ন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগের বিষয়টি বিবেচনা করছে না উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি সন গোয়ান গত বুধবার এ কথা বলেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ-সংক্রান্ত একটি বিবৃতি দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে রি সন গোয়ান বলেন, ‘এমনকি আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগের সম্ভাবনার বিষয়টিও বিবেচনা করছি না।’
মূলত, উত্তর কোরিয়াবিষয়ক মার্কিন দূতের একটি মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে রি সন গোয়ানের কাছ থেকে এ বক্তব্য এল। গত সোমবার উত্তর কোরিয়াবিষয়ক মার্কিন দূত দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে বলেন, আলোচনার বিষয়ে পিয়ংইয়ংয়ের কাছ থেকে শিগগির একটি ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার আশায় আছেন তিনি।
মার্কিন দূতের এই বক্তব্যের পরদিন মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের বোন কিম ইয়ো জং এক বিবৃতিতে বলেন, পিয়ংইয়ংয়ের সংকেতকে যুক্তরাষ্ট্র ভুলভাবে নিচ্ছে বলে তাঁর কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে।
কিম ইয়ো জং উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি এ মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের একটি বক্তব্যের জেরে। গত রোববার এক সাক্ষাৎকারে সুলিভান বলেছিলেন, সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের কাছ থেকে আসা একটি বক্তব্যে তিনি কৌতূহলোদ্দীপক সংকেত দেখতে পেয়েছেন। তাঁরা অপেক্ষা করবেন, দেখবেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কোনো ধরনের সরাসরি যোগাযোগের পরিস্থিতি তৈরি হয় কি না।
সুলিভান আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি ইস্যুতে ঐকমত্যে পৌঁছাতে আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। উত্তর কোরিয়ায় পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ পুরোপুরি সফল করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। গত শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন দেশটির রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপ ও সংঘাত—উভয়ের জন্য তাঁর দেশের প্রস্তুত থাকা দরকার। তবে বিশেষ করে সংঘাতের জন্য উত্তর কোরিয়ার পুরোপুরি প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসার পর এটাই ছিল তাঁর প্রশাসনের উদ্দেশে কিম জং-উনের সরাসরি প্রথম মন্তব্য।
বাইডেনের সঙ্গে কিমের সম্পর্কে একধরনের উত্তেজনা লক্ষণীয়। সবশেষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে কিমকে ‘ঠগ’ বলে অভিহিত করেছিলেন বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেনের শপথ নেওয়ার দিন কয়েক আগে উত্তর কোরিয়া সামরিক কুচকাওয়াজ করে। এই কুচকাওয়াজের মধ্য দিয়ে পিয়ংইয়ং অস্ত্রশক্তির মহড়া প্রদর্শন করে। গত এপ্রিলে উত্তর কোরিয়াকে বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি হিসেবে বর্ণনা করেন বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় উত্তর কোরিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি বিবেচনায় নেই : উত্তর কোরিয়া
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