ঢাকা ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে পৌঁছানো সহজ নয়: রাশিয়া

  • আপডেট সময় : ০৭:৪৯:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৪৫ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্ভাব্য শান্তিচুক্তির মূল বিষয়গুলোতে একমত হওয়া সহজ নয় বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, রাশিয়া আর কখনোই অর্থনৈতিকভাবে পশ্চিমা বিশ্বের ওপর নির্ভর করবে না।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। রুশ দৈনিক কোমারসান্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ল্যাভরভ বলেন, সমঝোতার মূল উপাদানগুলো নিয়ে একমত হওয়া সহজ নয়। বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চলছে। তিনি আরও বলেন, আমরা খুব ভালোভাবে জানি, একটি পারস্পরিক লাভজনক চুক্তি কেমন হবে—যেটি আমরা কখনোই প্রত্যাখ্যান করিনি। আবার এমন চুক্তিও আছে, যা আমাদের আবারও ফাঁদে ফেলতে পারে। এর আগে গত জুনে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন স্পষ্ট করে বলেছিলেন, ইউক্রেনকে অবশ্যই ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্খা ত্যাগ করতে হবে এবং রাশিয়ার দাবি করা চারটি অঞ্চলের সম্পূর্ণ এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে।

ল্যাভরভ বলেন, এই ভূমিতে বসবাসকারী মানুষের অধিকারই মূল কথা। এই ভূমি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সেখানকার মানুষদের তাড়িয়ে দিতে দেওয়া যাবে না। বর্তমানে রাশিয়া ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে, যার মধ্যে রয়েছে ২০১৪ সালে দখলকৃত ক্রিমিয়া এবং চারটি আংশিক অধিকৃত অঞ্চল, যেগুলোকে রাশিয়া নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করলেও অধিকাংশ দেশই তা স্বীকৃতি দেয়নি। এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেকে শান্তিকামী নেতা হিসেবে তুলে ধরছেন এবং ইউক্রেন যুদ্ধের ‘রক্তপাত’ বন্ধ করতে চান বলে একাধিকবার জানিয়েছেন।

যদিও এখন পর্যন্ত কোনও চুক্তিতে পৌঁছানো যায়নি। সাক্ষাৎকারে ল্যাভরভ ট্রাম্পের ‘সাধারণ বোধ’–এর প্রশংসা করে বলেন, ন্যাটোতে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তিকে যুদ্ধের অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা ছিল বাস্তবতাসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি। তবে রাশিয়ার রাজনৈতিক নেতৃত্ব পরিষ্কার করে দিয়েছে, তারা আর কখনও পশ্চিমা বিশ্বের ওপর অর্থনীতি, প্রযুক্তি, সামরিক কিংবা কৃষিখাতে নির্ভরশীল হতে চায় না। ল্যাভরভ বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতির বৈশ্বিকীকরণ ধ্বংস হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও ইরানের ওপর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে।

বাইডেন ও পশ্চিমা নেতারা ২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনকে ‘সাম্রাজ্যবাদী ভূমি দখল’ হিসেবে অভিহিত করে রুশ বাহিনীকে পরাজিত করার অঙ্গীকার করেছিলেন। অন্যদিকে, পুতিন এই যুদ্ধকে পশ্চিমের পতনের সঙ্গে যুক্ত করে বলেন, ১৯৮৯ সালে বার্লিন প্রাচীর ভাঙার পর পশ্চিমা দেশগুলো ন্যাটো সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাশিয়াকে অপমান করেছে এবং মস্কোর প্রভাবক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করেছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে পৌঁছানো সহজ নয়: রাশিয়া

আপডেট সময় : ০৭:৪৯:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

বিদেশের খবর ডেস্ক : ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্ভাব্য শান্তিচুক্তির মূল বিষয়গুলোতে একমত হওয়া সহজ নয় বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, রাশিয়া আর কখনোই অর্থনৈতিকভাবে পশ্চিমা বিশ্বের ওপর নির্ভর করবে না।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। রুশ দৈনিক কোমারসান্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ল্যাভরভ বলেন, সমঝোতার মূল উপাদানগুলো নিয়ে একমত হওয়া সহজ নয়। বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চলছে। তিনি আরও বলেন, আমরা খুব ভালোভাবে জানি, একটি পারস্পরিক লাভজনক চুক্তি কেমন হবে—যেটি আমরা কখনোই প্রত্যাখ্যান করিনি। আবার এমন চুক্তিও আছে, যা আমাদের আবারও ফাঁদে ফেলতে পারে। এর আগে গত জুনে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন স্পষ্ট করে বলেছিলেন, ইউক্রেনকে অবশ্যই ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্খা ত্যাগ করতে হবে এবং রাশিয়ার দাবি করা চারটি অঞ্চলের সম্পূর্ণ এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে।

ল্যাভরভ বলেন, এই ভূমিতে বসবাসকারী মানুষের অধিকারই মূল কথা। এই ভূমি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সেখানকার মানুষদের তাড়িয়ে দিতে দেওয়া যাবে না। বর্তমানে রাশিয়া ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে, যার মধ্যে রয়েছে ২০১৪ সালে দখলকৃত ক্রিমিয়া এবং চারটি আংশিক অধিকৃত অঞ্চল, যেগুলোকে রাশিয়া নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করলেও অধিকাংশ দেশই তা স্বীকৃতি দেয়নি। এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেকে শান্তিকামী নেতা হিসেবে তুলে ধরছেন এবং ইউক্রেন যুদ্ধের ‘রক্তপাত’ বন্ধ করতে চান বলে একাধিকবার জানিয়েছেন।

যদিও এখন পর্যন্ত কোনও চুক্তিতে পৌঁছানো যায়নি। সাক্ষাৎকারে ল্যাভরভ ট্রাম্পের ‘সাধারণ বোধ’–এর প্রশংসা করে বলেন, ন্যাটোতে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তিকে যুদ্ধের অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা ছিল বাস্তবতাসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি। তবে রাশিয়ার রাজনৈতিক নেতৃত্ব পরিষ্কার করে দিয়েছে, তারা আর কখনও পশ্চিমা বিশ্বের ওপর অর্থনীতি, প্রযুক্তি, সামরিক কিংবা কৃষিখাতে নির্ভরশীল হতে চায় না। ল্যাভরভ বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতির বৈশ্বিকীকরণ ধ্বংস হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও ইরানের ওপর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে।

বাইডেন ও পশ্চিমা নেতারা ২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনকে ‘সাম্রাজ্যবাদী ভূমি দখল’ হিসেবে অভিহিত করে রুশ বাহিনীকে পরাজিত করার অঙ্গীকার করেছিলেন। অন্যদিকে, পুতিন এই যুদ্ধকে পশ্চিমের পতনের সঙ্গে যুক্ত করে বলেন, ১৯৮৯ সালে বার্লিন প্রাচীর ভাঙার পর পশ্চিমা দেশগুলো ন্যাটো সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাশিয়াকে অপমান করেছে এবং মস্কোর প্রভাবক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করেছে।