ঢাকা ০৩:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

যুক্তরাজ্যে আফগানদের পুনর্বাসনে দাঙ্গার আশঙ্কা

  • আপডেট সময় : ০৬:৫২:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক: আফগান পুনর্বাসন প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য জনসমক্ষে আসায় সামাজিক অস্থিরতার আশঙ্কায় উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে ব্রিটেন সরকার। ওই প্রকল্প জনসমক্ষে এলে শেতাঙ্গ কমিউনিটিতে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে গত গ্রীষ্মে তিন শিশুকে হত্যার ঘটনা কেন্দ্র করে সৃষ্ট অভিবাসন বিরোধী সহিংস বিক্ষোভের সম্ভাব্য পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে মন্ত্রীরা জরুরি পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

আশঙ্কার মূলে রয়েছে পূর্ববর্তী কনজারভেটিভ সরকারের অধীন ব্যাপক তথ্য ফাঁসের ঘটনা। ফলে আফগান রি-লোকেশনস অ্যান্ড অ্যাসিসটেন্স পলিসির (এআরএপি) অধীন যুক্তরাজ্য বাহিনীকে সহায়তা করা হাজারো আফগানের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যায়। এ প্রকল্পটি আফগানিস্তানে ২০ বছরের সংঘাতের সময় ব্রিটিশ সামরিক অভিযানকে সমর্থনকারী ব্যক্তিদের যুক্তরাজ্যে আশ্রয় দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। প্রায় ৮০ হাজার থেকে এক লাখ ব্যক্তি তাদের পরিবারের সদস্যসহ এই তথ্য ফাঁসের শিকার হয়েছেন।

২০২৪ সালের জুনে বিচারকরা সতর্ক করেছিলেন যে, এই সংবেদনশীল তথ্য তালেবানের হাতে পড়লে হয়রানি, নির্যাতন বা মৃত্যুর মতো গুরুতর ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। চলতি বছরের ১৫ জুলাই পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষ ওই প্রকল্পের মাধ্যমে হয় যুক্তরাজ্যে স্থানান্তরিত হয়েছেন অথবা আফগানিস্তান রেসপন্স রুটের (এআরআর) মাধ্যমে ট্রানজিটে রয়েছেন। এ প্রকল্পটি বিশেষত ডেটা ফাঁসের প্রতিক্রিয়ায় ২০২৪ সালের এপ্রিলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এআরএপি স্কিমে ১ জুলাই থেকে নতুন আবেদন গ্রহণ বন্ধ রয়েছে। তবে এর আগে প্রাপ্ত আবেদনগুলো এখনও প্রক্রিয়া করা হবে।

আফগান সিটিজেনস রি-সেটেলমেন্ট স্কিমের (এসিআরসি) মেয়াদও শেষ হয়েছে, যা ২০২১ সাল থেকে ১২ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষকে পুনর্বাসন দিয়েছে। তবে এর মূল লক্ষ্য ছিল ২০ হাজার জন। তাদের যুক্তরাজ্যে নিয়ে আসার জন্য ইতোমধ্যেই প্রায় ৪০ কোটি পাউন্ড খরচ হয়েছে এবং প্রকল্পটি শেষ হতে প্রায় ৮৫ কোটি পাউন্ড খরচ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকভাবে ডেটা ফাঁসের শিকার ছয় হাজার ৯০০ ব্যক্তির জন্য ৮০ কোটি পাউন্ডের আভাস দিয়েছিল।

আদালতের নথি থেকে জানা গেছে, সব আফগান পুনর্বাসনের মোট ব্যয় ৭০০ কোটি পাউন্ডে পৌঁছাতে পারে। এর বেশিরভাগই সংসদীয় নজরদারি এড়িয়ে গেছে। উপরন্তু সুপার-ইনজাংশন এবং ডেটা ফাঁসের সঙ্গে সম্পর্কিত আইনি ফি এবং ক্ষতিপূরণে আরও কয়েক কোটি পাউন্ড খরচ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ডেটা ফাঁসের ঘটনায় কাউকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হয়নি বা বরখাস্ত করা হয়নি।

