প্রত্যাশা ডেস্ক : ঠিক কোন উৎস থেকে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস তার উৎস এখনও জানে না বিশ্ববাসী। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, চীনের উহানের গবেষণাগার থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে। করোনার উৎস চীনে এক দফা তদন্তও করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। কিন্তু সেই তদন্তে করোনার উৎস ধরা পড়েনি। পরে যুক্তরাষ্ট্র করোনার উৎস জানতে তদন্ত শুরু করে। সেই তদন্তেও স্পষ্টভাবে করোনার উৎস ধরা পড়েনি। তদন্ত প্রতিবেদনটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দপ্তরে জমা দেয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক সংস্থা যুক্ত ছিল তদন্তে। তাদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। গবেষণাগার থেকে কোনোভাবে ভাইরাসটি ছড়াতে পারে, আবার সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক সংক্রমণও ঘটতে পারে। তবে এটি কোনোভাবেই জৈব অস্ত্র (বায়োলোজিক্যাল ওয়েপন) নয়, তা স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে। দেশটির গোয়েন্দা বিভাগের ডিরেক্টর রিপোর্টে জানিয়েছেন, করোনার জন্য দায়ী ভাইরাসটি সম্ভবত ২০১৯ সালের নভেম্বরেই মানুষের দেহে আসে এবং অল্পমাত্রায় সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে। এক সঙ্গে অনেকের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে ওই বছর ডিসেম্বরে, চীনের উহানে। তদন্তকারীরা এও জানিয়েছেন, এর আগে ভাইরাসটি সম্পর্কে কিছু জানতেনও না চীনা কর্তারা। ভাইরাসের উৎস সম্পর্কে একমত হতে পারেননি তদন্তকারীদের কেউই। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভাইরাসটি জৈব অস্ত্র হিসেবে তৈরি করা হয়নি, সেটা নিয়ে সবাই এক প্রকার নিশ্চিত। সম্ভবত জিনগত কারসাজি (জেনেটিকালি ইঞ্জিনিয়ারড) করেও তৈরি নয়। তবে এ নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা রয়েছে তদন্তকারীদের মনে। দুটি তদন্তকারী সংস্থার মতে, এই সংক্রান্ত যথেষ্ট তথ্য প্রমাণই নেই। তাই জানা যায়নি। কোন কোন তদন্তকারী সংস্থা যুক্ত ছিল তদন্তে তা জানানো হয়নি রিপোর্টে। তারা মোটামুটি দুটি ধারণায় এসে থেমেছে। এক হতে পারে, প্রাকৃতিকভাবেই কোনো প্রাণীর শরীরে সংক্রমণ। তার থেকে মানবদেহে ছড়িয়েছিল ভাইরাস। দ্বিতীয় সম্ভাবনা, গবেষণাগার থেকে সার্স-কোভ-২ সংক্রমণ ঘটেছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘যে করোনাভাইরাসের জন্য এত মানুষের মৃত্যু তার উৎস খুজে বার করতেই হবে। তার জন্য যা করার যুক্তরাষ্ট্র করবে।’