ঢাকা ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রে কার্গো প্লেন বিধ্বস্তে ৪ জন নিহত

  • আপডেট সময় : ১২:০২:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫
  • ২৭ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকির লুইসভিল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি ইউপিএস কার্গো প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে কমপক্ষে ৪ জন নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৪ নেভেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে লুইসভিল মোহাম্মদ আলী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইউপিএস ওয়ার্ল্ডপোর্ট থেকে হনোলুলুর উদ্দেশে উড্ডয়নের সময় বিধ্বস্ত হয়। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানটি সামান্য উঁচুতে ওঠার পরই মাটিতে আছড়ে পড়ে এবং মুহূর্তের মধ্যে বিস্ফোরিত হয়। বিমানের বাম ডানায় আগুন ধরে যায় এবং ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়। ভিডিওতে রানওয়ের শেষে একটি ভবনের ক্ষতিগ্রস্ত ছাদও দেখা যায়।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র জনাথন বিবেন জানান, কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছে। আহত ১১ জনের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বশিয়ার জানান, ১৯৯১ সালে তৈরি ম্যাকডনেল ডগলাস এমডি-১১ মডেলের এই বিমানে থাকা তিনজন ক্রুর অবস্থা এখনো জানা যায়নি।

লুইসভিলেই ইউপিএসের সবচেয়ে বড় পার্সেল হ্যান্ডলিং সুবিধা রয়েছে। সেখানে হাজার হাজার কর্মী কাজ করেন। প্রতিদিন ৩০০ ফ্লাইট পরিচালিত হয় এবং ঘণ্টায় চার লাখের বেশি পার্সেল বাছাই করা হয়।

এক বিবৃতিতে ইউপিএস দুর্ঘটনার কথা স্বীকার করে জানায়, তদন্তের দায়িত্ব নেবে ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি)।

বিমানবন্দরটি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং বুধবার সকাল পর্যন্ত চালু হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সাইটটি নিরাপদ করতে কত সময় লাগবে আমরা জানি না, বলেন লুইসভিল পুলিশ প্রধান পল হামফ্রি।

গভর্নর জানান, কেনটাকি পেট্রোলিয়াম রিসাইক্লিং নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরাসরি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে এবং কাছাকাছি একটি অটো পার্টস ব্যবসাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

রাস্তার ওপারে একটি ধাতু পুনর্ব্যবহার ব্যবসা পরিচালনাকারী টম ব্রুকস জুনিয়র বলেন, দুর্ঘটনার মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে দেখলে মনে হতো যেন যুদ্ধক্ষেত্র।

দুর্ঘটনার পর বিমানবন্দরের উত্তর অংশ থেকে ওহাইও নদী পর্যন্ত জরুরি সতর্কতা ও নিজ অবস্থানে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। বিমানবন্দরটি লুইসভিল শহরের কেন্দ্র থেকে মাত্র ১০ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত। সেখানে অনেক আবাসিক এলাকা, বিনোদন পার্ক ও জাদুঘর রয়েছে।

এসি/আপ্র/০৫/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

যুক্তরাষ্ট্রে কার্গো প্লেন বিধ্বস্তে ৪ জন নিহত

আপডেট সময় : ১২:০২:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকির লুইসভিল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি ইউপিএস কার্গো প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে কমপক্ষে ৪ জন নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৪ নেভেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে লুইসভিল মোহাম্মদ আলী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইউপিএস ওয়ার্ল্ডপোর্ট থেকে হনোলুলুর উদ্দেশে উড্ডয়নের সময় বিধ্বস্ত হয়। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানটি সামান্য উঁচুতে ওঠার পরই মাটিতে আছড়ে পড়ে এবং মুহূর্তের মধ্যে বিস্ফোরিত হয়। বিমানের বাম ডানায় আগুন ধরে যায় এবং ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়। ভিডিওতে রানওয়ের শেষে একটি ভবনের ক্ষতিগ্রস্ত ছাদও দেখা যায়।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র জনাথন বিবেন জানান, কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছে। আহত ১১ জনের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বশিয়ার জানান, ১৯৯১ সালে তৈরি ম্যাকডনেল ডগলাস এমডি-১১ মডেলের এই বিমানে থাকা তিনজন ক্রুর অবস্থা এখনো জানা যায়নি।

লুইসভিলেই ইউপিএসের সবচেয়ে বড় পার্সেল হ্যান্ডলিং সুবিধা রয়েছে। সেখানে হাজার হাজার কর্মী কাজ করেন। প্রতিদিন ৩০০ ফ্লাইট পরিচালিত হয় এবং ঘণ্টায় চার লাখের বেশি পার্সেল বাছাই করা হয়।

এক বিবৃতিতে ইউপিএস দুর্ঘটনার কথা স্বীকার করে জানায়, তদন্তের দায়িত্ব নেবে ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি)।

বিমানবন্দরটি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং বুধবার সকাল পর্যন্ত চালু হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সাইটটি নিরাপদ করতে কত সময় লাগবে আমরা জানি না, বলেন লুইসভিল পুলিশ প্রধান পল হামফ্রি।

গভর্নর জানান, কেনটাকি পেট্রোলিয়াম রিসাইক্লিং নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরাসরি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে এবং কাছাকাছি একটি অটো পার্টস ব্যবসাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

রাস্তার ওপারে একটি ধাতু পুনর্ব্যবহার ব্যবসা পরিচালনাকারী টম ব্রুকস জুনিয়র বলেন, দুর্ঘটনার মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে দেখলে মনে হতো যেন যুদ্ধক্ষেত্র।

দুর্ঘটনার পর বিমানবন্দরের উত্তর অংশ থেকে ওহাইও নদী পর্যন্ত জরুরি সতর্কতা ও নিজ অবস্থানে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। বিমানবন্দরটি লুইসভিল শহরের কেন্দ্র থেকে মাত্র ১০ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত। সেখানে অনেক আবাসিক এলাকা, বিনোদন পার্ক ও জাদুঘর রয়েছে।

এসি/আপ্র/০৫/১১/২০২৫