আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের তিন রাজ্যের আকাশ আলোকিত করা প্রায় ৫০০ মাইলের একটি বিদ্যুৎঝলক দীর্ঘতম ঝলকানির নতুন বিশ্বরেকর্ড করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিজ্ঞানীরা।
২০২০ সালে হওয়া ওই ঝলক ছিল ৪৭৭ দশমিক ২ মাইল (৭৬৮ কিলোমিটার) লম্বা; একসঙ্গে দেখা গেছে মিসিসিপি, লুইজিয়ানা ও টেক্সাসের বিস্তৃর্ণ এলাকার আকাশে।
দীর্ঘতম ঝলকানির আগের রেকর্ডটি ছিল ব্রাজিলের দখলে; ২০১৮ সালে দেশটিতে ৪৪০ দশমিক ৬ মাইল দীর্ঘ (৭০৯ কিলোমিটার) বিদ্যুৎঝলক রেকর্ড হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বিদ্যুৎঝলক সাধারণত ১০ মাইলের বেশি দীর্ঘ হয় না, স্থায়ীত্ব থাকে সেকেন্ডেরও কম।
তবে ২০২০ সালে উরুগুয়ে ও আর্জেন্টিনায় একটি ঝলকানি রেকর্ড হয়েছিল, যার স্থায়ীত্ব ছিল ১৭ দশমিক ১ সেকেন্ড। আগের রেকর্ড ছিল ১৬ দশমিক ৭ সেকেন্ডের।
“বিদ্যুৎঝলকের ঘটনার অস্বাভাবিক রেকর্ড এগুলো,” বলেছেন বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) আবহাওয়া ও চরম ভাবাপন্ন জলবায়ু বিষয়ক র্যাপোর্টার অধ্যাপক র্যান্ডেল সার্ভেনি।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, দীর্ঘতম বিদ্যুৎঝলক ও বেশি স্থায়ীত্বের দুটি রেকর্ডই এমন এলাকাগুলোতে হয়েছে, যেগুলো তীব্র ঝড়প্রবণ যা ‘বিশাল বিশাল বজ্রঝড়’ তৈরি করে।
মহাকাশভিত্তিক বজ্রপাত শনাক্তকরণ প্রযুক্তির কল্যাণে সামনে এ ধরনের ঘটনা আরও রেকর্ড হবে বলেও অনুমান অধ্যাপক সার্ভেনির।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বজ্রপাতের বিপদ নিয়ে নিয়মিতই সতর্ক করে আসছে; ঝড়ের সময় সাবধানতা অবলম্বনের কথাও বলে আসছে তারা।
“এই ধরনের বৃহৎ ও বেশি স্থায়ীত্বের বিদ্যুৎঝলক বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়, এগুলো বজ্রঝড়ের সময়ই ঘটে থাকে।
“এজন্য যখনই আপনি বজ্রপাতের শব্দ শুনবেন, তখনই সময় বজ্রপাত থেকে বাঁচা যায় এমন নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার,” বিবৃতিতে এমনটাই বলেছেন ডব্লিউএমও-র বজ্রপাত বিশেষজ্ঞ রন হোলে।
যুক্তরাষ্ট্রের তিন রাজ্যের আকাশজুড়ে রেকর্ড ৫০০ মাইল দীর্ঘ বিদ্যুৎঝলক
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