জাস্টিস চেম্বারলেইনের রায়ের মাধ্যমে একটি নজিরবিহীন সুপার-ইনজাংশন। যা আগে সংবাদ মাধ্যমগুলিকে এই বিষয়ে রিপোর্ট করা থেকে বিরত রেখেছিল, তা অবশেষে তুলে নেওয়া হয়েছে। এর আগে সতর্ক করা হয়েছিল, এই গোপনীয়তা কার্যকরভাবে ব্রিটিশ গণতন্ত্রকে ‘ঠাণ্ডা ঘর’-এ রেখে দিয়েছে।

৪ জুলাই প্রচারিত এবং দ্য টেলিগ্রাফের যাচাইকৃত একটি হোয়াইটহল ব্রিফিং নোটে, সরকারি বিভাগগুলিকে সম্ভাব্য সহিংস জন-বিক্ষোভের বিষয়ে স্পষ্টভাবে সতর্ক করা হয়েছিল, যেখানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে জনসাধারণের বিশৃঙ্খলার যে কোনও ঝুঁকি প্রশমিত করতে এবং সরকারের অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছিল।

সামাজিক অসন্তোষের কারণগুলির মধ্যে অর্থনৈতিক নৈরাশ্য এবং জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটও রয়েছে; যেখানে ধীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান শিল্প শক্তি খরচ এবং সাধারণ আর্থিক চাপ নিয়ে হতাশা বিরাজ করছে। যদিও কোনো একক গোষ্ঠী ব্যাপক দাঙ্গা সংঘটিত করে না, তবুও গত গ্রীষ্মের অভিবাসন বিরোধী বিক্ষোভ উগ্র ডানপন্থি সংগঠনগুলির প্রভাবকে তুলে ধরে। এই গোষ্ঠীগুলি হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম এবং ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করে সমাবেশ আয়োজন করে এবং তথ্য ছড়িয়ে দেয়, প্রায়ই বিদ্যমান অভিযোগ ও ভুল তথ্যের সুযোগ নেয়।

ম্যানচেস্টার, লিডস এবং নিউক্যাসেলের আশেপাশে এবং বোস্টনের মতো শহরগুলিতে সামাজিক সংহতির নিম্ন স্তরের অঞ্চলগুলিকে বিশৃঙ্খলার জন্য সম্ভাব্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই অঞ্চলগুলিতে দীর্ঘমেয়াদী বাসিন্দা এবং নতুন আগত সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রায়শই তীব্র উত্তেজনা দেখা যায়। উল্লেখযোগ্য বিদ্যমান অভিবাসন বিরোধী মনোভাব এবং সম্পর্কিত বিক্ষোভের ইতিহাস সহ শহরগুলোও উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।

যে কোনাে ব্যাপক অস্থিরতার প্রাথমিক শিকার হবে সম্প্রদায়গুলো নিজেই, বিশেষ করে যাদেরকে বহিরাগত বা আগন্তুক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে নতুন আগত আফগান শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রার্থীরা- যারা লক্ষ্যবস্তু হয়রানি ও সহিংসতার সরাসরি ঝুঁকির সম্মুখীন। দৃশ্যমান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলিও ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ পূর্ববর্তী দাঙ্গায় মসজিদ এবং আশ্রয়প্রার্থীদের আশ্রয় দেওয়া হোটেলগুলোয় আক্রমণ দেখা গেছে।

ব্রিটেনে বসবাসরত বিভিন্ন জাতিগত এবং ধর্মীয় সম্প্রদায় বর্ধিত উদ্বেগের সম্মুখীন হচ্ছে। ব্রিটিশ বাংলাদেশি, ব্রিটিশ পাকিস্তানি, ব্রিটিশ দক্ষিণ এশীয় এবং ব্রিটিশ মুসলিম সম্প্রদায়গুলি প্রায়শই অভিবাসন বিরোধী অনুভূতির অগ্রভাগে নিজেদের খুঁজে পায়। বর্ণগত উত্তেজনা এবং এই সম্প্রদায়গুলোর ওপর পূর্ববর্তী হামলার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট (উদাহরণস্বরূপ- টাওয়ার হ্যামলেটসে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে) তাদের আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে উদ্বেগও প্রচলিত। তা প্রায়ই ওই গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্য করে ছড়ানো হয়ে থাকে।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

