ঢাকা ১০:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রে কর্মী সংকটে বিলম্বিত ৮ হাজার ফ্লাইট

  • আপডেট সময় : ০৯:২২:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে লোকবল ঘাটতিতে আট হাজারের বেশি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে। আকাশপথে ভ্রমণের এই সংকটের নেপথ্যে রয়েছে চলমান শাটডাউনে বেতনহীন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের অনুপস্থিতি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইট অ্যাওয়্যারের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় গত রোববার (২৬ অক্টোবর) রাত ১১টা পর্যন্ত আট হাজারের বেশি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে। আগেরদিন এই সংখ্যা ছিল পাঁচ হাজার ৩০০ এর মতো। অক্টোবরের ১ তারিখ থেকে শুরু হওয়া শাটডাউনে এই হার বেড়েই চলেছে।

মার্কিন পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি জানান, শনিবার ২২টি স্থানে সরকারি বিমান চলাচল প্রশাসনের (ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এফএএ) জনবলে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সামনের দিনে বিলম্বের সংখ্যা বৃদ্ধি ও ফ্লাইট বাতিলের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও সতর্ক করেন তিনি।

বেতন ছাড়া এখনও প্রায় ১৩ হাজার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার এবং ৫০ হাজার পরিবহন নিরাপত্তা প্রশাসনিক কর্মকর্তা দায়িত্ব চালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে। এই সংকটের মধ্য দিয়ে ২৬ দিন ধরে চলা শাটডাউনে মার্কিনিদের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে যাওয়ার আরেকটি নজির সামনে এলো।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন সতর্ক করেছে যে মঙ্গলবার থেকে যখন নিয়ন্ত্রণকর্মীরা প্রথম পুরো বেতন হারাবেন, তখন ফ্লাইট বিঘ্ন ফেসবুকে বাড়বে। ডাফি জানান, অনেক কর্মী অতিরিক্ত চাকরি খুঁজছেন বা পার্ট-টাইম কাজ শুরু করেছেন।

এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা আগের বেতন পেয়েছিলেন দু সপ্তাহ আগে, যেটি ছিল মূল বেতনের ৯০ শতাংশ। মঙ্গলবার সুনির্দিষ্টভাবে অক্টোবর মাসের বেতন পাওয়ার কথা ছিল। তবে শাটডাউনের কারণে এবার পুরো এক মাসের বেতনটাই যখন বকেয়া হবে, তখন সংকট ফেসবুকে ঘনীভূত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ফলে বাজেট নিয়ে মতবিরোধের জেরে তৈরি হওয়া অচলাবস্থা নিরসনে কংগ্রেসের ওপর চাপ ফেসবুকে বৃদ্ধি পাবে।

বেতন না পাওয়ার ঝুঁকির কারণে আয়ের অন্য উৎস সন্ধানে কর্মীরা ব্যস্ত হয়েছেন বলে জানান পরিবহনমন্ত্রী ডাফি। তিনি বলেন, তারা দ্বিতীয় আরেকটি চাকরির খোঁজ করছেন।

শাটডাউনের আগে থেকেই প্রায় সাড়ে তিন হাজার লোক সংকটে ছিল এফএএ। দীর্ঘদিন ধরেই কর্মীরা ওভারটাইম এবং সপ্তাহে ছয়দিন করে কাজ করে যাচ্ছেন।
ট্রাম্পের আগের মেয়াদেও ৩৫ দিনের শাটডাউনে প্রায় একই সংকট দেখা দিয়েছিল। সেবার বেতন না হওয়ায় কর্মী সংকটে নিউ ইয়র্ক এবং ওয়াশিংটনের ফ্লাইটের সংখ্যা কমিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছিল কর্তৃপক্ষ।

সানা/আপ্র/২৭/১০/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো তুরস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে কর্মী সংকটে বিলম্বিত ৮ হাজার ফ্লাইট

আপডেট সময় : ০৯:২২:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে লোকবল ঘাটতিতে আট হাজারের বেশি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে। আকাশপথে ভ্রমণের এই সংকটের নেপথ্যে রয়েছে চলমান শাটডাউনে বেতনহীন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের অনুপস্থিতি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইট অ্যাওয়্যারের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় গত রোববার (২৬ অক্টোবর) রাত ১১টা পর্যন্ত আট হাজারের বেশি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে। আগেরদিন এই সংখ্যা ছিল পাঁচ হাজার ৩০০ এর মতো। অক্টোবরের ১ তারিখ থেকে শুরু হওয়া শাটডাউনে এই হার বেড়েই চলেছে।

মার্কিন পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি জানান, শনিবার ২২টি স্থানে সরকারি বিমান চলাচল প্রশাসনের (ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এফএএ) জনবলে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সামনের দিনে বিলম্বের সংখ্যা বৃদ্ধি ও ফ্লাইট বাতিলের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও সতর্ক করেন তিনি।

বেতন ছাড়া এখনও প্রায় ১৩ হাজার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার এবং ৫০ হাজার পরিবহন নিরাপত্তা প্রশাসনিক কর্মকর্তা দায়িত্ব চালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে। এই সংকটের মধ্য দিয়ে ২৬ দিন ধরে চলা শাটডাউনে মার্কিনিদের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে যাওয়ার আরেকটি নজির সামনে এলো।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন সতর্ক করেছে যে মঙ্গলবার থেকে যখন নিয়ন্ত্রণকর্মীরা প্রথম পুরো বেতন হারাবেন, তখন ফ্লাইট বিঘ্ন ফেসবুকে বাড়বে। ডাফি জানান, অনেক কর্মী অতিরিক্ত চাকরি খুঁজছেন বা পার্ট-টাইম কাজ শুরু করেছেন।

এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা আগের বেতন পেয়েছিলেন দু সপ্তাহ আগে, যেটি ছিল মূল বেতনের ৯০ শতাংশ। মঙ্গলবার সুনির্দিষ্টভাবে অক্টোবর মাসের বেতন পাওয়ার কথা ছিল। তবে শাটডাউনের কারণে এবার পুরো এক মাসের বেতনটাই যখন বকেয়া হবে, তখন সংকট ফেসবুকে ঘনীভূত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ফলে বাজেট নিয়ে মতবিরোধের জেরে তৈরি হওয়া অচলাবস্থা নিরসনে কংগ্রেসের ওপর চাপ ফেসবুকে বৃদ্ধি পাবে।

বেতন না পাওয়ার ঝুঁকির কারণে আয়ের অন্য উৎস সন্ধানে কর্মীরা ব্যস্ত হয়েছেন বলে জানান পরিবহনমন্ত্রী ডাফি। তিনি বলেন, তারা দ্বিতীয় আরেকটি চাকরির খোঁজ করছেন।

শাটডাউনের আগে থেকেই প্রায় সাড়ে তিন হাজার লোক সংকটে ছিল এফএএ। দীর্ঘদিন ধরেই কর্মীরা ওভারটাইম এবং সপ্তাহে ছয়দিন করে কাজ করে যাচ্ছেন।
ট্রাম্পের আগের মেয়াদেও ৩৫ দিনের শাটডাউনে প্রায় একই সংকট দেখা দিয়েছিল। সেবার বেতন না হওয়ায় কর্মী সংকটে নিউ ইয়র্ক এবং ওয়াশিংটনের ফ্লাইটের সংখ্যা কমিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছিল কর্তৃপক্ষ।

সানা/আপ্র/২৭/১০/২০২৫