ঢাকা ১২:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিকাশে অর্থ বিনিয়োগের ঘোষণা

  • আপডেট সময় : ০৪:০৬:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৩৩ বার পড়া হয়েছে

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: এবার যুক্তরাষ্ট্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অবকাঠামোয় ৫০০ বিলিয়ন তথা ৫০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর হোয়াইট হাউসে নিজের দ্বিতীয় কর্মদিবসে স্টারগেট নামে এক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অবকাঠামো প্রকল্পে এ বিনিয়োগের ঘোষণা দেন তিনি।

বাণিজ্যযুদ্ধের পাশাপাশি চীনের সঙ্গে প্রযুক্তি যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে রাখতেই এমন পদক্ষেপ বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। তবে প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। স্টারগেট নামের এই প্রকল্পে যুক্ত হচ্ছে টেক্সাসভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওরাকল, জাপানের সফট ব্যাংক এবং চ্যাটজিপিটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই।

হোয়াইট হাউসের রুজভেল্ট কক্ষে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা করেন, এই যৌথ প্রকল্পে তাৎক্ষণিকভাবে ১০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হবে। তিনি জানান, স্টারগেটের পরিকল্পনায় ডেটা সেন্টারের মতো এআই অবকাঠামো নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। সেখানে এক লাখের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি। প্রকল্পটি প্রযুক্তি বিপ্লবে মার্কিন আধিপত্য সুদৃঢ় করবে বলেও বিশ্বাস তার।

ট্রাম্প উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলেন, ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এআই অবকাঠামো প্রকল্প এবং এর পুরোটাই হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই অবকাঠামো আমরা এই দেশেই করতে চাই। চীন এবং অন্যান্য দেশ এক্ষেত্রে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী। আমরা এটিকে অন্য সবার চেয়ে বেশি সহজলভ্য করে দিচ্ছি।
এমন উদ্যোগ নেওয়ায় ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রকল্পের অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলো। অনেক সমস্যার সমাধান আরও দ্রুত ও সহজে করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তারা। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখবে বলেও মতো তাদের। তবে এই প্রকল্পের সমালোচনা করেছেন টেসলা ও স্পেসএক্সের মালিক ইলন মাস্ক। নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে মাস্ক লেখেন, ‘সফট ব্যাংকের কাছে ১০ বিলিয়ন ডলারেরও কম অর্থ রয়েছে।

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হয়েও মাস্কের এমন সমালোচনা অপ্রত্যাশিত নয় বলে মনে করা হচ্ছে। ওপেন এআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যানের সঙ্গে তার সম্পর্কের শীতলতাকে কারণ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাণিজ্যযুদ্ধের পাশাপাশি চীনের সঙ্গে প্রযুক্তি যুদ্ধও শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চীন যেন এআই অবকাঠামোতে তেমন একটা সুবিধা করতে না পারে, এ জন্য চীনের এআই প্রযুক্তির প্রাণভোমরা চিপ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ট্রাম্পও সেই পথেই হাঁটছেন। একই সঙ্গে নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গ্রহণ করছেন নতুন এই প্রকল্প।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

যুক্তরাষ্ট্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিকাশে অর্থ বিনিয়োগের ঘোষণা

আপডেট সময় : ০৪:০৬:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: এবার যুক্তরাষ্ট্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অবকাঠামোয় ৫০০ বিলিয়ন তথা ৫০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর হোয়াইট হাউসে নিজের দ্বিতীয় কর্মদিবসে স্টারগেট নামে এক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অবকাঠামো প্রকল্পে এ বিনিয়োগের ঘোষণা দেন তিনি।

বাণিজ্যযুদ্ধের পাশাপাশি চীনের সঙ্গে প্রযুক্তি যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে রাখতেই এমন পদক্ষেপ বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। তবে প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। স্টারগেট নামের এই প্রকল্পে যুক্ত হচ্ছে টেক্সাসভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওরাকল, জাপানের সফট ব্যাংক এবং চ্যাটজিপিটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই।

হোয়াইট হাউসের রুজভেল্ট কক্ষে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা করেন, এই যৌথ প্রকল্পে তাৎক্ষণিকভাবে ১০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হবে। তিনি জানান, স্টারগেটের পরিকল্পনায় ডেটা সেন্টারের মতো এআই অবকাঠামো নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। সেখানে এক লাখের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি। প্রকল্পটি প্রযুক্তি বিপ্লবে মার্কিন আধিপত্য সুদৃঢ় করবে বলেও বিশ্বাস তার।

ট্রাম্প উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলেন, ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এআই অবকাঠামো প্রকল্প এবং এর পুরোটাই হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই অবকাঠামো আমরা এই দেশেই করতে চাই। চীন এবং অন্যান্য দেশ এক্ষেত্রে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী। আমরা এটিকে অন্য সবার চেয়ে বেশি সহজলভ্য করে দিচ্ছি।
এমন উদ্যোগ নেওয়ায় ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রকল্পের অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলো। অনেক সমস্যার সমাধান আরও দ্রুত ও সহজে করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তারা। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখবে বলেও মতো তাদের। তবে এই প্রকল্পের সমালোচনা করেছেন টেসলা ও স্পেসএক্সের মালিক ইলন মাস্ক। নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে মাস্ক লেখেন, ‘সফট ব্যাংকের কাছে ১০ বিলিয়ন ডলারেরও কম অর্থ রয়েছে।

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হয়েও মাস্কের এমন সমালোচনা অপ্রত্যাশিত নয় বলে মনে করা হচ্ছে। ওপেন এআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যানের সঙ্গে তার সম্পর্কের শীতলতাকে কারণ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাণিজ্যযুদ্ধের পাশাপাশি চীনের সঙ্গে প্রযুক্তি যুদ্ধও শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চীন যেন এআই অবকাঠামোতে তেমন একটা সুবিধা করতে না পারে, এ জন্য চীনের এআই প্রযুক্তির প্রাণভোমরা চিপ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ট্রাম্পও সেই পথেই হাঁটছেন। একই সঙ্গে নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গ্রহণ করছেন নতুন এই প্রকল্প।