যুক্তরাজ্যে আফগানদের পুনর্বাসনে দাঙ্গার আশঙ্কা

আপডেট সময় : ০৬:৫২:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

বিদেশের খবর ডেস্ক: আফগান পুনর্বাসন প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য জনসমক্ষে আসায় সামাজিক অস্থিরতার আশঙ্কায় উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে ব্রিটেন সরকার। ওই প্রকল্প জনসমক্ষে এলে শেতাঙ্গ কমিউনিটিতে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে গত গ্রীষ্মে তিন শিশুকে হত্যার ঘটনা কেন্দ্র করে সৃষ্ট অভিবাসন বিরোধী সহিংস বিক্ষোভের সম্ভাব্য পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে মন্ত্রীরা জরুরি পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

আশঙ্কার মূলে রয়েছে পূর্ববর্তী কনজারভেটিভ সরকারের অধীন ব্যাপক তথ্য ফাঁসের ঘটনা। ফলে আফগান রি-লোকেশনস অ্যান্ড অ্যাসিসটেন্স পলিসির (এআরএপি) অধীন যুক্তরাজ্য বাহিনীকে সহায়তা করা হাজারো আফগানের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যায়। এ প্রকল্পটি আফগানিস্তানে ২০ বছরের সংঘাতের সময় ব্রিটিশ সামরিক অভিযানকে সমর্থনকারী ব্যক্তিদের যুক্তরাজ্যে আশ্রয় দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। প্রায় ৮০ হাজার থেকে এক লাখ ব্যক্তি তাদের পরিবারের সদস্যসহ এই তথ্য ফাঁসের শিকার হয়েছেন।

২০২৪ সালের জুনে বিচারকরা সতর্ক করেছিলেন যে, এই সংবেদনশীল তথ্য তালেবানের হাতে পড়লে হয়রানি, নির্যাতন বা মৃত্যুর মতো গুরুতর ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। চলতি বছরের ১৫ জুলাই পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষ ওই প্রকল্পের মাধ্যমে হয় যুক্তরাজ্যে স্থানান্তরিত হয়েছেন অথবা আফগানিস্তান রেসপন্স রুটের (এআরআর) মাধ্যমে ট্রানজিটে রয়েছেন। এ প্রকল্পটি বিশেষত ডেটা ফাঁসের প্রতিক্রিয়ায় ২০২৪ সালের এপ্রিলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এআরএপি স্কিমে ১ জুলাই থেকে নতুন আবেদন গ্রহণ বন্ধ রয়েছে। তবে এর আগে প্রাপ্ত আবেদনগুলো এখনও প্রক্রিয়া করা হবে।

আফগান সিটিজেনস রি-সেটেলমেন্ট স্কিমের (এসিআরসি) মেয়াদও শেষ হয়েছে, যা ২০২১ সাল থেকে ১২ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষকে পুনর্বাসন দিয়েছে। তবে এর মূল লক্ষ্য ছিল ২০ হাজার জন। তাদের যুক্তরাজ্যে নিয়ে আসার জন্য ইতোমধ্যেই প্রায় ৪০ কোটি পাউন্ড খরচ হয়েছে এবং প্রকল্পটি শেষ হতে প্রায় ৮৫ কোটি পাউন্ড খরচ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকভাবে ডেটা ফাঁসের শিকার ছয় হাজার ৯০০ ব্যক্তির জন্য ৮০ কোটি পাউন্ডের আভাস দিয়েছিল।

আদালতের নথি থেকে জানা গেছে, সব আফগান পুনর্বাসনের মোট ব্যয় ৭০০ কোটি পাউন্ডে পৌঁছাতে পারে। এর বেশিরভাগই সংসদীয় নজরদারি এড়িয়ে গেছে। উপরন্তু সুপার-ইনজাংশন এবং ডেটা ফাঁসের সঙ্গে সম্পর্কিত আইনি ফি এবং ক্ষতিপূরণে আরও কয়েক কোটি পাউন্ড খরচ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ডেটা ফাঁসের ঘটনায় কাউকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হয়নি বা বরখাস্ত করা হয়নি।

