ঢাকা ০৭:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্র-চীন টানাপোড়েনে ভুগবে চিপ শিল্প: টিএসএমসি প্রতিষ্ঠাতা

  • আপডেট সময় : ১১:৩৯:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : প্রযুক্তি খাতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান উত্তেজনা বৈশ্বিক চিপ শিল্পের গতি কমিয়ে দেবে –এমনই বলেছেন বিশ্বের বৃহত্তম চিপ নির্মাতা কোম্পানি টিএসএমসি’র প্রতিষ্ঠাতা মরিস চ্যাং। নিউ ইয়র্কে অলাভজনক সংস্থা ‘এশিয়া সোসাইটি’র এক আয়োজনে বৃহস্পতিবার এ মন্তব্য করেন ৮০’র দশকের শেষে ‘তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি (টিএসএমসি)’ প্রতিষ্ঠা করা চ্যাং। তাইওয়ানকে বিশ্বের শীর্ষ চিপ উৎপাদক হয়ে ওঠার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রেখেছে তার কোম্পানি। গত মাসে হুয়াওয়ে চীনের স্থানীয় চিপ দিয়ে তৈরি স্মার্টফোন উন্মোচনের পর এ মাসের শুরুতে চিপ ও চিপ তৈরির কাঁচামাল রপ্তানিতে চীনের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ৯২ বছর বয়সী চ্যাং বলেন, চিপ শিল্পে চীনকে একঘরে করে ফেললে এর প্রভাব অন্যান্য দেশের ওপরও পড়বে। “আমি মনে করি, এমন নিষেধাজ্ঞার কারণে সকল পক্ষেরই কাজের গতি কমে আসবে। এর প্রাথমিক উদ্দেশ্যে চীনকে ঠেকানো। আমার মনে হয় না এটি তেমন কাজে লাগছে।” –বলেন চ্যাং।
চ্যাং আরও বলেন, এমন একঘরে করে ফেলার বিষয়টি এরইমধ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এর আগে বিভিন্ন উদীয়মান পরাশক্তির বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা পরবর্তীতে যুদ্ধের রূপ নিতেও দেখা গেছে। “সম্ভবত দেশগুলো একে অপরের ওপর নারাজ, আর সেটা নিয়েই ভয় পাচ্ছি আমি।” –বলেন চ্যাং। আর দেশ দুটির মধ্যে চলমান ভূরাজনৈতিক অস্থিরতায় চীনকে উদীয়মান ও যুক্তরাষ্ট্রকে বিদ্যমান পরাশক্তি বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। “আমাদের একমাত্র আশা, এমন উত্তেজনা যেন গুরুতর রূপ না নেয়।” ওই আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশংসা করেন চ্যাং। এর পাশাপাশি, অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে টিএসএমসি’র কারখানা তৈরির বিষয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। চ্যাংয়ের জন্ম ও কৈশোর চীনে কাটলেও তিনি ক্যারিয়ার গড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। তাইওয়ানে চিপ কোম্পানি চালুর আগেই ১৯৬২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পান তিনি। বর্তমানে তাকে দেখা হয় চিপ শিল্পের এমন এক কিংবদন্তি হিসেবে, যিনি দুই দেশের চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে আটকা পড়েছেন। “আমি সত্যিই যুক্তরাষ্ট্রকে নিজের দেশ মনে করি। আর আমরা এমন সমস্যার মুখে পড়লেও, গোটা বিশ্ব এখনও যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে আশাবাদী।”

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

যুক্তরাষ্ট্র-চীন টানাপোড়েনে ভুগবে চিপ শিল্প: টিএসএমসি প্রতিষ্ঠাতা

আপডেট সময় : ১১:৩৯:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩

প্রযুক্তি ডেস্ক : প্রযুক্তি খাতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান উত্তেজনা বৈশ্বিক চিপ শিল্পের গতি কমিয়ে দেবে –এমনই বলেছেন বিশ্বের বৃহত্তম চিপ নির্মাতা কোম্পানি টিএসএমসি’র প্রতিষ্ঠাতা মরিস চ্যাং। নিউ ইয়র্কে অলাভজনক সংস্থা ‘এশিয়া সোসাইটি’র এক আয়োজনে বৃহস্পতিবার এ মন্তব্য করেন ৮০’র দশকের শেষে ‘তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি (টিএসএমসি)’ প্রতিষ্ঠা করা চ্যাং। তাইওয়ানকে বিশ্বের শীর্ষ চিপ উৎপাদক হয়ে ওঠার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রেখেছে তার কোম্পানি। গত মাসে হুয়াওয়ে চীনের স্থানীয় চিপ দিয়ে তৈরি স্মার্টফোন উন্মোচনের পর এ মাসের শুরুতে চিপ ও চিপ তৈরির কাঁচামাল রপ্তানিতে চীনের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ৯২ বছর বয়সী চ্যাং বলেন, চিপ শিল্পে চীনকে একঘরে করে ফেললে এর প্রভাব অন্যান্য দেশের ওপরও পড়বে। “আমি মনে করি, এমন নিষেধাজ্ঞার কারণে সকল পক্ষেরই কাজের গতি কমে আসবে। এর প্রাথমিক উদ্দেশ্যে চীনকে ঠেকানো। আমার মনে হয় না এটি তেমন কাজে লাগছে।” –বলেন চ্যাং।
চ্যাং আরও বলেন, এমন একঘরে করে ফেলার বিষয়টি এরইমধ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এর আগে বিভিন্ন উদীয়মান পরাশক্তির বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা পরবর্তীতে যুদ্ধের রূপ নিতেও দেখা গেছে। “সম্ভবত দেশগুলো একে অপরের ওপর নারাজ, আর সেটা নিয়েই ভয় পাচ্ছি আমি।” –বলেন চ্যাং। আর দেশ দুটির মধ্যে চলমান ভূরাজনৈতিক অস্থিরতায় চীনকে উদীয়মান ও যুক্তরাষ্ট্রকে বিদ্যমান পরাশক্তি বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। “আমাদের একমাত্র আশা, এমন উত্তেজনা যেন গুরুতর রূপ না নেয়।” ওই আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশংসা করেন চ্যাং। এর পাশাপাশি, অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে টিএসএমসি’র কারখানা তৈরির বিষয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। চ্যাংয়ের জন্ম ও কৈশোর চীনে কাটলেও তিনি ক্যারিয়ার গড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। তাইওয়ানে চিপ কোম্পানি চালুর আগেই ১৯৬২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পান তিনি। বর্তমানে তাকে দেখা হয় চিপ শিল্পের এমন এক কিংবদন্তি হিসেবে, যিনি দুই দেশের চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে আটকা পড়েছেন। “আমি সত্যিই যুক্তরাষ্ট্রকে নিজের দেশ মনে করি। আর আমরা এমন সমস্যার মুখে পড়লেও, গোটা বিশ্ব এখনও যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে আশাবাদী।”