প্রযুক্তি ডেস্ক ঃ যুক্তরাজ্যের প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজন জেনারেটিভ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন এবং ৪০ প্রায় লাখ ব্যক্তি পেশাগত কাজে এর ব্যবহার করেছেন বলে জানা গেছে এক জরিপ থেকে। গত নভেম্বরে চ্যাটজিপিটি উন্মুক্ত হওয়ার পরপরই মনোযোগের কেন্দ্রে চলে আসে জেনারেটিভ এআই। প্রযুক্তিটি মানুষের দেওয়া প্রম্পট বা নির্দেশনা অনুসারে লিখে বা ছবি ব্যবহার করে মানুষের মতোই জবাব দিতে পারে। অ্যামাজনের অ্যালেক্সার মতো কণ্ঠনিয়ন্ত্রিত স্পিকার যতো দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছিল, নতুন জেনারেটিভ এআইগুলোর গ্রাহক টানার হার তার চেয়েও বেশি বলে উঠে এসেছে হিসাবরক্ষণ কোম্পানি ডেলোইটের করা জরিপে। ১৬ থেকে ৭৫ বছর বয়স্ক জনসংখ্যার ২৬ শতাংশ জেনারেটিভ এআই ব্যবহার করেছেন, সংখ্যায় যা প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ এবং এদের ১০ শতাংশ প্রতিদিন অন্তত একবার ব্যবহার করেন – বলেছে ডেলোইট।
“ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট স্পিকারগুলোর গ্রাহক সংখ্যা এই পর্যায়ে আনতে পাঁচ বছর লেগেছে। নতুন কোনো প্রযুক্তির এত দ্রুত, এত বেশি গ্রাহক এবং এত ঘন ঘন ব্যবহার খুবই বিরল।” –বলেছেন ডেলোইটের অন্যতম অংশীদার পল লি। যুক্তরাজ্যের চার হাজার একশো ৫০ জন নাগরিকের ওপর জরিপ চালিয়ে ডেলোইট দেখতে পায় তাদের অর্ধেকেরও বেশি জেনারেটিভ এআই সম্পর্কে শুনেছেন এবং প্রতি দশজনে একজন তাদের কাজের প্রয়োজনে প্রযুক্তিটি ব্যবহার করেছেন, মোট জনসংখ্যার হিসাবে যা ৪০ লাখের কাছাকাছি। ব্যবহারকারীদের দেওয়া প্রম্পটের জবাবে মানুষের মতো করে বিভিন্ন ধরন ও রীতির প্রবন্ধ, রচনা, কৌতুক, কবিতা এমনকি চাকরির আবেদন লিখে চ্যাটজিপিটি খুবই অল্প সময়ের মধ্যেই চাঞ্চল্যের জন্ম দেয়। তার পরপরই আসে মাইক্রোসফটের বিং চ্যাটবট, যা চ্যাটজিপিটির সিস্টেমের ওপরই নির্মিত। তারপর আসে গুগলের বার্ড এবং এই সপ্তাহে এসেছে মার্কিন কোম্পানি অ্যানথ্রপিক নির্মিত ক্লড ২। তালিকায় এমনকি আছে ছবি বানানো জেনারেটিভ এআই। পোপ ফ্রান্সিসের গায়ে পাফার জ্যাকেট – এমন একটি ঠিক বাস্তবের মতো ছবি তৈরি করে মার্কিন স্টার্টআপ মিডজার্নি। তবে বিশ্বাসযোগ্য লেখা, ছবি এমনকি কণ্ঠস্বর ব্যাপক সংখ্যায় তৈরি করতে পারার কারণে বড় মাত্রায় জালিয়াতি ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়ার উদ্বেগও তৈরি হয়েছে একে ঘিরে – প্রতিবেদনে বলেছে গার্ডিয়ান। প্রযুক্তিটি প্রতিবার নির্ভুল উত্তর দেয় এমন বিশ্বাস জেনারেটিভ এআই ব্যবহারকারীদের প্রতি ১০ জনে চারজনের রয়েছে বলে উঠে এসেছে জরিপে। এখন পর্যন্ত জেনারেটিভ এআইয়ের সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হলো এটি আহরহই বড় ধরনের ভুল করে।
“তবে জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ইউজার ইন্টারফেইস, নির্ভুলতার মাত্রা, নিয়ন্ত্রণ ও আইনি বিষয়ে এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং এর বিকাশ কেবল শুরু হয়েছে” বলে মত পল লি’র।
যুক্তরাজ্যে এক চতুর্থাংশ প্রাপ্তবয়স্ক জেনারেটিভ এআই ব্যবহারকারী
জনপ্রিয় সংবাদ