ঢাকা ১১:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

যা ভালো লাগবে তাই করবো : মম

  • আপডেট সময় : ১১:৫৩:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ জানুয়ারী ২০২২
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন প্রতিবেদক : পেছন ফিরে দেখলে দীর্ঘ পথের মতো পড়ে আছে ২০২১ সাল। এই পথের ধুলোবালিতে মিশে আছে— ব্যর্থতা, প্রাপ্তি, সুখ-দুঃখ। কিন্তু পেছনে তাকিয়ে থাকলে শুধু এক জায়গায় থেমে থাকতে হবে। অন্য সাধারণ মানুষের মতো সব ভুলে শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও সামনে এগিয়ে যাওয়ার ব্রত নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেছেন সময়ের দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম। আলাপচারিতার শুরুতেই তিনি বলেন—‘পাঠক ও আমার দর্শকদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা। ২০২১ সালকে ধন্যবাদ।’ পৃথিবী থেকে এখনো করোনা সংকট কাটেনি। গত বছরও এর প্রভাব ছিল। তা স্মরণ করে মম বলেন, ‘‘নিয়ন্ত্রণ’ শব্দটির ওপর মানুষের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বিশ্বের সার্বিক পরিস্থিতির প্রভাব মানুষের ওপরে পড়ে। সেটা শুধু আমার দেশে বা আমার কাজে নয়। করোনা একটি দৃশ্যমান কারণ। এ কারণে সমাজে, মানুষের জীবনাচরণে, কাজে প্রভাব পড়েছে। এটি চিন্তা করে দেখার মতো একটি ব্যাপার। এসব বাস্তবিক প্রভাবকে পাশে রেখে নিজের কাজটি করতে পারাও কঠিন। আমি কাজ ভালোবেসে করি বলে অন্য জটিলতাকে চোখে কম দেখি। যদি জটিলতার হিসাব করি তবে আর কিছু করা হবে না। ঘর থেকে বের হওয়াও হবে না। আমি অন্তত এভাবেই ভাবতে পছন্দ করি।’’ মম মনে করেন প্রত্যেক মানুষ তার ইচ্ছার মালিক। তার ভাষায়—‘মানুষ হিসেবে আমি যত ভালো বা খারাপ প্র্যাকটিস করছি, সেটারই প্রভাব পড়ে আমার জীবনাচরণে ও কাজে। কিন্তু জীবন আমার কাছে সহজ-সুন্দর। এতকিছুর পরও আমি আমার জীবনকে সুন্দর করতে পারি কারণ আমার জীবন আমি নিয়ন্ত্রণ করি। প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই তাই। প্রত্যেক মানুষ তার ইচ্ছার মালিক। মানুষ আমাকে ভালোবাসা দিয়েছেন। আর সেটা কোনো কিছুর বিনিময়ে না। এটা আমাকে ভালো অনুভূতি দেয়। দায়িত্বশীল করে, কৃতজ্ঞ করে। আসলে নিজের জীবন সুন্দর করলেই কেবল অন্যের জীবন সুন্দর করা সম্ভব। নিজেক ভালো না বাসলে আরেকজনকে ভালোবাসা যায় না। মানুষ হিসেবে পরিষ্কার হওয়াটা জরুরি। একজন মানুষ হিসেবে এসব বোধে অনুপ্রাণিত আর এর অনুশীলন আমি ব্যক্তিগত জীবনে করি।’
প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির কোনো ভাবনা মমর জীবনে নেই। তা ব্যাখ্যা করে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘অপ্রাপ্তি, অভিযোগ, না পাওয়া, খেদ বলে কোনো শব্দ আমার জীবনের অভিধানে নেই। কারণ আমি যা করেছি, যা পেয়েছি, যা পাইনি- তার সবটাই আমার। বস্তুগত পাওয়ার দরকার আছে। কিন্তু সব পাওয়া না পাওয়ার দায়ভার কিন্তু আমারই। জীবনের জার্নিতে নানারকম স্টেশন আসবে, ট্রেন থামবে আবার চলবে! সুতরাং আমার কোনো অপ্রাপ্তি নাই। এত ভালোবাসা, এত সম্মান ছেলেখেলা নয়! একটি সুন্দর জীবন একজন মানুষের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। আমি স্বনির্ভরতায় বিশ্বাসী, যা করি দায়িত্ব নিয়ে করি, যা বলি দায়িত্ব নিয়ে বলি। এসবই আমার জীবনের নানা সময়ে পাওয়া।’ নতুন বছরের প্রত্যাশা জানিয়ে মম বলেন, ‘যা আমার জীবনে আসবে, যা আমার ভালো লাগবে তা করব। অভিনয়কে আমি ভালোবাসি। কেউ আমার মাথায় পিস্তল ধরে বলে নাই তুমি অভিনয় করো। আমি কারো চাকরি করি না। অভিনয় একটি স্বাধীন পেশা। এটি হৃদয় থেকে ভালোবেসে করি এবং করে যেতে চাই। আমি মানুষের কথা বলতে চাই। নারীদের কথা বলতে চাই। নারীদের একজন হয়ে দাঁড়াতে চাই। অত জনপ্রিয় কিছু করতে না পারলেও এই জার্নি আমার জারি আছে, এটা চলবে। একজন নারী হিসেবে কারো প্রেরণা হয়ে উঠতে পারলেই আমার শিল্পী জীবনের স্বার্থকতা। দিন শেষে আমি মানুষের কাছে পৌঁছাতে চাই। কাজের মাধ্যমে মানুষকেই ধারণ করতে চাই।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

