ঢাকা ০৮:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার আগে ১০ বিলিয়ন ডলার ফেরত চায় ইরান

  • আপডেট সময় : ১১:৩৩:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ অক্টোবর ২০২১
  • ১৩০ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে গত মাসে ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেশটি জানিয়েছে, এ বিষয়ে যেকোনো ধরনের আলোচনার আগে বিদেশে আটকে থাকা ইরানের ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়ের ব্যবস্থা করতে হবে ওয়াশিংটনকে। গতশনিবার এসব তথ্য জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান।
২০১৫ সালে পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণে ব্যবহার হওয়া ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কমিয়ে আনতে ইরানের সঙ্গে চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ। এর বিনিময়ে তেহরানের ওপর আরোপিত নানা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর নতুন পথে হাঁটেন। তিনি ওই চুক্তি থেকে সরে ইরানের ওপর আবার নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। বর্তমান জো বাইডেন প্রশাসন ২০১৫ সালের ওই চুক্তি আবার বহাল করতে আলোচনায় বসতে চাচ্ছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে আলাপচারিতায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নিউইয়র্কে সদ্য শেষ হওয়া জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে মার্কিনিরা বিভিন্ন মাধ্যমে ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেয়েছে। আমি বলেছি, আলোচনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যদি আন্তরিক হয়, তাহলে তাদের একটি বিষয়ে আগে আন্তরিকতা দেখাতে হবে। ইরানের আটকে থাকা অর্থের মধ্যে অন্তত ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড় করতে হবে।’
পারমাণবিক ইস্যুতে টানাপোড়েনের জেরে ইরানের ব্যাংক ও জ্বালানি খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ফলে বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে দেশটির বিশাল অঙ্কের অর্থ আটকা পড়ে যায়। জ্বালানি তেল ও গ্যাস রপ্তানির বিনিময়ে ওই অর্থ পাওয়ার কথা ছিল ইরানের। হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান বলেন, ‘ইরানের ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড় দেওয়ার কোনো ইচ্ছাই নেই যুক্তরাষ্ট্রের। অর্থ ছাড় দিলে বলা যেত, গত কয়েক দশকের মধ্যে অন্তত একবার হলেও ইরানের স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় এনেছে তারা।’
এদিকে শিগগির অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনাতে পরমাণু বিষয়ে থেমে থাকা আলোচনা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান। তবে সুনির্দিষ্ট করে কোনো দিনক্ষণ ঘোষণা করেননি তিনি।
ইরান বলছে, দেশটির ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্র সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে পরমাণু অস্ত্রের বিষয়ে নিজেদের পদক্ষেপগুলোতে বদল আনতে পারে তারা। আর ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি আবার বহাল করার আগে অনেক বিষয়েরই সমাধান করা প্রয়োজন বলে মনে করছে ইরান ও পশ্চিমা দেশগুলো।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার আগে ১০ বিলিয়ন ডলার ফেরত চায় ইরান

আপডেট সময় : ১১:৩৩:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ অক্টোবর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে গত মাসে ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেশটি জানিয়েছে, এ বিষয়ে যেকোনো ধরনের আলোচনার আগে বিদেশে আটকে থাকা ইরানের ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়ের ব্যবস্থা করতে হবে ওয়াশিংটনকে। গতশনিবার এসব তথ্য জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান।
২০১৫ সালে পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণে ব্যবহার হওয়া ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কমিয়ে আনতে ইরানের সঙ্গে চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ। এর বিনিময়ে তেহরানের ওপর আরোপিত নানা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর নতুন পথে হাঁটেন। তিনি ওই চুক্তি থেকে সরে ইরানের ওপর আবার নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। বর্তমান জো বাইডেন প্রশাসন ২০১৫ সালের ওই চুক্তি আবার বহাল করতে আলোচনায় বসতে চাচ্ছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে আলাপচারিতায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নিউইয়র্কে সদ্য শেষ হওয়া জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে মার্কিনিরা বিভিন্ন মাধ্যমে ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেয়েছে। আমি বলেছি, আলোচনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যদি আন্তরিক হয়, তাহলে তাদের একটি বিষয়ে আগে আন্তরিকতা দেখাতে হবে। ইরানের আটকে থাকা অর্থের মধ্যে অন্তত ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড় করতে হবে।’
পারমাণবিক ইস্যুতে টানাপোড়েনের জেরে ইরানের ব্যাংক ও জ্বালানি খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ফলে বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে দেশটির বিশাল অঙ্কের অর্থ আটকা পড়ে যায়। জ্বালানি তেল ও গ্যাস রপ্তানির বিনিময়ে ওই অর্থ পাওয়ার কথা ছিল ইরানের। হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান বলেন, ‘ইরানের ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড় দেওয়ার কোনো ইচ্ছাই নেই যুক্তরাষ্ট্রের। অর্থ ছাড় দিলে বলা যেত, গত কয়েক দশকের মধ্যে অন্তত একবার হলেও ইরানের স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় এনেছে তারা।’
এদিকে শিগগির অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনাতে পরমাণু বিষয়ে থেমে থাকা আলোচনা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান। তবে সুনির্দিষ্ট করে কোনো দিনক্ষণ ঘোষণা করেননি তিনি।
ইরান বলছে, দেশটির ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্র সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে পরমাণু অস্ত্রের বিষয়ে নিজেদের পদক্ষেপগুলোতে বদল আনতে পারে তারা। আর ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি আবার বহাল করার আগে অনেক বিষয়েরই সমাধান করা প্রয়োজন বলে মনে করছে ইরান ও পশ্চিমা দেশগুলো।