ঢাকা ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে আমরাও সমৃদ্ধ দেশ হবো: প্রেস সচিব

  • আপডেট সময় : ০৯:২৮:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

শফিকুল আলম -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাজার অনেক বড়, আমরা এখানে আমাদের বাজার সম্প্রসারিত করতে চাই। এমন কোনো দেশ নাই যারা সমৃদ্ধ এবং ধনী রাষ্ট্র হয়েছে রফতানির প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে। আর রফতানির মূল গন্তব্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র। আমরা চেষ্টা করবো শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনতে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ হওয়ার একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি হলো। সামনে এই রফতানিকেন্দ্রিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে আমরাও সমৃদ্ধ দেশ হবো।’

শনিবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে মার্কিন শুল্ক ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান ও চ্যালেঞ্জ বিষয়ক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক যখন এলো, তারপর কিন্তু বেশ কয়েকটা বৈঠক হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে অনেকে বলতে চেয়েছেন -এটা একটা দুর্বল সরকার, এটা রাজনৈতিক সরকার না, তাদের সেই ক্ষমতা আছে কিনা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করে ভালো একটা ফলাফল নিয়ে আসতে। অনেকে এটা নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চেয়েছেন। তিনি বলেন, অনেক বুদ্ধিমান লোক, অনেকে জানেন যখন বাণিজ্য আলাপ হয়, তখন এক ধরনের সমঝোতা থাকে যে, যে কথা হচ্ছে এগুলা প্রকাশ্যে আনবেন না। এটা কোথাও হয় না। ইন্দোনেশিয়া যখন আলোচনা করছে তখন তো কিছুই প্রকাশ করেনি। কিন্তু এখানে আমরা দেখেছি যে, আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং খুবই ভালো প্রস্তুতি, প্রথমে আমরা দেখেছি প্রফেসর ইউনূস খুব ভালো করে মার্কিন সমাজকে চেনেন। তার যুক্তরাষ্ট্রে অনেক ভালো বন্ধু আছে। দ্বিতীয়ত ড. খলিলুর রহমান অনেক বছর ছিলেন সেখানে, বাণিজ্য অনেক ভালো বুঝতেন এবং তৃতীয় সুবিধা হচ্ছে বাণিজ্য উপদেষ্টা যে নেতৃত্ব দিয়েছেন উনি সবচেয়ে বড় পাট রফতানিকারক। তিনি বৈশ্বিক বাজার সম্পর্কে জানেন, ভালো করে মার্কিন বাজার সম্পর্কে জানেন।

প্রেস সচিব বলেন, ‘অনেকে বলতে চাচ্ছেন যে আমাদের সরকারের কোনো অভিজ্ঞতা নাই, রাজনৈতিক সুবিধা নাই, এটা দুর্বল সরকার। এই সরকার কিন্তু প্রথম দিন থেকে আত্মবিশ্বাসী ছিল যে আমরা একটা ভালো চুক্তি করতে পারবো। আমি দেখেছি, প্রথম থেকেই তারা প্রস্তুত ছিলেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এমন একটা জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছি, যেটা সবার জন্য লাভজনক। তারা যে ইস্যুগুলো নিয়ে এসেছে সেগুলো আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। একই সময়ে আমরা আমাদের সুযোগ ধরে রাখতে পেরেছি। আমরা মনে করি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরো নিবিড় হবে, আরো ভালো হবে।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাশিয়ায় ড্রোন হামলা চালিয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করল ইউক্রেন

যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে আমরাও সমৃদ্ধ দেশ হবো: প্রেস সচিব

আপডেট সময় : ০৯:২৮:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাজার অনেক বড়, আমরা এখানে আমাদের বাজার সম্প্রসারিত করতে চাই। এমন কোনো দেশ নাই যারা সমৃদ্ধ এবং ধনী রাষ্ট্র হয়েছে রফতানির প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে। আর রফতানির মূল গন্তব্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র। আমরা চেষ্টা করবো শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনতে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ হওয়ার একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি হলো। সামনে এই রফতানিকেন্দ্রিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে আমরাও সমৃদ্ধ দেশ হবো।’

শনিবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে মার্কিন শুল্ক ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান ও চ্যালেঞ্জ বিষয়ক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক যখন এলো, তারপর কিন্তু বেশ কয়েকটা বৈঠক হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে অনেকে বলতে চেয়েছেন -এটা একটা দুর্বল সরকার, এটা রাজনৈতিক সরকার না, তাদের সেই ক্ষমতা আছে কিনা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করে ভালো একটা ফলাফল নিয়ে আসতে। অনেকে এটা নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চেয়েছেন। তিনি বলেন, অনেক বুদ্ধিমান লোক, অনেকে জানেন যখন বাণিজ্য আলাপ হয়, তখন এক ধরনের সমঝোতা থাকে যে, যে কথা হচ্ছে এগুলা প্রকাশ্যে আনবেন না। এটা কোথাও হয় না। ইন্দোনেশিয়া যখন আলোচনা করছে তখন তো কিছুই প্রকাশ করেনি। কিন্তু এখানে আমরা দেখেছি যে, আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং খুবই ভালো প্রস্তুতি, প্রথমে আমরা দেখেছি প্রফেসর ইউনূস খুব ভালো করে মার্কিন সমাজকে চেনেন। তার যুক্তরাষ্ট্রে অনেক ভালো বন্ধু আছে। দ্বিতীয়ত ড. খলিলুর রহমান অনেক বছর ছিলেন সেখানে, বাণিজ্য অনেক ভালো বুঝতেন এবং তৃতীয় সুবিধা হচ্ছে বাণিজ্য উপদেষ্টা যে নেতৃত্ব দিয়েছেন উনি সবচেয়ে বড় পাট রফতানিকারক। তিনি বৈশ্বিক বাজার সম্পর্কে জানেন, ভালো করে মার্কিন বাজার সম্পর্কে জানেন।

প্রেস সচিব বলেন, ‘অনেকে বলতে চাচ্ছেন যে আমাদের সরকারের কোনো অভিজ্ঞতা নাই, রাজনৈতিক সুবিধা নাই, এটা দুর্বল সরকার। এই সরকার কিন্তু প্রথম দিন থেকে আত্মবিশ্বাসী ছিল যে আমরা একটা ভালো চুক্তি করতে পারবো। আমি দেখেছি, প্রথম থেকেই তারা প্রস্তুত ছিলেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এমন একটা জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছি, যেটা সবার জন্য লাভজনক। তারা যে ইস্যুগুলো নিয়ে এসেছে সেগুলো আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। একই সময়ে আমরা আমাদের সুযোগ ধরে রাখতে পেরেছি। আমরা মনে করি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরো নিবিড় হবে, আরো ভালো হবে।’