যা ভালো লাগবে তাই করবো : মম

আপডেট সময় : ১১:৫৩:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ জানুয়ারী ২০২২

বিনোদন প্রতিবেদক : পেছন ফিরে দেখলে দীর্ঘ পথের মতো পড়ে আছে ২০২১ সাল। এই পথের ধুলোবালিতে মিশে আছে— ব্যর্থতা, প্রাপ্তি, সুখ-দুঃখ। কিন্তু পেছনে তাকিয়ে থাকলে শুধু এক জায়গায় থেমে থাকতে হবে। অন্য সাধারণ মানুষের মতো সব ভুলে শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও সামনে এগিয়ে যাওয়ার ব্রত নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেছেন সময়ের দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম। আলাপচারিতার শুরুতেই তিনি বলেন—‘পাঠক ও আমার দর্শকদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা। ২০২১ সালকে ধন্যবাদ।’ পৃথিবী থেকে এখনো করোনা সংকট কাটেনি। গত বছরও এর প্রভাব ছিল। তা স্মরণ করে মম বলেন, ‘‘নিয়ন্ত্রণ’ শব্দটির ওপর মানুষের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বিশ্বের সার্বিক পরিস্থিতির প্রভাব মানুষের ওপরে পড়ে। সেটা শুধু আমার দেশে বা আমার কাজে নয়। করোনা একটি দৃশ্যমান কারণ। এ কারণে সমাজে, মানুষের জীবনাচরণে, কাজে প্রভাব পড়েছে। এটি চিন্তা করে দেখার মতো একটি ব্যাপার। এসব বাস্তবিক প্রভাবকে পাশে রেখে নিজের কাজটি করতে পারাও কঠিন। আমি কাজ ভালোবেসে করি বলে অন্য জটিলতাকে চোখে কম দেখি। যদি জটিলতার হিসাব করি তবে আর কিছু করা হবে না। ঘর থেকে বের হওয়াও হবে না। আমি অন্তত এভাবেই ভাবতে পছন্দ করি।’’ মম মনে করেন প্রত্যেক মানুষ তার ইচ্ছার মালিক। তার ভাষায়—‘মানুষ হিসেবে আমি যত ভালো বা খারাপ প্র্যাকটিস করছি, সেটারই প্রভাব পড়ে আমার জীবনাচরণে ও কাজে। কিন্তু জীবন আমার কাছে সহজ-সুন্দর। এতকিছুর পরও আমি আমার জীবনকে সুন্দর করতে পারি কারণ আমার জীবন আমি নিয়ন্ত্রণ করি। প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই তাই। প্রত্যেক মানুষ তার ইচ্ছার মালিক। মানুষ আমাকে ভালোবাসা দিয়েছেন। আর সেটা কোনো কিছুর বিনিময়ে না। এটা আমাকে ভালো অনুভূতি দেয়। দায়িত্বশীল করে, কৃতজ্ঞ করে। আসলে নিজের জীবন সুন্দর করলেই কেবল অন্যের জীবন সুন্দর করা সম্ভব। নিজেক ভালো না বাসলে আরেকজনকে ভালোবাসা যায় না। মানুষ হিসেবে পরিষ্কার হওয়াটা জরুরি। একজন মানুষ হিসেবে এসব বোধে অনুপ্রাণিত আর এর অনুশীলন আমি ব্যক্তিগত জীবনে করি।’
প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির কোনো ভাবনা মমর জীবনে নেই। তা ব্যাখ্যা করে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘অপ্রাপ্তি, অভিযোগ, না পাওয়া, খেদ বলে কোনো শব্দ আমার জীবনের অভিধানে নেই। কারণ আমি যা করেছি, যা পেয়েছি, যা পাইনি- তার সবটাই আমার। বস্তুগত পাওয়ার দরকার আছে। কিন্তু সব পাওয়া না পাওয়ার দায়ভার কিন্তু আমারই। জীবনের জার্নিতে নানারকম স্টেশন আসবে, ট্রেন থামবে আবার চলবে! সুতরাং আমার কোনো অপ্রাপ্তি নাই। এত ভালোবাসা, এত সম্মান ছেলেখেলা নয়! একটি সুন্দর জীবন একজন মানুষের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। আমি স্বনির্ভরতায় বিশ্বাসী, যা করি দায়িত্ব নিয়ে করি, যা বলি দায়িত্ব নিয়ে বলি। এসবই আমার জীবনের নানা সময়ে পাওয়া।’ নতুন বছরের প্রত্যাশা জানিয়ে মম বলেন, ‘যা আমার জীবনে আসবে, যা আমার ভালো লাগবে তা করব। অভিনয়কে আমি ভালোবাসি। কেউ আমার মাথায় পিস্তল ধরে বলে নাই তুমি অভিনয় করো। আমি কারো চাকরি করি না। অভিনয় একটি স্বাধীন পেশা। এটি হৃদয় থেকে ভালোবেসে করি এবং করে যেতে চাই। আমি মানুষের কথা বলতে চাই। নারীদের কথা বলতে চাই। নারীদের একজন হয়ে দাঁড়াতে চাই। অত জনপ্রিয় কিছু করতে না পারলেও এই জার্নি আমার জারি আছে, এটা চলবে। একজন নারী হিসেবে কারো প্রেরণা হয়ে উঠতে পারলেই আমার শিল্পী জীবনের স্বার্থকতা। দিন শেষে আমি মানুষের কাছে পৌঁছাতে চাই। কাজের মাধ্যমে মানুষকেই ধারণ করতে চাই।’