয়। তবে এটি অনেক সস্তা হবে এবং এটি বড় ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করবে।’ তিনি জানান, ‘এই বন্দি স্থানান্তর নিয়ে তিনি আলোচনা করবেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় কমাবে এবং এল সালভাদরের নিজস্ব বৃহৎ কারাবন্দি ব্যবস্থার জন্য তহবিল গঠনে সহায়ক হবে।’ রুবিও বলেন, বিপজ্জনক অপরাধীদের মধ্যে যারা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বা সেখানকার বৈধ অধিবাসী, তাদেরও এল সালভাদরের কারাগারে রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন বুকেলে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র এ প্রস্তাব গ্রহণ করবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ মার্কিন নাগরিকদের আইনত যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার বা বের করে দেওয়া যায় না। মার্কিন সংবিধান ‘নিষ্ঠুর এবং অস্বাভাবিক শাস্তি’ নিষিদ্ধ করে এবং যথাযথ প্রক্রিয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এল সালভাদরের কারাগারগুলোর অবস্থা ‘কঠোর ও বিপজ্জনক’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে। সূত্র: নিউ ইয়র্ক পোস্ট, এপি, এনডিটিভি