জাস্টিস চেম্বারলেইনের রায়ের মাধ্যমে একটি নজিরবিহীন সুপার-ইনজাংশন। যা আগে সংবাদ মাধ্যমগুলিকে এই বিষয়ে রিপোর্ট করা থেকে বিরত রেখেছিল, তা অবশেষে তুলে নেওয়া হয়েছে। এর আগে সতর্ক করা হয়েছিল, এই গোপনীয়তা কার্যকরভাবে ব্রিটিশ গণতন্ত্রকে ‘ঠাণ্ডা ঘর’-এ রেখে দিয়েছে।

৪ জুলাই প্রচারিত এবং দ্য টেলিগ্রাফের যাচাইকৃত একটি হোয়াইটহল ব্রিফিং নোটে, সরকারি বিভাগগুলিকে সম্ভাব্য সহিংস জন-বিক্ষোভের বিষয়ে স্পষ্টভাবে সতর্ক করা হয়েছিল, যেখানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে জনসাধারণের বিশৃঙ্খলার যে কোনও ঝুঁকি প্রশমিত করতে এবং সরকারের অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছিল।

সামাজিক অসন্তোষের কারণগুলির মধ্যে অর্থনৈতিক নৈরাশ্য এবং জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটও রয়েছে; যেখানে ধীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান শিল্প শক্তি খরচ এবং সাধারণ আর্থিক চাপ নিয়ে হতাশা বিরাজ করছে। যদিও কোনো একক গোষ্ঠী ব্যাপক দাঙ্গা সংঘটিত করে না, তবুও গত গ্রীষ্মের অভিবাসন বিরোধী বিক্ষোভ উগ্র ডানপন্থি সংগঠনগুলির প্রভাবকে তুলে ধরে। এই গোষ্ঠীগুলি হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম এবং ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করে সমাবেশ আয়োজন করে এবং তথ্য ছড়িয়ে দেয়, প্রায়ই বিদ্যমান অভিযোগ ও ভুল তথ্যের সুযোগ নেয়।

ম্যানচেস্টার, লিডস এবং নিউক্যাসেলের আশেপাশে এবং বোস্টনের মতো শহরগুলিতে সামাজিক সংহতির নিম্ন স্তরের অঞ্চলগুলিকে বিশৃঙ্খলার জন্য সম্ভাব্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই অঞ্চলগুলিতে দীর্ঘমেয়াদী বাসিন্দা এবং নতুন আগত সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রায়শই তীব্র উত্তেজনা দেখা যায়। উল্লেখযোগ্য বিদ্যমান অভিবাসন বিরোধী মনোভাব এবং সম্পর্কিত বিক্ষোভের ইতিহাস সহ শহরগুলোও উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।

যে কোনাে ব্যাপক অস্থিরতার প্রাথমিক শিকার হবে সম্প্রদায়গুলো নিজেই, বিশেষ করে যাদেরকে বহিরাগত বা আগন্তুক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে নতুন আগত আফগান শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রার্থীরা- যারা লক্ষ্যবস্তু হয়রানি ও সহিংসতার সরাসরি ঝুঁকির সম্মুখীন। দৃশ্যমান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলিও ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ পূর্ববর্তী দাঙ্গায় মসজিদ এবং আশ্রয়প্রার্থীদের আশ্রয় দেওয়া হোটেলগুলোয় আক্রমণ দেখা গেছে।

ব্রিটেনে বসবাসরত বিভিন্ন জাতিগত এবং ধর্মীয় সম্প্রদায় বর্ধিত উদ্বেগের সম্মুখীন হচ্ছে। ব্রিটিশ বাংলাদেশি, ব্রিটিশ পাকিস্তানি, ব্রিটিশ দক্ষিণ এশীয় এবং ব্রিটিশ মুসলিম সম্প্রদায়গুলি প্রায়শই অভিবাসন বিরোধী অনুভূতির অগ্রভাগে নিজেদের খুঁজে পায়। বর্ণগত উত্তেজনা এবং এই সম্প্রদায়গুলোর ওপর পূর্ববর্তী হামলার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট (উদাহরণস্বরূপ- টাওয়ার হ্যামলেটসে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে) তাদের আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে উদ্বেগও প্রচলিত। তা প্রায়ই ওই গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্য করে ছড়ানো হয়ে থাকে।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