ঢাকা ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় ঢেউয়ে ছোটরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি

  • আপডেট সময় : ১২:৫৭:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অগাস্ট ২০২১
  • ৪৩ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হতে পারে ছোটরা। এমন সতর্কবাণী ছিলই। আগস্ট মাসেই তার প্রতিফলন নজরে পড়তে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রে। গত এক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৭২ হাজার শিশু ও কিশোর-কিশোরী সংক্রমিত হয়েছে করোনায়। মহামারিকালে ছোটদের মধ্যে এত বেশি সংখ্যক সংক্রমণ চোখে পড়েনি।
জুন মাসের তুলনায় সংক্রমণের সংখ্যা পাঁচ গুণ বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ এর ডিরেক্টর ফ্রান্সিস কলিনস বলেছেন, ‘একটা বিষয় স্পষ্ট। এখন করোনার যে ধরনটি ছড়াচ্ছে সেটি বাচ্চাদের গুরুতরভাবে কাবু করতে সক্ষম।’
কলিনস বলেছেন, লুইজিয়ানার হাসপাতালের শিশু বিভাগ থেকে খবর মিলেছে, কয়েক মাসের শিশুও সংক্রমিত হয়েছে। কলিনসের কথায়, ‘অনেককেই বলতে শোনা যাচ্ছে, তোমার বয়স কম, চিন্তা নেই। কিন্তু তেমনটা নয়। চিন্তা থাকছেই।’
এক্ষেত্রে কী করণীয়? বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, বাবা-মায়েদের উচিত টিকাকরণ নিয়ে আর একটু গুরুত্ব দিয়ে ভাবা। কোনো শিশুর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তির (মা-বাবা বা অন্য কেউ) যদি টিকাকরণ না হয়ে থাকে তাহলে দ্রুত টিকা নিয়ে নেওয়া উচিত।
দ্বিতীয়ত, মহামারি সম্পর্কে ছোটদের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলা। যাতে তারা করোনাবিধি যতটা সম্ভব মেনে চলে। বাচ্চার যদি টিকা নেওয়ার সুযোগ থাকে (যুক্তরাষ্ট্রে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে টিকাকরণ চলছে), সেক্ষেত্রে তাকে টিকা দেওয়া ও টিকার উপযোগিতা সম্পর্কে বোঝানো। বাচ্চার সংস্পর্শে আসা সকলে যাতে মাস্ক পরেন ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করেন তাও নিশ্চিত করতে হবে বাবা-মাকে।
স্ট্যানফোর্ড মেডিসিনের শিশু বিভাগের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ইভোন মালডোনাডো বলেন, ‘আপনার বাচ্চা যে গাড়িতে বসে, তার চালক যদি সিট-বেল্ট না পরেন, কিংবা তাঁর যদি গাড়ি চালানোর লাইসেন্স না থাকে, আপনি কি বাচ্চাকে ওই গাড়িতে যেতে অনুমতি দেবেন! নিশ্চয়ই নয়। বিষয়টা তেমনই।’
ওহাইওর একটি হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডেন স্নাইডারের কথায়, ‘করোনাবিধির প্রতিটি খুঁটিনাটি ছোটদের পক্ষে মেনে চলা হয়তো কঠিন। এই অবস্থায় পরিচ্ছন্নতার উপরে জোর দেওয়া জরুরি। হাত পরিষ্কার থাকলে, সে অনেকটাই বিপদমুক্ত। তাই বারবার হাত ধোয়া উচিত।’
এছাড়া ছোটদেরও মাস্ক পরা, দূরত্ব-বিধি বজায় রাখার মতো কোভিড বিধি মেনে চলা প্রয়োজন।
আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব পেডিয়াট্রিকস এর ঘোষণা, বয়স ২ বছরের ঊর্ধ্বে হলেই মাস্ক পরতে হবে। টিকা নেওয়া হয়ে গেলেও মাস্ক আবশ্যক। বিশেষ করে যখন বাচ্চা স্কুলে যাচ্ছে।
ওয়াশিংটনের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সারা কোম্বের কথায়, ‘বাচ্চাকে বোঝান, সুপারম্যানও তো মাস্ক পরে। ওই রকম বা অন্য কোনও প্রিয় কার্টুন চরিত্রের মতো মাস্ক কিনে দিন। মাস্ক জরুরি।’
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস বলেছেন, অন্তত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করোনার টিকার বুস্টার ডোজ প্রয়োগ বন্ধ রাখা হোক। তিনি বলেন, ‘ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে টিকাদানের ব্যবধান বাড়ছে। তা কমিয়ে আনতেই বুস্টার ডোজ বন্ধ রাখা দরকার।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মব বন্ধ না করলে ডেভিল হিসেবে ট্রিট করবো: উপদেষ্টা মাহফুজ

যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় ঢেউয়ে ছোটরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি

আপডেট সময় : ১২:৫৭:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অগাস্ট ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হতে পারে ছোটরা। এমন সতর্কবাণী ছিলই। আগস্ট মাসেই তার প্রতিফলন নজরে পড়তে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রে। গত এক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৭২ হাজার শিশু ও কিশোর-কিশোরী সংক্রমিত হয়েছে করোনায়। মহামারিকালে ছোটদের মধ্যে এত বেশি সংখ্যক সংক্রমণ চোখে পড়েনি।
জুন মাসের তুলনায় সংক্রমণের সংখ্যা পাঁচ গুণ বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ এর ডিরেক্টর ফ্রান্সিস কলিনস বলেছেন, ‘একটা বিষয় স্পষ্ট। এখন করোনার যে ধরনটি ছড়াচ্ছে সেটি বাচ্চাদের গুরুতরভাবে কাবু করতে সক্ষম।’
কলিনস বলেছেন, লুইজিয়ানার হাসপাতালের শিশু বিভাগ থেকে খবর মিলেছে, কয়েক মাসের শিশুও সংক্রমিত হয়েছে। কলিনসের কথায়, ‘অনেককেই বলতে শোনা যাচ্ছে, তোমার বয়স কম, চিন্তা নেই। কিন্তু তেমনটা নয়। চিন্তা থাকছেই।’
এক্ষেত্রে কী করণীয়? বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, বাবা-মায়েদের উচিত টিকাকরণ নিয়ে আর একটু গুরুত্ব দিয়ে ভাবা। কোনো শিশুর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তির (মা-বাবা বা অন্য কেউ) যদি টিকাকরণ না হয়ে থাকে তাহলে দ্রুত টিকা নিয়ে নেওয়া উচিত।
দ্বিতীয়ত, মহামারি সম্পর্কে ছোটদের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলা। যাতে তারা করোনাবিধি যতটা সম্ভব মেনে চলে। বাচ্চার যদি টিকা নেওয়ার সুযোগ থাকে (যুক্তরাষ্ট্রে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে টিকাকরণ চলছে), সেক্ষেত্রে তাকে টিকা দেওয়া ও টিকার উপযোগিতা সম্পর্কে বোঝানো। বাচ্চার সংস্পর্শে আসা সকলে যাতে মাস্ক পরেন ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করেন তাও নিশ্চিত করতে হবে বাবা-মাকে।
স্ট্যানফোর্ড মেডিসিনের শিশু বিভাগের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ইভোন মালডোনাডো বলেন, ‘আপনার বাচ্চা যে গাড়িতে বসে, তার চালক যদি সিট-বেল্ট না পরেন, কিংবা তাঁর যদি গাড়ি চালানোর লাইসেন্স না থাকে, আপনি কি বাচ্চাকে ওই গাড়িতে যেতে অনুমতি দেবেন! নিশ্চয়ই নয়। বিষয়টা তেমনই।’
ওহাইওর একটি হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডেন স্নাইডারের কথায়, ‘করোনাবিধির প্রতিটি খুঁটিনাটি ছোটদের পক্ষে মেনে চলা হয়তো কঠিন। এই অবস্থায় পরিচ্ছন্নতার উপরে জোর দেওয়া জরুরি। হাত পরিষ্কার থাকলে, সে অনেকটাই বিপদমুক্ত। তাই বারবার হাত ধোয়া উচিত।’
এছাড়া ছোটদেরও মাস্ক পরা, দূরত্ব-বিধি বজায় রাখার মতো কোভিড বিধি মেনে চলা প্রয়োজন।
আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব পেডিয়াট্রিকস এর ঘোষণা, বয়স ২ বছরের ঊর্ধ্বে হলেই মাস্ক পরতে হবে। টিকা নেওয়া হয়ে গেলেও মাস্ক আবশ্যক। বিশেষ করে যখন বাচ্চা স্কুলে যাচ্ছে।
ওয়াশিংটনের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সারা কোম্বের কথায়, ‘বাচ্চাকে বোঝান, সুপারম্যানও তো মাস্ক পরে। ওই রকম বা অন্য কোনও প্রিয় কার্টুন চরিত্রের মতো মাস্ক কিনে দিন। মাস্ক জরুরি।’
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস বলেছেন, অন্তত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করোনার টিকার বুস্টার ডোজ প্রয়োগ বন্ধ রাখা হোক। তিনি বলেন, ‘ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে টিকাদানের ব্যবধান বাড়ছে। তা কমিয়ে আনতেই বুস্টার ডোজ বন্ধ রাখা দরকার।’