ঢাকা ০১:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী

  • আপডেট সময় : ০১:০৩:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া আটটার দিকে অফিসের দিকে রওনা দেন ইকবাল মাহমুদ। তাঁর অফিস কারওয়ান বাজারে। বসুন্ধরা থেকে কুড়িল উড়ালসেতুতে উঠতেই দেখেন, রাস্তায় অসংখ্য গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। এরপর দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষা। একের পর এক যানজট। তিনি অফিসে পৌঁছান দুপুর ১২টার দিকে।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘যানজটে নাকাল হয়েছি। কেউ কিছু বলতে পারছিল না, কেন এ অবস্থা। বসুন্ধরা থেকে রাস্তায় প্রচ- যানজট থাকলেও সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা লাগার কথা কারওয়ান বাজার আসতে। আজ লাগল প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা।’
সকাল ১০টার দিকে বিজয় সরণিতে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা পেতে চেষ্টা করছিলেন মহুয়া ইসলাম। আধা ঘণ্টা পর তিনি অটোরিকশাটি পান। কিন্তু ভাড়া দিতে হলো ৩৫০ টাকা। স্বাভাবিক সময় এই ভাড়া ২০০ টাকার মধ্যে হয়।
এভাবে আজ রাজধানীবাসী সকাল থেকে নাকাল হয়েছেন যানজটে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক সূত্র জানায়, আজ ভোরের দিকে রাজধানীর বিজয় সরণি এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি কাভার্ড ভ্যান উল্টে যায়। এ কারণে দীর্ঘক্ষণ বিজয় সরণিতে যান চলাচল ব্যাহত হয়। ট্রাফিক সূত্র বলছে, আজ রাজধানীতে সবচেয়ে বড় জটটি হয় গুলশানে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘কাভার্ড ভ্যানটি সরাতে প্রথমে রেকার দিয়ে চেষ্টা করা হয়। তা সম্ভব হয়নি। পরে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের কাছে থেকে ক্রেন নিয়ে আসতে হয়। ক্রেন দিয়ে সরাতে বেশ কিছুটা সময় চলে যায়। এটি মালামালে পরিপূর্ণ ছিল। এ জন্য সকালের দিকে এখানে বড় যানজট সৃষ্টি হয়।’
মুনিবুর রহমান আরও বলেন, ‘বিজয় সরণি আমাদের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার প্রাণকেন্দ্র বলা যায়। এখানে সমস্যা হলে সারা রাজধানীতে সমস্যা সৃষ্টি হয়। আজও তেমনটি হয়েছে। পরে অবশ্য আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি।’
রাজধানীর কাজীপাড়া থেকে ফার্মগেটে আসতে আজ নিজ গাড়িতে দুই ঘণ্টার কাছাকাছি সময় গেছে আখতারুল আলমের। তিনি বলেন, স্বাভাবিক সময়ে পৌনে এক ঘণ্টার বেশি লাগে না।
কয়েক দিন ধরে রাজধানীসহ সারা দেশে তীব্র গরম। রাজধানীতে অবস্থা অসহনীয় হয়েছে বাতাসে আর্দ্রতা থাকার জন্য। বৃষ্টির দেখাও নেই। এ অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ যানজটে আটকে নাকাল হয়েছেন রাজধানীবাসী। যানবাহনে থেকে মানুষ কষ্ট পেয়েছে। আবার যানবাহন না পেয়েও অনেক ভোগান্তি হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী

আপডেট সময় : ০১:০৩:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া আটটার দিকে অফিসের দিকে রওনা দেন ইকবাল মাহমুদ। তাঁর অফিস কারওয়ান বাজারে। বসুন্ধরা থেকে কুড়িল উড়ালসেতুতে উঠতেই দেখেন, রাস্তায় অসংখ্য গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। এরপর দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষা। একের পর এক যানজট। তিনি অফিসে পৌঁছান দুপুর ১২টার দিকে।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘যানজটে নাকাল হয়েছি। কেউ কিছু বলতে পারছিল না, কেন এ অবস্থা। বসুন্ধরা থেকে রাস্তায় প্রচ- যানজট থাকলেও সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা লাগার কথা কারওয়ান বাজার আসতে। আজ লাগল প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা।’
সকাল ১০টার দিকে বিজয় সরণিতে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা পেতে চেষ্টা করছিলেন মহুয়া ইসলাম। আধা ঘণ্টা পর তিনি অটোরিকশাটি পান। কিন্তু ভাড়া দিতে হলো ৩৫০ টাকা। স্বাভাবিক সময় এই ভাড়া ২০০ টাকার মধ্যে হয়।
এভাবে আজ রাজধানীবাসী সকাল থেকে নাকাল হয়েছেন যানজটে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক সূত্র জানায়, আজ ভোরের দিকে রাজধানীর বিজয় সরণি এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি কাভার্ড ভ্যান উল্টে যায়। এ কারণে দীর্ঘক্ষণ বিজয় সরণিতে যান চলাচল ব্যাহত হয়। ট্রাফিক সূত্র বলছে, আজ রাজধানীতে সবচেয়ে বড় জটটি হয় গুলশানে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘কাভার্ড ভ্যানটি সরাতে প্রথমে রেকার দিয়ে চেষ্টা করা হয়। তা সম্ভব হয়নি। পরে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের কাছে থেকে ক্রেন নিয়ে আসতে হয়। ক্রেন দিয়ে সরাতে বেশ কিছুটা সময় চলে যায়। এটি মালামালে পরিপূর্ণ ছিল। এ জন্য সকালের দিকে এখানে বড় যানজট সৃষ্টি হয়।’
মুনিবুর রহমান আরও বলেন, ‘বিজয় সরণি আমাদের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার প্রাণকেন্দ্র বলা যায়। এখানে সমস্যা হলে সারা রাজধানীতে সমস্যা সৃষ্টি হয়। আজও তেমনটি হয়েছে। পরে অবশ্য আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি।’
রাজধানীর কাজীপাড়া থেকে ফার্মগেটে আসতে আজ নিজ গাড়িতে দুই ঘণ্টার কাছাকাছি সময় গেছে আখতারুল আলমের। তিনি বলেন, স্বাভাবিক সময়ে পৌনে এক ঘণ্টার বেশি লাগে না।
কয়েক দিন ধরে রাজধানীসহ সারা দেশে তীব্র গরম। রাজধানীতে অবস্থা অসহনীয় হয়েছে বাতাসে আর্দ্রতা থাকার জন্য। বৃষ্টির দেখাও নেই। এ অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ যানজটে আটকে নাকাল হয়েছেন রাজধানীবাসী। যানবাহনে থেকে মানুষ কষ্ট পেয়েছে। আবার যানবাহন না পেয়েও অনেক ভোগান্তি হয়েছে।