নিজস্ব প্রতিবেদক : সড়কে গণপরিবহন থেকে শুরু করে সব যানবাহন চলাচল করছে। এদিকে বিভিন্ন কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ শপিং করতে কেউ কাজের তাড়নায়। তবে সবাই যার যার প্রয়োজনের তাগিতে বের হয়েছেন।
এদিকে রাজধানীর উত্তরা হাউসবিল্ডিং, আজমপুর, রাজলক্ষ্মীর বিভিন্ন মার্কেট শপিংমলে রয়েছে ক্রেতাদের ভিড়। আর এসব এলাকার ভেতরের সড়কগুলোতে (ইনার রোড) রয়েছে যানজট। শুধু তাই নয়, উত্তরা ও বিমানবন্দর, বনানী, মহাখালী, মিরপুর, বাড্ডা এলাকার প্রধান সড়কগুলোতেও রয়েছে যানজট। ঘর থেকে বের হয়ে মানুষ এসব এলাকায় অধিক সময় ধরে যানজটে আটকে আছেন। এসব সড়ক/সিগন্যাল পার হতে দীর্ঘ সময় ব্যয় করতে হচ্ছে। এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা সড়কে যানজট নিরসনে কাজ করছেন। একদিকে সড়কে প্রচ- যানবাহনের চাপ অন্য দিকে তাপপ্রবাহে নাকাল নগরবাসী।
গতকাল রোববার রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। মোহাম্মদপুর থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে ফার্মগেট হয়ে কারওয়ান এসেছেন সুনিল কুমার। তিনি বলেন, আজ সড়কে প্রচ- যানজট। অফিসে যাওয়ার জন্য মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে বের হয়েছি সকাল ১০টায়। গণপরিবহন এড়িয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করে রওয়ানা দিয়েছি, তবুও দুই ঘণ্টা সময় লেগেছে। আর করোনা পরিস্থিতি উপেক্ষা করে সড়কে মানুষের চলাচল বেড়েছে।
পুরান ঢাকা থেকে মোটরসাইকেল যোগে উত্তরা হাউসবিল্ডিং এসেছেন সিদ্দিকুর রহমান। এ পর্যন্ত আসতে তার সময় লেগেছে আড়াই ঘণ্টা। সড়কের মোড়ে মোড়ে তাকে যানজটে পড়তে হয়েছে বলেও জানান সিদ্দিকুর। তিনি বলেন, গত দুই মাস আগে উত্তরার আব্দুল্লাহপুর থেকে একটি মোটরবাইক কিনেছিলাম। রেজিস্ট্রেশন নম্বর করতে উত্তরার দিয়াবাড়ি বিআরটিএতে যাবো। সকালে পুরান ঢাকার বাসা থেকে বের হয়েছি এ পর্যন্ত বাইকে আসতেই সময় লাগলো পৌনে দুই ঘণ্টা। অথচ এত সময়ের পথ না। আবার আজ সূর্যের তাপও অনেক বেশি। একদিকে যানজট আর অন্য দিকে গরম। সব মিলিয়ে অস্থির লাগছে। সড়কে সিটি কেন্দ্রীক গণপরিবহনগুলোতেও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই যাত্রী তোলা হচ্ছে। তবে দীর্ঘ সময় যাত্রীদের বাসেই বসে থাকতে হচ্ছে। এদিকে গণপরিবহনগুলো সড়কে আঁকাবাঁকা হয়ে যাত্রী তুলতে ও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। ট্রাফিক পুলিস সদস্যরা নির্দেশনা অনুযায়ী যানজট নিয়ন্ত্রণে মাঠে কাজ করছেন। গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানছে কি না তা নিশ্চিতে কাজ করছে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত সদস্যরা।
উত্তরা হাউসবিল্ডিং আজমপুরের ভেতরের সড়কে ঈদ শপিং করতে আসা মানুষের প্রচ- ভিড় দেখা গেছে। এসব সড়কে রিকশা প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল চালকের সংখ্যা অনেক বেশি। এসব সড়কেও তীব্র যানজট দেখা গেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম কমিশনার (জেসি) আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ বলেন, ঈদকে সামনে রেখে যানজট আগের থেকে কিছুটা বেড়েছে। নগরীতে যানজট নিরসনে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের কর্মরত সদস্যরা সড়কে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বর্তমানে ট্রাফিক পুলিশের জনবল বাড়ানো হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতে সরকারি নির্দেশনার মধ্যে থেকেই যানজট নিরসনে সড়কে দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি যানজট নিরসনে কমিউনিটি পুলিশও সহযোগিতা করছেন বলেও জানান জেসি আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ। তিনি বলেন, রমজান মাসে সবাই যেন ইফতারের আগেই ঘরে ফিরতে পারেন সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।
যানজটে নাকাল নগরবাসী
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