নিজস্ব প্রতিবেদক: মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকায় ছিল একাধিক ব্যানারে আন্দোলন। এম মধ্যেই দুপুর থেকেই বৃষ্টির সূচনা। বিকালেই সন্ধ্যার অন্ধকার নেমে আসে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী বিকালে আকাশ অন্ধকার করে মুষলধারে বৃষ্টি নামে প্রায় ঢাকাজুড়েই। একদিকে আন্দোলনে সৃষ্ট যানজট, অন্যদিকে বৃষ্টি মিলেমিশে ভোগান্তির মাত্রা বাড়িয়ে দেয় বাইরে চলাচলকারী নগরবাসীদের।
মঙ্গলবার (২০ মে) ভোর থেকে রাজধানীর আকাশ পরিষ্কার থাকলেও বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের তেজ কমে আসতে শুরু করে। দুপুর নাগাদ আকাশ কালো হয়ে আসে। এরপর বেলা পৌনে দুইটা নাগাদ মতিঝিল, পল্টন, কাকরাইল, ফকিরাপুল, টিকাটুলি, গোপীবাগসহ আশপাশের এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়।
তবে বৃষ্টি ছিল হালকা ধরনের। বিকালের মধ্যে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে পূর্বাভাস দেয় আবহাওয়া অধিদফতর। এরপর বিকালে আবহাওয়া হয় ঠিক তেমনই। ঘন কালো মেঘে ঢেকে গেছে ঢাকা। রাস্তার গাড়িগুলোর প্রায় সব হেডলাইট জ্বালিয়ে চালাতে বাধ্য হচ্ছে।
একদিকে সাম্য হত্যার প্রতিবাদে শাহবাগ ব্লক করে ছাত্রদল। অন্যদিকে কাকরাইলের দিক থেকে মিছিল নিয়ে এসে কাকরাইল মসজিদের সামনে ব্লক করে বেতনের দাবিতে কয়দিন ধরে আন্দোলন করতে থাকা টিএনজেড-এর গার্মেন্টস কর্মীরা। এদিকে সরকারি বেসরকারি অফিস ছুটির এই সময়ে একদিকে মুষলধারে বৃষ্টি, অন্যদিকে যানজটের কবলে পড়ে নাস্তানাবুদ অবস্থা রাজধানীবাসীর।
বৃষ্টির সময় অফিস থেকে বের হলে যানবাহনের সংকট দেখা দেয় এমনিতেই। এরপর ভাড়ার মাত্রাও বাড়িয়ে দেয় রিকশাওয়ালা, সিএনজিওয়ালারা। ভোগান্তি তখন চরম আকার নেয়।
আবহাওয়া অফিস জানায়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।